ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৮ জুলাই ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

রোদঝলসিত শ্রাবণের প্রথম দিন এই কলাম লিখতে বসে রবিঠাকুরের একটি গানের কলি মনের ভেতর গুনগুনিয়ে উঠলÑ এই শ্রাবণের বুকের ভিতর আগুন আছে। না, কবি মোটেই শ্রাবণ-রোদ্দুরের জয়গান করেননি গানটায়। বরং রয়েছে অন্তরের অনলের কথা; বাদল হাওয়া যার হুহুঙ্কারে পাগল হয়; সে-আগুনের রূপ হচ্ছে কালো, যা কবির চোখের পরে নাচে আর সেই কালো আভার কাঁপন দেখা যায় তালবনের গাছে গাছে। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য ভাদ্রের মাঝামাঝি সময়ে এ গানটি রচনা করেছিলেন। তবু গত দুদিনের বৈশাখী তীব্র রোদকে স্মরণ করিয়ে দেয়া ঢাকার শাওন-রোদ, আর ছত্রিশ ছুঁইছুঁই মারাত্মক গরমে হাঁসফাঁস কষ্টের ভেতরেও মনে-মনেই একটু রসিকতা করা গেল। অবাক শ্রাবণ অবাক শ্রাবণ দেখে ঢাকাবাসী নিশ্চয়ই হতবাক, কারণ মাত্র কয়েকটা দিন আগেই তো রাজধানী দেখেছে কয়েক ঘণ্টার ‘বন্যা’! এক সপ্তাহের লেজ ও মাথায় দেখা গেল সম্পূর্ণ বিপরীত দুই চিত্র। সত্যিকারের আষাঢ়ে বর্ষণ এবং চরম রোদ্দুরে প্রায় খরা-দশা। বর্ষার কারণে গত মঙ্গল ও বুধবার দিশেহারা ঢাকাবাসী রীতিমতো নাজেহাল হয়েছেন। সংবাদপত্রগুলো অবশ্য ধানম-ি সাতাশ নম্বরের জলমগ্ন সড়কের ছবিই বেশি ছাপিয়েছে। মহানগরের অভিজাত ও আধুনিক এলাকাগুলোর ভেতর ধানম-ির অবস্থান অন্যতম। তাই এটিকে প্রতীকী ছবিও ধরে নেয়া যেতে পারে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর মতোÑ দেখ দেখ রাজধানীর এই হচ্ছে দশা; তাকে রাজরানী না বলে চাকরানি বললেও ভুল হবে না। নিষ্কাশন ব্যবস্থার দুর্বলতা ও পকিল্পনাহীনতার জন্যই মূলত ঢাকায় কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টিতে সীমা-ছাড়ানো জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। উন্নয়ন কাজের জন্য কেটে রাখা রাস্তা, আর সংস্কার না করা খানাখন্দ মিলে নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। আমাদের সিটি করপোরেশন ও ওয়াাসার ভেতর সমন্বয় থাকলে এই জলাবদ্ধতা সন্দেহাতীতভাবে কমে আসত। বর্ষাকাল এলে ঢাকার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে, বাধ্য হয়েই লিখতে হয়; আমাদের কলম তাকে এড়াতে পারে না। যানজট তো ঢাকার নিয়মিত বৈশিষ্ট্য; এ নিয়ে আর কত লেখা যায়। তবু কখনও কখনও সেটি লাগামছাড়া অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেলে না লিখে উপায়ও থাকে না। পাঠকরা বিরক্ত হলেও কিছু করার থাকে না। ফ্লাইওভারের ওপর যানজটের শিকার হয়ে স্থবির থাকলে কিছুটা ভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হয়। পরপর দু’দিন এই অভিজ্ঞতা হলো। বৃহস্পতিবার সকালে ও শনিবার সন্ধ্যায়। শনিবার তবু অনেকের অফিস থাকে, শুক্রবার প্রায় সব চাকরিজীবীরই ছুটি। ঢাকায় এখন শুক্র-শনিবার কোন আলাদা দিবস নয় যানজটের মাত্রা হ্রাস পাওয়ার। শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘বিশ্বসাহিত্য’ বিষয়ক অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং ছিল টেলিভিশনে। রামপুরাস্থ টিভি সেন্টারকে যদি কেন্দ্র ধরি তবে তার পুব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ চার দিক থেকেই অধ্যাপক-চিত্রশিল্পী-আবৃত্তিকার-উপস্থাপক সেখানে যাওয়ার পথে ভয়াবহ যানজটে পড়েন। সেজন্য বাড়তি সময় নষ্ট হয় গড়ে এক ঘণ্টা করে। তো এই হলো ঢাকাবাসীর শুক্রবার। সে যাক, যা বলছিলাম, ফ্লাইওভারে জ্যামে পড়া। