ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে বিদায় টট্টির, পরিচালক হলেন রোমার

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৯ জুলাই ২০১৭

অবশেষে বিদায় টট্টির, পরিচালক হলেন রোমার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইতালি জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার ফ্রান্সেসকো টট্টি সিনিয়র ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু থেকেই খেলেছেন এএস রোমার হয়ে। সেই ১৯৯২ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা দিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাবটির। বিশ্বের আরও অনেক প্রতিষ্ঠিত ক্লাব টট্টিকে দলে ভেড়াতে চাইলেও রোমা ছেড়ে যাননি। ভালবাসার বন্ধনে জড়িয়ে পড়া ক্লাবটি থেকেই নিতে চেয়েছিলেন অবসর। তার সেই ইচ্ছাটাই পূরণ হয়েছে। রোমার হয়ে দীর্ঘ ২৫ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন টট্টি। গত ২৮ মে খেলেন নিজের শেষ ম্যাচ। বিদায় বেলায় নিজে কেঁদেছেন, সতীর্থ, সমর্থকদেরও কাঁদিয়েছেন। ইতালিয়ান সিরি’এ লীগে জেনোয়ার বিরুদ্ধে শেষ ওই ম্যাচটির পর আবারও শুরু হয় নাটক। শোনা যায় অন্য ক্লাবের হয়ে খেলতে পারেন ৪০ বছর বয়সী টট্টি। অবশেষে প্রায় দুইমাস পর নিজের অবসরের পাকা সিদ্ধান্ত জানালেন সাবেক ইতালিয়ান তারকা। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে টট্টি খেলোয়াড়ী জীবনের ইতি টেনেছেন। সেই সঙ্গে প্রিয় ক্লাব রোমারই পরিচালকের দায়িত্ব নিয়েছেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মে মাসে রোমার হয়ে ২৫ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানার পর ক্যারিয়ারে ‘নতুন আরেক অভিযানের’ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত প্রিয় ক্লাবের সঙ্গে থাকতে পেরেই খুশি টট্টি। প্রতিক্রিযা জানিয়ে বলেন, ফুটবল আমার জীবনের অংশ। তেমনি রোমাও। এই ক্লাবের সঙ্গে থাকতে পারছি এটা অনেক বেশি আনন্দের। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে টট্টি একমাত্র রোমার হয়ে খেলেছেন। ৭৮৬ ম্যাচে তার গোল ৩০৭টি। শেষ ম্যাচে জেনোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের ৫৪ মিনিটে সালাহর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন। ৩-২ গোলের জয়ে দীর্ঘদিনের যোদ্ধাকে বিদায় জানিয়েছে দলটি। ওই ম্যাচ শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে চিঠি পড়ে শোনান টট্টি। তিনি বলেন, আমি ভীত। দেখতে পাচ্ছি না ভবিষ্যতটা কেমন হবে। কল্পনা করুন আপনি একটা শিশু, যে ভাল একটা স্বপ্ন দেখছে। আপনার মা আপনাকে ডেকে তুলছে স্কুলে যাওয়ার জন্য। আমি স্বপ্ন দেখে যেতে চান। আপনি স্বপ্নের মধ্যে ফিরে যেতে চান কিন্তু আপনি কখনই তা পারেন না। এখন সেটা স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। আমি আর ফিরতে পারব না। টট্টিকে বিদায়ী উপহার হিসেবে দেয়া হয় তার জার্সি নম্বর ‘১০’ লেখা বাঁধাই করা একটি ফ্রেম। রোমার এই কিংবদন্তির বিদায়ের সময় মাঠে ছিলেন তার স্ত্রী-সন্তানেরা। মাঠে ঢোকার সময় সতীর্থরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানান টট্টিকে। এত ভালবাসায় সিক্ত বিশ্বকাপ জয়ী এই ফরোয়ার্ড বলেন, শেষ পর্যন্ত এটা শেষ হলো। যে মুহূর্তটা আমি কখনই আশা করিনি, উপস্থিত হয়েছে। ১৯৯৩ সালে ব্রেশশার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচ রোমার হয়ে অভিষেক হয় টট্টির। সে সময় তার বয়স ছিল ১৬ বছর। গত ২৫ মৌসুমে রোমায় ১৬ কোচের অধীনে খেলেছেন তিনি। রোমে জন্ম নেয়া টট্টির সিরি’এ-র লীগে গোল ২৫০টি যা লীগের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। টট্টি ইতালি জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন ২০০৬ সালে। আজ্জুরিদের হয়ে ৫৮ ম্যাচ খেলা টট্টি গোল করেছেন ৯টি। ২০০৬ ইতালির বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন এই তারকা।
×