স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ নিউজিল্যান্ড, ফ্রান্স ও দুবাই থেকে আগত তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল মঙ্গলবার দিনভর পদ্মা নদীতে ঘুরে সেখানে কর্মরত দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীদের নিকট থেকে ১৪টি পিলার সম্পর্কে ধারণা নিয়েছেন। জেনেছেন মাটির অবস্থান। কত মিটার গভীরে কি প্রকার মাটি পাওয়া গেছে তা সম্পর্কেও ধারণা নিয়েছেন তারা। সোমবার তিন সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ দল মাওয়ায় এসে পৌঁছে।
পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী জানান, বিশেষজ্ঞ দলটি সরজমিনে আরও কয়েকদিন নদীতে পাইলিংয়ের অবস্থান দেখবেন। এরপর তারা কাগজ-কলম আর গ্রাফিক্সের মাধ্যমে কাজ করে এই ১৪টি পিলারের চূড়ান্ত ডিজাইন তৈরি করবেন। খুব শীঘ্রই তারা এর সমাধান করে ফিরে যাবেন। আর এই ১৪টি পিলারের চূড়ান্ত ডিজাইন হলে গেলেই এখানে পাইলিংয়ে কাজ শেষ করে বেস ঢালাইয়েই কাজ শুরু হবে।
পদ্মা সেতুতে মোট ৪২টি পিলার রয়েছে। ইতোমধ্যে ২৮টি পিলারের চূড়ান্ত ডিজাইন হয়ে গেছে। এসব পিলারের অধিকাংশই পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়ে গেছে। নদীর নিচে কোথাও কাদা, কোথাও বেলে, কোথায় দোয়াশ মাটিসহ নানা প্রাকার মাটির বৈচিত্র্যের কারণে এই ১৪টি পিলারের পাইলিংয়ের কাজ ব্যহত হচ্ছিল। এখন ডিজাইন চূড়ান্ত করবে এই তিন দেশের বিশেষজ্ঞরা। এরা এখন এই ১৪টি পিলারের গভীরতা কি হবে তা নিয়ে কাজ করছেন। কারণ পালিং করতে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মা নদীর নীচে মাটির নানা বৈচিত্রতা রয়েছে। একারণে নির্দিষ্ট দূরত্বে (মাটির গভীরে) পাইলিংয়ের কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে এই তিন দেশের বিশেষজ্ঞকে আনা হয়েছে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকায়। এছাড়া সোমবার জাজিরা প্রান্তে ৩৭ নং পিলারের বেস ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।