ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ধ্রুব হাছান

আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে ঈশান আলো...

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৮ জুলাই ২০১৭

আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে ঈশান আলো...

যুগে যুগে জগতে গীত হয়েছে তরুণ ও তারুণ্যের জয়গান। প্রবীণের প্রজ্ঞা ও পরামর্শ, নবীনের বল-বীর্য, সাহস ও উদ্দীপনায় পৃথিবীতে আসে পরিবর্তন। অসম্ভবকে সম্ভব করতে ঝুঁকি নিতে পারে শুধু তারুণ্য। তরুণ বা নওজোয়ানদের অসাধ্য কিছু নেই। প্রথা ভাঙ্গায় দুঃসাহস দেখাতে পারে শুধু তরুণেরাই। এখন সর্বত্রই তারুণ্যের উজ্জ্বলতা দৃশ্যমান, তরুণরা। এখন আর পিছিয়ে নয়। দুর্বার তারুণ্য। দুরন্তপনা আর চাঞ্চল্যতায় ভরপুর তারুণ্য। কোন কিছুতেই সে হার মানে না। তারুণ্য জানে না পিছু চলতে। তারা শুধু সামনে চলতে জানে। দুর্বার গতিতে বিশ্বকে জয় করাই তারুণ্যের ব্রত। তারুণ্য পরিবর্তনকামী। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে থাকে যেন। জয়ের স্বপ্ন অভয়কে প্রশ্রয় দেয়ায় যেন তারুণ্যের সার্থকতা। সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ ও সুষ্ঠু সমাজ গঠনে সফলতার চূড়ায় পৌঁছাতে তরুণদের ভূমিকা থাকে সবচেয়ে বেশি। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপট থেকে শুরু“ করে আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তরুণরাই থাকে চালকের আসনে। তরুণ সমাজের বিরুদ্ধে একটা অপবাদ রটেছে। আজকের তরুণ-তরুণীরা নাকি আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে ! না আমাদের তরুণরা আত্মকেন্দ্রিক নয়। বরং স্বপ্ন দেখে একটি পৃথিবীর যেখানে থাকবে না কোন দারিদ্রতা, থাকবে না কোন অসুস্থ ছেলেবেলা। সেই সব স্বপ্নবাজ তরুণরা মিলে তৈরি করেছে ঈশান আলো নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মূলত একটি বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজের কিছু স্বপ্নবাজ তরুণ মিলে তৈরি করেছে এই সংগঠনটি। পথ শিশুদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া, বিভিন্ন দিবসে তাদের সঙ্গে হাসি আনন্দ ভাগ করে নেয়াই এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কাজ। এই ঈদে ও ঈশান আলো থেকে আয়োজন করা হয়েছিল পথশিশু ও অনাথ শিশুদের জন্য ঈদবস্ত্র বিতরণের। কথা হচ্ছিল সংগঠনটির সদস্য সাদিক তারেকের সঙ্গে তিনি বললেন, আমাদের গ্রীন লাইফ মেডিক্যাল কলেজের সহপাঠীরা মিলে এই সংগঠনটি গড়ে তুলি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আমরা যেহেতু সবাই মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী তাই মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে যদি কোন দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি এটাই আমাদের সার্থকতা। যেমন ধরেন প্রতি ঈদে কত কিছু কেনাকাটা করি আমরা। সবার আগে বাসার ছোট সদস্যের জন্য সবচেয়ে ভাল জিনিসটা কিনতে ব্যস্ত থাকি আমরা। হয়ত রাস্তার সুবিধাবঞ্চিত শিশুগুলো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকবে, আমাদের হাতের রং বেরংয়ের শপিং ব্যাগের দিকে। তার থাকা-খাওয়ারই কোন ঠিক নেই। আবার ঈদের কাপড়!!! তারপরও মানুষ তো, শিশু তো, এত নিয়ম নীতি কি এই মন মানে? মনটা তো চায় নতুন কাপড় পরতে। ঈদে নতুন জামা উচ্চবিত্ত-সাধারণ মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত সকল মানুষের কাছেই যেন ভাতের সঙ্গে তরকারি খাওয়ার মতো তুচ্ছ ব্যাপার। শুধু পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত বন্ধুরাই বঞ্চিত থাকে এই খুব সাধারণ ব্যাপারটি থেকে। এদের একটু আনন্দ দিতে, ঈদের আনন্দ একটু ভাগ করে নিব বলে আমরা এবারও আয়োজন করি ঈদ বস্ত্র বিতরণের। প্রায় শতাধিক অনাথ ও পথশিশুদের মাঝে আমরা ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছি এটাই আমাদের পরম পাওয়া।
×