ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা

ভোলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২০ জুলাই ২০১৭

ভোলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১৯ জুলাই ॥ চরফ্যাশন উপজেলার আছলামপুর আজহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়েছে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক মশফিকিউর রহমান এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। এ ঘটনার পর লোকলজ্জার ভয়ে বারবার ওই ছাত্র আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। অথচ পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিলেও ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করছে না। উল্টো প্রধান শিক্ষক এলাকার প্রভাবশালী ও থানার লোক দিয়ে ভিকটিম ও ভিকটিমের পরিবারকে মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ অসহযোগিতা করায় নিরুপায় হয়ে নিরাপত্তা ও আসামি গ্রেফতাদের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করে বুধবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে ভিকটিমের পিতা এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ওই ছাত্রের বাবা লিখিত অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে আছলামপুর আজহার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ে। এ সুবাদে সে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মশফিকিউর রহমানের কাছে ইংরেজী প্রাইভেট পড়ত। প্রধান শিক্ষক মশফিকিউর রহমান গত ১৩ জুন রাতে মোবাইলে ছাত্রকে জরুরী কথা আছে বলে তার বাসায় আসতে বলে। ওই ছাত্র ফোন পেয়ে বাসায় যায়। বাসায় কেউ না থাকা সুযোগে প্রধান শিক্ষক তাকে বলাৎকার করে। এ অবস্থায় ওই ছাত্র তার বন্ধুদের ফোন করে। পরে তারা এসে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বাদী হয়ে ১৪ জুন চরফ্যাশন থানায় ওই শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা করি। কিন্তু মামলার এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি। উল্টো মোটা অঙ্কের বিনিময় মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়া হয়। এমনকি ১৬৪ ধারায় ভিকটিমের জবানবন্দি নেয়ার ব্যাপারেও পুলিশ কোন সহযোগী করছে না। প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন লোকদের দিয়ে মামলা নিষ্পত্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। থানা-পুলিশও নিষ্পত্তির জন্য বলছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্র লোক লজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না। স্কুলেও যেতে পারছে না। এ অবস্থায় ওই ছাত্র একাধিকবার আত্মহত্যারও চেষ্টা চালায়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মামলার সাক্ষীদেরও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন লোকদের টাকা দিয়ে এ ঘটনা মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। স্কুল ছাত্রে অসহায় পিতা প্রধান শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ তার দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মশফিকিউর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। চরফ্যাশন থানার ওসি মোঃ এনামুল হক বলেন, আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। এছাড়া মামলা তুলে নেয়াসহ অসহযোগীর অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।
×