ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দিদার হাসান

অতঃপর প্রশ্ন এবং মানবীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৯ জুলাই ২০১৭

অতঃপর প্রশ্ন এবং মানবীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য

একজন মানুষ কেমন, কী তাঁর পরিচয় বৈশিষ্ট্য তা নির্ভর করে তাঁর স্বভাব-আচরণ, রুচি-পছন্দের ওপর যেমন, তেমন শারীরিক গঠন-প্রকৃতি এবং ব্যক্তিত্বের উপরও। দেখতে সুন্দর, আকর্ষণীয় হলেই যে কোন ব্যক্তি রুচিবান বা ব্যক্তিত্ববান হবেন এমনটি মনে করার কোন কারণ নেই। অনন্য ব্যক্তিত্বই সুরুচির-সুচিন্তার পরিচয়বাহী। রুচিহীনতা এক ধরনের মানসিক সঙ্কট, ব্যক্তিত্বের ঘাটতি। কাক যেমন ময়ূর পুচ্ছ ধারণ করেও ঠিক কাকই থেকে যায়; চরিত্র-স্বভাব লুকাতে পারে না, রুচিহীন এবং ব্যক্তিত্বহীনরাও ঠিক তাই। কারণ এদের সমস্যা মানসিক। এদের যতই স্বচ্ছ জলে সাঁতার কাটতে বলা হোক এরা ঠিক ততই স্বভাবগুণে বদ্ধ-নোংরা জলাশয়ে গিয়ে সাঁতার কাটবে। ডুব দেবে। স্বভাব বলে কথা! কথায় আছে না স্বভাব যায় না মলে! দুর্ভাগ্যের বিষয় সর্বত্র এখন ঘরে-বাইরে রুচিহীনতার সংস্কৃতি বেশি মাত্রায় পরিলক্ষিত হচ্ছে। ব্যক্তি থেকে সমাজ পর্যন্ত এই রুচিহীনতার পঙ্কিল আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছে। একে কি দৈন্য, ক্রমাবনতি বলব? রুচি, সংস্কৃতির সঙ্কট প্রবল বলেই কি অশুভ ও অকল্যাণের পথে সমাজ এভাবে প্রতিনিয়ত ধাবিত হচ্ছে! প্রকৃত সুশীল সুরুচিবানরা এই যে উন্নত জীবন, আধুনিক সমাজ ও সাংস্কৃতিক চেতনা গড়ার সংগ্রাম করে যাচ্ছে এ তো কোন কাজে আসবে না, যদি আমাদের রুচি, পছন্দ, উন্নত, স্বচ্ছ-সুন্দর না করতে পারি। নিজেকে ভেতর থেকে সংশোধনে সচেষ্ট বা সক্রিয় না হলে, জোর করে তো কাউকে পাল্টানো যাবে না। মাঝে মাঝে বড় হতাশ হই, যখন দেখি আমাদের আস্থা, বিশ্বাসের জায়গা সঙ্কুুচিত হচ্ছে। যাদের বিশ্বাস করেছি তারা অবলীলায় তা ভাঙছেন। আমাদের নির্ভরতার জায়গা-পরিধি ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে আসছে। ভাবি এক হয় আর এক! শিক্ষিত আধুনিক মানুষও বিকৃত রুচির, ভ্রষ্ট আদর্শের পরিচয় দিচ্ছেন। বিচার বিবেচনায় তাদের অসম্ভব দীনতা, ঘাটতি। জীবন, প্রতিবেশ, পরিবেশ, ভবিষ্যত অবস্থান কোন কিছুই এদের বিবেচনায় থাকছে না, যে কারণে তারা এমন সব কাজ, চিন্তা করে বসে যাতে শুধু আপনজন, প্রতিবেশীরা নন, সবাই হতাশ এবং বিস্মিত হয়ে পড়েন। অন্যায়-অনৈতিক কাজ ও আচরণে এদের কোন দ্বিধা, সঙ্কোচ ভয় কাজ করে না। এরা এতটাই বেহিসেবী-বেপরোয়া। এদের কেউ কেউ অনেক দেরিতে নিজের ভুল বুঝতে পারেন। তখন অবশ্য কিছু করার থাকে না, সর্বনাশ হওয়ার পরে অনুশোচনা হলে তাতে কি লাভ? এদের আত্মঅনুশোচনা জাগলে আত্মশোধনেরও প্রচেষ্টা থাকত, কিন্তু তা কোথায়? প্রশ্নের পর প্রশ্ন উঁকি দেয়Ñ আসলেই কি আমরা ইচ্ছে করলে স্বভাব বদলাতে পারি না? পারি না রুচির পরিবর্তন ঘটাতে? রুচিহীন মানুষ যে কত বিরক্তি-বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে আর উপহাসের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা উপলব্ধির ক্ষমতাও সবার