ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন জয়পুরহাটের চাষীরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৯ জুলাই ২০১৭

কলা চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন জয়পুরহাটের চাষীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত’। খনার ওই বচনটি ভালই আত্মস্থ করেছেন জয়পুরহাটের কলা চাষীরা। এদের পরিবারে কেবল ভাত কাপড়ের ব্যবস্থাই নয়। পরিবারের অনেক ব্যয়ের সংস্থানই হয়েছে কলা চাষ করে। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় জেলায় বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলার চাষ। জয়পুরহাট জেলার প্রধান অর্থকরি ফসল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ কলা। জেলায় বিশেষ করে জামালগঞ্জ ও ভাদসা এলাকার অনেক পরিবার কেবল কলা চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানান যায়, অন্য যে কোন ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে। বিশেষ করে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জে ও ভাদসার দূর্গাদহ বাজারে কলার বিস্ময়কর বাজার সৃষ্টি হয়েছে। অন্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলার চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ সব জাতের কলা গাছ থেকে অল্পদিনেই ফল পাওয়া যায়। কৃষকরা জানান, তুলনামূলকভাবে অন্য ফসলের চেয়ে দামও বেশি। সাধারণত বৈশাখ মাসে কলার চারারোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সেসব জমিতে কলার চাষ ভাল হয়। কৃষকরা জানান, একবিঘা জমিতে কলার জাত ভেদে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ কলার চারারোপণ করা হয়ে থাকে। যতœ সহকারে কলা চাষ করলে একটি গাছ থেকে ২ থেকে আড়াই মণ কলা পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। যা অন্য কোন ফসলে সম্ভব নয়। স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানায়, জয়পুরহাট জেলায় এবার ৬শ’ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। জামালগঞ্জ এলাকার মাতাপুর গ্রামের কলা চাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি। বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রফতানি আয় না বাড়ার কারণে ব্যাপকহারে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ১১ মাস (জুলাই-মে) শেষে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৪৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ২৭৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন মতে, এই ১১ মাসে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
×