ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২০ জুলাই ২০১৭

আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ খাদ্য ঘাটতি মেটাতে আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। ১৭৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ চাল সরবরাহ করবে দুবাইয়ের প্রতিষ্ঠান মেসার্স ফিনিক্স গ্লোবাল ডিএমসিসি। বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ওই বৈঠকে ভারতের খোলাবাজার থেকে বিদ্যুত আমদানির মেয়াদ বাড়ানোসহ মোট ১২টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ জন্য ব্যয় হবে ১৭৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোন দেশ থেকে আমদানি করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা উন্মুক্ত সোর্স যে কোন দেশ থেকেই হতে পারে। সম্প্রতি মজুদ তলানিতে নেমে আসার পর চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সরকারী পর্যায়ে আমদানির দরপত্র আহ্বানের পর বেসরকারী পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে এক লাফে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে সরকারী পর্যায়ে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করছে। সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত ১৪ জুন দরপত্র ছাড়াই সরকারী পর্যায়ে এই চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে প্রতি মেট্রিক টন ৪৭০ মার্কিন ডলার দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কিনতে খরচ পড়ছে ১৯৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। আর ৪৩০ মার্কিন ডলার দরে দুই লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানিতে ৭১৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। আড়াই লাখ টন চালের মধ্যে দুই চালানে মোট ৪৭ হাজার মেট্রিক টন ইতোমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। চালের তৃতীয় চালানটি আগামী ২২ জুলাই দেশে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করছেন খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা। হাওড়ে অকাল বন্যায় ফসলের ক্ষতি এবং সরকারী গুদামের মজুদ কমে আসার প্রেক্ষাপেটে সরকার সম্প্রতি ভিয়েতনাম থেকে ৯০৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় এই আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। ভারতের খোলাবাজার থেকে বিদ্যুত আমদানি ভারতের খোলাবাজার থেকে বিদ্যুত আমদানির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুত আমদানির পরিমাণ ২৫০ মেগাওয়াট। প্রতি কিলোওয়াট/ঘণ্টা ৬ টাকা ০৬৪ পয়সা ট্যারিফ মূল্য ট্রান্সমিশন চার্জসহ এ বিদ্যুত ক্রয়ে ছয় মাসে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৬২৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অনুমোদিত প্রস্তাবনায় দেখা গেছে, ভারতীয় প্রতিষ্ঠান পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে এ বিদ্যুত কেনা হবে। ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর হতে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করা হচ্ছে। তন্মধ্যে ভারতের খোলাবাজার হতে পিটিসি ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে ক্রয়কৃত ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির মেয়াদ আগামী ৩১ জুলাই শেষ হবে।
×