ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঠিকানা বদল হচ্ছে এ্যাগুয়েরো ও সানচেজের!

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৮ জুলাই ২০১৭

ঠিকানা বদল হচ্ছে এ্যাগুয়েরো ও সানচেজের!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মধ্যবর্তী দলবদল শেষের দিকে। ঘাটতি পোষাতে বিভিন্ন ক্লাব পছন্দের ফুটবলারকে দলে ভেড়াচ্ছে। এরই মাঝে শোনা যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে চেলসিতে যেতে পারেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও এ্যাগুয়েরো। এ্যালেক্সিস সানচেজেরও নাকি আর্সেনাল ছাড়ার সম্ভাবনা আছে। আর আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোর সঙ্গে আরও চার বছরের চুক্তি বাড়িয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অন্যদিকে বেলজিক ফরোয়ার্ড রোমেলো লুকাকুকে সাজেশন্স দিয়েছেন সদ্যই ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছেড়ে আসা তারকা ওয়েন রুনি। আর্সেনালের হয়ে পরবর্তী মৌসুমে আর খেলতে চান না সানচেজ। এ্যাগুয়েরোকেও সামনের মৌসুমের জন্য দলে রাখতে চান না ম্যানচেস্টার সিটি কোচ পেপ গার্ডিওলা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ চ্যাম্পিয়ন চেলসি এ্যাগুয়েরোর ব্যাপারে আগ্রহী হলেও সানচেজের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় তেমন আগ্রহ দেখায়নি কোন ক্লাব। চিলিয়ান ফরোয়ার্ড সানচেজের ব্যাপারে তাই দারুণ বুদ্ধি এঁটেছেন পল মারসন। সাবেক আর্সেনাল তারকার পরামর্শ, সানচেজের সঙ্গে এ্যাগুয়েরোকে অদল-বদল করার ব্যাপারে ম্যানসিটিকে রাজি করালেই সব সমস্যার সমাধান মিলবে। আর্সেনালের হয়ে ১৯৮২ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত খেলা সাবেক গানার্স তারকার মতে সানচেজ অবিক্রয়যোগ্য রতœ। চিলিয়ান তারকার সমমানের কোন খেলোয়াড় দলে না পেলে তাকে ছেড়ে দেয়া উচিত হবে না আর্সেন ওয়েঙ্গারের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না সানচেজকে ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে। আর্সেনালের হয়ে সে ৩০টি গোল করেছে। টানা ২০ বছর চ্যাম্পিয়ন্স লীগে খেলা আর্সেনাল এই প্রথম ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে পৌঁছাতে ব্যর্থ। তাই সানচেজ জানিয়ে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লীগ খেলবে এমন একটা দলের হয়েই খেলতে চান তিনি। অন্যদিকে এ্যাগুয়েরোকে চলতি দল বদলে ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা ম্যানসিটির। এই সুযোগটাই নেয়ার জন্য আর্সেনালকে পরামর্শ দিয়েছেন মারসন। তিনি বলেন, সে দারুণ একজন ফুটবলার এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। যদি আমি আর্সেনালে থাকতাম তাহলে ম্যানসিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতাম। ওদের বলতাম আমাদের এ্যাগুয়েরোকে দাও, সানচেজকে নিয়ে যাও। তারচেয়ে এ্যাগুয়েরো বেশ ভাল একজন খেলোয়াড়। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক রোমেরোর সঙ্গে চার বছরের নতুন চুক্তি করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। চুক্তি আরও এক মৌসুম বাড়ানোর সুযোগও রাখা হয়েছে। ২০১৫ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবটিতে যোগ দেন রোমেরো। এরই মধ্যে দলটির প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সর্বশেষ মৌসুমে ইউনাইটেডের ইউরোপা লীগ জয়ে ভাল অবদান ছিল রোমেরোর। দলটির শুরুর একাদশে থেকে খেলেছেন ১২টি ম্যাচ, ছিলেন আয়াক্সের বিরুদ্ধে ফাইনালেও। সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলেন ১৮টি ম্যাচ। রোমেরোর প্রশংসা করে ম্যানইউ কোচ জোশে মরিনহো বলেন, রোমেরো দারুণ একজন গোলরক্ষক। সে ভাল একটি মৌসুম কাটিয়েছে এবং তার পারফর্মেন্স ছিল অসাধারণ। বিশেষ করে আমাদের ইউরোপা লীগের সাফল্যে। এদিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সদ্য যোগ দেয়া রোমেলু লকাকুকে সতর্ক করে দিয়ে ক্লাবটি ছেড়ে আসা স্ট্রাইকার রুনি বলেছেন, সেখানে সফল হতে হলে তার মানসিক দৃঢ়তা থাকতে হবে। ইউনাইটেডে দীর্ঘ ১৩ বছর কাটিয়ে ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলের মালিক রুনি সেখান থেকে এভারটনে ফিরে এসেছেন। ৩১ বছর বয়সী এই ইংলিশ স্ট্রাইকার মনে করেন, মরিনহোর দলে নিজের যোগ্যতা দেখাতে পারবেন লুকাকু। তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে কোনভাবেই মানসিক দুর্বলতা দেখন চলবে না। সেরা নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে হলে তাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। রুনি বলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলতে হলে মানসিক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে। আপনাকে অবশ্যই মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। যে কোন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার সামর্থ্য থাকতে হবে। ইউনাইটেড এমন একটি ক্লাব যেখানে সবসময় সফলতার তাগিদ থাকবে। এই চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য লুকাকুকে মানসিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী থাকতে হবে।
×