ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মহাদেবপুরে দুই বছরেও চালু হয়নি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৯ জুলাই ২০১৭

মহাদেবপুরে দুই বছরেও চালু হয়নি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ মহাদেবপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে দুই বছর। অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রাংশ এবং পানি বহনকারী গাড়ি ও প্রয়োজনীয় জনবল থাকার পরেও গত দুই বছর ধরে শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় পড়ে থাকায় জনগণের কাজে আসছে না এই প্রতিষ্ঠানটি। প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়াসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ গত দুই বছর আগেই দেয়া হয়েছে জনকল্যাণ কাজে নিয়োজিত এ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটিতে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ বলছে, তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদায় উন্নীত করা নিয়ে জটিলতার কারণে স্টেশনটি চালু করতে দেরি হচ্ছে। নওগাঁ গণপূর্ত বিভাগের একটি সূত্র জানায়, বিগত ২০১৩ সালে মহাদেবপুর-পতœীতলা আঞ্চলিক মহাসড়কে ফাজিলপুর বরেন্দ্র মোড় নামক স্থানে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই বছরেই দরপত্র আহ্বান করে গণপূর্ত বিভাগ। ২০১৪ সালের মার্চ মাসে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্টেশনের দোতলা বিশিষ্ট ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ২০১৫ সালের মে মাসে নির্মাণ কাজ শেষ। ওই বছরের জুন মাসেই গণপূর্ত বিভাগ ভবনটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে বুঝে দেয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নওগাঁর উপ-সহকারী পরিচালকের কার্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, নবনির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটিতে ইতোমধ্যে একটি অগ্নিনির্বাপণ গাড়িসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তৃতীয় শ্রেণীর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন হিসেবে প্রয়োজনীয় জনবল হিসেবে একজন দলনেতা, ২ জন ড্রাইভার, ৮ জন ফায়ারম্যান, একজন বাবুর্চি ও একজন পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলা সদরে ওই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনটিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাল ইটের চকচকে দ্বিতল ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও সেখানে নেই কোন পানি বহনকারী গাড়িসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ। ভবনটির পুরো উঠানটাই ছিল ফাঁকা। সেখানে সাইদুর রহমান নামে এক ফায়ারম্যান পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন গত ২ বছর ধরে। ফায়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, এ স্টেশনটির জন্য বরাদ্দকৃত অগ্নিনির্বাপণ গাড়িসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ বর্তমানে পত্মীতলা ফায়ার স্টেশনে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ স্টেশনে আমি ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যরা জেলার বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে কর্মরত রয়েছেন। নওগাঁ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক একেএম মুর্শেদ বলেন, ‘স্টেশনটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও যন্ত্রাংশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেশি সুযোগ-সুবিধা নেয়ার জন্য স্টেশনটি তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদায় উত্তীর্ণ করার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আবেদন জানিয়েছেন। সে অনুযায়ী বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা এলেই স্টেশনটি উদ্বোধন করা হবে।’ তবে কবেনাগাদ স্টেশনটি চালু করা যেতে পারে এ ব্যাপারে তিনি কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।
×