থাকে না? সুরুচি আর কুরুচির মানুষের মধ্যে যে পার্থক্য তা বোঝেই বা ক’জন। অবশ্য চতুর যারা তারা কখনও নিজের ভুল, সমস্যা স্বীকার করে না। মানতে চায় না। পাছে হেরে বা ছোট হয়ে যায়! রুচিবোধের অভাব যাদের প্রকট তাদের আসলে স্বস্তি আর আত্মতৃপ্তি কোথায়? অনেককে ভুল ধরিয়ে দিলে একা থাকার মধ্যে সমাধান খোঁজে, তারা বোঝে না সবাইকে নিয়ে সবার মতো করে থাকার মধ্যেই প্রকৃত আনন্দ। আনন্দিত জীবনের গৌরবও সেখানে, যেখানে উদার সহৃদয়তার দেখা মেলে। তেলে জলে মিল খায় না। কারণ উপাদান এক নয়, বৈশিষ্ট্যও এক নয়, তাই তেল জল এক করার চেষ্টা বৃথা, যারা এ ভুল করে তারা পস্তায়। কানা ছেলের নাম যদি হয় পদ্মলোচন, তাতে কি ভবি ভুলে! কেউ দেখে শেখে, কেউ ঠেকে, কেউ কখনই শেখে না। কারণ শেখার আগ্রহ-ইচ্ছা, অভিপ্রায় নেই। রুচির প্রবল সঙ্কটের কারণেই শেখে না। শিখতে পারে না। সৎ এবং ভাল চিন্তায় আচ্ছন্ন থাকলে মানুষ নিজেকে পাল্টাতে পারে, তবে তার মধ্যে প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে, থাকতে হবে সঙ্কল্প। নিজের ভেতরে শুভবোধ জাগ্রত করতে পারলে পরিবর্তন অবশ্যাম্ভাবী। তাই উন্নত মানস গঠন, উন্নত সমাজ গঠনের জন্য রুচিশীল, সংস্কৃতিবান হওয়ার কোন বিকল্প নেই। ॥ দুই ॥ সমাজ-রাষ্ট্রে হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন ‘গুরু বাবা’ মানেÑ ফরহাদ মজহার। অবশ্য তা শুভ অর্থে নয়, মন্দ অর্থে। কারণ এই ‘গুরু বাবা’ ভক্তের সঙ্গে যে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন এবং ভক্তকে চরম বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছেন তাতে তার প্রকৃত চরিত্রের প্রমাণ স্পষ্ট হয়েছে। আসলে নীতিহীন যারা তারা যে কত দ্রুত রূপ পাল্টাতে পারে তার উজ্জ্বল উদাহরণ আলোচ্য এই গুরু বাবা। একই অঙ্গে এর বহুরূপ মানে তিনি বহুরূপী। ছদ্মবেশ ধারণ করেছেন মাত্র! মুখোশের আড়ালে তার যে মুখ তা যে কত ভয়ঙ্কর তা এখন প্রমাণিত। গুরু বাবাকে যারা কাছ থেকে দেখেছেন, ভালভাবে চেনেন-জানেন তারা তাকে ঠিকই বুঝেছেন। তিনি কি পারেন না? কি তার অসাধ্য! সর্বকাজের কাজী এই গুরু বাবা ভোল পাল্টে যে কোন সময় যে কোন রূপ ধারণ করতে পারেন। এখন নতুন প্রজন্ম গুরু বাবাকে নতুন করে জানল আর কি! সঙ্কোচ-দ্বিধা-ভয় এই তিন থাকতে নয়। গুরু বাবা এর সার্থক প্রমাণ দিয়েছেন তার কাজের মধ্য দিয়ে। তিনি অত্যন্ত মেধাবী, সর্বগুণে গুণান্বিত সৃজনশীল, তবে ভ্রষ্ট। সমাজ যতটা না তার দ্বারা উপকৃত হয়েছে তার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢেড় বেশি। কারণ ক্ষতি করার শক্তি-ক্ষমতা যে তার অসামান্য! আলোচ্য গুরু বাবা অনেক ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা নিয়ে ৩ জুলাই যে নাটক মঞ্চস্থ করেছেন তার অভিনয়, নির্দেশনা, প্রযোজনা, পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত যে ব্যর্থ হবে এবং ধরা খাবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। তবে সচেতন এবং সতর্ক দর্শক কিন্তু এই অপহরণ নাটকের গভীর রহস্য কিছুটা আঁচ করতে পেরেছেন। সর্বৈব মিথ্যা এই সাজানো নাটক যে শেষ পর্যন্ত অর্চনা রানীতে