ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হজ ফ্লাইট শুরু ২৪ জুলাই

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১৯ জুলাই ২০১৭

হজ ফ্লাইট শুরু ২৪ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছর হজে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২৪ জুলাই। তা শেষ হবে আগামী ২৬ আগস্ট। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট ৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ৫ অক্টোবর। চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু, ফলপ্রসূ ও নির্বিঘœভাবে সম্পন্ন করতে সচিবালয়ে মঙ্গলবার এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স সমান অনুপাতে হজযাত্রী পরিবহন করবে জানিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬৩ হাজার ৫৯৯ ও সৌদি এয়ারলাইন্সও ৬৩ হাজার ৫৯৯ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের হজের আগে মোট ফ্লাইট ১৭৭টি। এর মধ্যে ডেডিকেটেড (শুধু হজযাত্রী পরিবহন) ফ্লাইট ১৪৪ ও সিডিউল ফ্লাইট ৩৩টি। বিমানের হজের পরে ফ্লাইট ১৬৯টি। এর মধ্যে ডেডিকেটেড ১৩৯ ও সিডিউল ফ্লাইট ৩০টি। সৌদি এয়ারলাইন্সের সবগুলোই সিডিউল ফ্লাইট। বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, আগেরই একটি সিদ্ধান্ত ছিল যেটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। অবশ্য বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে, তবে এটা হবে। তা হলো মদিনা ফ্লাইট। আমরা বলেছি ৩০ শতাংশ হজ ফ্লাইট (ঢাকা থেকে) মদিনায় যেতে হবে। যাত্রীদের চাহিদা অনুসারে হাব (হজ এজেন্সিস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ), এ্যাটাব (এ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ), বিমান ও সৌদিয়া এয়ারলাইন্স বসে ঠিক করে নেবে কতগুলো ফ্লাইট যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে মদিনায় যাওয়ার জন্য বিমান ও সৌদিয়ার দুটি করে মোট চারটি ফ্লাইট নির্ধারিত আছে। রাশেদ খান বলেন, আমরা সিটি চেক ইন চালু করেছিলাম, যার জন্য বিমান ও সৌদিয়ার ক্ষেত্রে একটা চার্জ নেয়া হতো। কিন্তু সৌদিয়া এটা গত বছর ও এর আগের বছর করেনি। তারা একটা কন্ডিশন দিয়েছে আমাদের একটি এগ্রিমেন্টে সই করতে হবে, সেটা হয়নি বলে তারা (সিটি চেক ইন) করছেন না। এজন্য হাব ও অন্যান্য জায়গা থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিমানও যাতে সিটি চেক ইন না করে। এটা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব, কারণ এ সিদ্ধান্তটা কেবিনেটের। তবে এবার সিটি চেক ইন না হওয়ার সম্ভাবনাই রয়ে গেছে। হজ শেষে হাজিরা মক্কা বা মদিনা থেকেই তাদের মালামাল জমা দেবেন এবং ঢাকায় বিমানবন্দরে এসে ফেরত পাবেন। কেন সিটি চেক-ইন বাতিল করা হচ্ছে- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি এটা সুবিধা, তবে এজেন্সিরা মনে করে অসুবিধা। এজন্য তারা কিছু সিকিউরিটি রিজনের কথা বলেন। ইতোমধ্যে নেয়া সিটি চেক ইনের টাকা হজ শেষে ফেরত দেয়া হবে। বিমানমন্ত্রী বলেন, এবার যাতে বিমান খালি না যায় এজন্য ৫০ শতাংশ ভাড়া আগে থেকেই নিয়ে নেয়া হচ্ছে। যাতে সময় মতো এজেন্সিগুলো টিকেট সংগ্রহ করে নেয়। সৌদি এয়ারলাইন্স আগে থেকেই ৫০ শতাংশ ভাড়া অগ্রিম নিচ্ছে জানিয়ে মেনন বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিত না। ফলে অনেক সময় বুকিং ক্যানসেল হয়ে যেত, এতে বিমান খালি যেত। বুকিং নিশ্চিত করে শিডিউল ঠিক রাখার জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগে সৌদিয়া উভয় দিকের বোডিং পাস দিত, এবার বিমানও উভয় পাশের বোর্ডং পাস দেবে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিমান ফিরতি ফ্লাইটে জমজমের পানি নিয়ে আসবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরে আলাদা জায়গায় এটা (জমজমের পানি) রাখা হবে। হজযাত্রীরা ফিরে এসে টোকেন দিয়ে জমজমের পানি নিয়ে যাবেন। তবে সৌদি এয়ারলাইন্স আলাদা করে জমজমের পানি আনেন না। তারা যাত্রীর সঙ্গেই পানি দিয়ে দেয়। বিমানমন্ত্রী বলেন, বিমানের ভাড়া নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা বাইরে হচ্ছিল। আমি আপনাদের জানাতে চাই বিমান ও সৌদিয়ার ভাড়ায় খুব সামান্য ডিফারেন্স আছে। সৌদি এয়ারলাইন্সের ভাড়া বিমানের ভাড়া থেকে ২০০ টাকা বেশি। ‘একটা কথা প্রায়ই সাংবাদিক বন্ধুরা জানতে চাচ্ছেন, কিছু ভাড়া বৃদ্ধি কেন হয়েছে। এটার কারণ আমাদের সংসদে যে বাজটে হয়েছে সেখানে এক্সাইজ ডিউটি নতুন করে আরোপ হয়েছে। আরেকটা সমস্যা হচ্ছে বিমানবন্দরে আইও ট্যাক্স হিসাবে ধরা হয়েছে ৫০ রিয়াল আসলে এটা ১৭৪ রিয়াল। এই পার্থক্যের বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেবে, যাতে কোন অসুবিধা নয়।’ যাদের ভুলে এ অবস্থার সৃষ্টি হলো তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে মেনন বলেন, সেটা নিয়ে অলরেডি আলোচনা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এটা নিয়ে আলাদা বৈঠক হবে, সেখানে কথাবার্তা হবে। হজের সময় বিমানের টিকেট সিন্ডিকেটের অভিযোগ উঠে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় টিকেট নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে। টিকেটিংয়ের ক্ষেত্রে যদি সিন্ডিকেট থাকে তাহলে জড়িত এজেন্সিগুলোর বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাব ও এ্যাটাবকে আমরা এটা সব সময় জানিয়ে থাকি তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নেবে।
×