গিয়ে পৌঁছবে, আর সবাই যে এতে বিস্মিত এবং বিব্রত হবে তা কিন্তু নয়; কারণ গুরু বাবা বলে কথা! দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছ থেকে ত্রিশ লাখ টাকা বের করে নেয়ার কৌশল এবং নিজের লীলা রানীকে ম্যানেজ করা যায় সে প্রয়াসেই স্বেচ্ছা, ‘অপহরণ’ নাটক সাজিয়ে ধরা খেয়ে অসুস্থতার ভান করে অবশেষে হাসপাতালে। নিশ্চিত নিরাপত্তায় লুকিয়ে নিজেকে সর্বসাধারণের কাছ থেকে আড়াল করার অপকৌশল কি অজানা থাকল! আহ! বেচারা গুরু বাবা! আসলে অন্যায় অপরাধের প্রায়শ্চিত্য এক সময় না এক সময় করতেই হয়। এটাই প্রকৃতির বিধান। দেখা যাচ্ছে গুরু বাবার এক জীবনে নানা মাত্রিক অন্যায়-অপরাধের সঙ্গে যোগ আছে, শেষ পর্যন্ত হেফাজতবাজিতেও নিবদ্ধ হয়েছেন অর্থাৎ উল্টে গিয়ে পাল্টে যেতে তার কোন জুরি নেই। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এতসব অপকর্ম করেও প্রতিনিয়ত জাতিকে নীতিকথার, আদর্শের সবক দিচ্ছেন! যার জীবনে কোন শুদ্ধাচার নেই, নেই সততা তিনি হচ্ছেন এর প্রাত্যহিক ফেরিওয়ালা! তবে অবাক হতে হয় এ রকম মহাভ-, বহুরূপীর পক্ষেও এক শ্রেণীর বিবেকহীন কি রকম স্ট্যান্টবাজি করে? ॥ তিন ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনাথ কিশোরী হাবিবার বিয়ে অবশেষে তেরো জুলাই শুক্রবার সম্পন্ন হলো মহা ধুমধামে। যাদের সহৃদয় উদ্যোগ-আয়োজনে এই বিয়ে, তারা হলেন জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এবং সরকারী শিশু (আশ্রমের) পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা। এর বাইরেও আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসকসহ অনেকের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের কারণে হাবিবা-জাকারিয়ার বিয়েতে আনন্দ-আনুষ্ঠানিকতার কোন খামতি ছিল না। প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতাই সম্পন্ন হয়েছে সকলের উদার সহযোগিতায়। বিশেষ করে পুলিশ সুপার যিনি হাবিবার সত্যিকার বাবার ভূমিকায়ই পালন করেছেন এবং মেয়ে জামাতাকে তার বিভাগে চাকরিও দিয়েছেন। সকলে ধন্যবার্দাহ। এ বিয়েটি সমাজে এ কারণে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যে, যা ছিল অনাথ হাবিবার স্বপ্নের অতীত তাই বাস্তব হয়ে উঠেছে তার জীবনে। এর চেয়ে সৌভাগ্য আর কী হতে পারে। আসলে উপর তলার দায়িত্ব ও ক্ষমতাবান মানুষগুলো যদি নিচের তলার দুর্বল-অসহায়-হতদরিদ্র-অনাথ মানুষের দিকে এভাবে সহনাভূতির ও সহযোগিতার দৃষ্টি নিয়ে তাকায়, হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে কত দ্রুতই না এদের জীবন ভাগ্যের চাকা ঘুরে যেতে পারে। এ জন্য শুধু দৃষ্টিভঙ্গি আর উদার মানসিকতার দরকার। যেমনটি আমরা দেখছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্তমান পুলিশ সুপার এবং অন্যান্যের বেলায়। সত্যি এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত তারা রেখেছেন। অনাথ হাবিবা যে সুন্দর, নির্ভরশীল ও আনন্দপূর্ণ জীবনের সন্ধান পেয়েছে তা অটুট ও অক্ষয় থাকুক এটাই কাম্য। অনাথ হিসেবে হাবিবার ৮ বছর বয়স থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত কেটেছে জেলার শিশু পরিবারে। এখন বয়সের কারণে তার সেখান থেকে চলে যাবার বিধান। এমনি এক সময়ে হাবিবা ১৮ বছরের জীবনে পৌঁছে হঠাৎ যে অনিশ্চয়তা ও অনিরাপত্তার বাস্তবতায় পা দিতে যাচ্ছিল তা যাদের সহানুভূতি ও সহমর্মিতার কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ওর জীবন রঙিন স্বপ্নে জড়াতে ও ভরে উঠতে পারল। তাতে ওর ভাগ্যই ওকে সহায়তা করেছে অনেকটা এ রকমই বলা যায়। ভাগ্য প্রসন্ন না হলে এমনটা ঘটে! অনাথ হাবিবা এখন আর অনাথ অসহায় নয়, সে এখন সরকারী চাকরিজীবী তরুণ জাকারিয়ার জীবন ও নির্ভরতার সঙ্গীও। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার হাবিবাকে কন্যা মর্যাদা দিয়ে যে দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন তা প্রশংসার ধন্য। তিনি হয়ত এক্ষেত্রে জননেত্রী মমতাময়ী শেখ হাসিনার ইতোপূর্বেকার মা হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠারই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করেছেন। ২০১০ সালের ৩ জুনের রাতে নিমতলীর ৪৩/১ নবাবকাটরা ৫তলা বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ১২৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। তার মধ্যে সর্বস্ব হারানো উম্মে ফারওয়া আক্তার রুনা, সকিনা আক্তার রতœা ও আসমা আক্তার শান্তাÑএই তিন কন্যাও ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনা জানতে পেরে মানবিক বোধ থেকে এতিম অসহায় এ তিন কন্যার সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন। তিন কন্যাকে ৯ জুন গণভবনে আনন্দঘন পরিবেশে প্রধানমন্ত্রী শুধু বিয়ে নয়, তাদের জামাতাদের চাকরিও দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে নাতি-নাতনিদের নামও রেখে দিয়েছেন তার পছন্দ মতন। এখনও তাদের ভাল-মন্দের খোঁজ নিচ্ছেন নিয়মিত। এমনকি গণভবনে ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় সব অনুষ্ঠানে তিনি তার কন্যাদের সপরিবারে নিমন্ত্রণ করেন এবং উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকেন। একজন সত্যিকারের দায়িত্বশীল মায়ের ভূমিকাই তিনি পালন করে যাচ্ছেন। আমরা আশা করব অনাথ হাবিবা ও তার স্বামী জাকারিয়ার প্রতি জনাব মিজানুর রহমান প্রকৃত পিতার ভূমিকাই আগামী দিনগুলোতে পালন করে যাবেন। প্রথমত প্রধানমন্ত্রী ৯ জুন ২০১০ অনাথ তিন কন্যাকে বিয়ে দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারই অনুসরণে জনাব মিজানুর রহমান অনাথ হাবিবাকে কন্যার মর্যাদায় বিয়ে দিয়ে আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, যা দেখে আমরা মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হলাম। এ রকম আরও হাবিবা যারা দৃষ্টির অন্তরালে রয়েছে তাদের প্রতি যদি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বানরা মানবীয় দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসেন তাহলে অনেক হাবিবার জীবনে অনিন্দ্য সুন্দর স্বর্গ রচিত হতে পারে। আর এভাবেই কেটে যেতে পারে সহসাই তাদের জীবনের অন্ধকার। লেখক : সাংবাদিক [email protected]
×