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় পৌঁছোন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। আমরা যানজটে পড়ি মহাখালী ফ্লাইওভারে। উড়াল সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নামতে লেগে যায় পৌনে এক ঘণ্টা। আর শনিবার সন্ধ্যা বেলা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া লন্ডনের উদ্দেশে বিমানে আরোহণের জন্য যান বিমানবন্দরে। কুড়িল-বিশ্বরোড প্রান্ত থেকে খিলক্ষেত প্রান্তে আসতে উড়াল সড়কে বসে থাকতে হয় পৌনে এক ঘণ্টা। ফ্লাইওভারের ওপরে যানজটে স্থবির থাকলে নিচেও শত-হাজার স্থবির গাড়ির দেখা মেলে। এই মহানিশ্চলতা মনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। গতিময় মোটরকারের এই শব্দহীন স্থবিরতা এক ধরনের অনিশ্চয়তাবোধ ও অসহায়তার জন্ম দিতে পারে যাত্রীর হৃদয়ে। মনোবিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই এর ভাল ব্যাখ্যা দেবেন। ‘রক্তিম’ প্রতিবাদ! ঢাকায় হররোজ কোন না কোন পক্ষ কোন না কোন ইস্যু নিয়ে মাঠ গরমের প্রয়াস পান। প্রতিবাদের ভাষা কত বিচিত্র হতে পারে তার উদাহরণও মিলছে এতে। ফুটবল খেলায় ফাউল করলে রেফারি খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখিয়ে থাকেন। তার সোজাসাপ্টা অর্থÑ বেরিয়ে যাও মাঠ থেকে, তোমার খেল খতম। ঢাকার দুই মেয়র মহোদয়ও বিলক্ষণ ফাউলই করেছেন। তাই তাদের লাল কার্ড দেখিয়ে দেন নাগরিকেরা। বিশেষ করে উত্তরাংশের মেয়র আনিসুল হক ঢাকাবাসীর মনে আঘাত দিয়েই কথা বলেছিলেন এডিস মশার দঙ্গলকে কাবু করতে না পেরে। সত্যি সত্যি ঢাকায় মহামারী আকারে চিকুনগুনিয়া ছড়িয়ে পড়বেÑ এমনটা আশঙ্কা কে করেছিল? এডিস মশা কিন্তু ‘গৃহপালিত’ মশা। তবে ঢাকায় নির্মীয়মান ভবনগুলো কিংবা পরিত্যক্ত বা আধা সমাপ্ত বাড়িতেও এডিস মশার বংশ বিস্তার ঘটে থাকে বৃষ্টির পরিষ্কার পানিতে। তাছাড়া যেখানে ডাবের খোলা ফেলা হয় সেখানেও ওই চিৎ হয়ে থাকা ডাবের খোলায় জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। সবচেয়ে বড় কথা যেসব বাড়ির ছাদে বাগান আছে, সেখানকার টবের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতেও এডিস মশা জন্মে। তাই এডিস মশা নির্মূল করতে হলে ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। ঘরে ঢোকার অনুমতি তো আর বাইরের লোকের নেই। বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে পারতেন মেয়র আনিসুল হক। তা না করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশারি টানানোর অপারগতার কথা বলে ফেলেন। এটি কিছুটা শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যও হয়েছে বটে। যা হোক, তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরে দ্রুততার সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন; তবে এ নিয়ে কথামালা গাঁথছেন লাখো মানুষ। তাতে রসবোধও ঝরে পড়ছে বেশ। সে প্রসঙ্গে যাবার আগে পাঠকদের জানাতে চাই চিকুনগুনিয়া ঠেকাতে এক অভিনব আয়োজনের কথা। চিকুনগুনিয়া ঠেকাতে ছাড়া হচ্ছে ব্যাকটেরিয়াযুক্ত মশা। ঠিক পড়েছেন। তবে এটি ঢাকায় নয়, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনোতে। সেখানে ব্যাকটেরিয়াযুক্ত দুই কোটি পর্যন্ত মশা ছাড়বে একটি শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তবে এই ঘটনায় ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই প্রচারণা মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যালফাবেট-এর ভেরাইলি লাইফ সায়েন্সেস বিভাগের একটি পরিকল্পনার অংশ। বিশেষায়িত এই পুরুষ মশাগুলোর শরীরে একটি ব্যাকটেরিয়া যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এই মশাগুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। এগুলো বন্য স্ত্রী মশার সঙ্গে প্রজননের পর বংশবিস্তারে সক্ষম নয় এমন ডিম সৃষ্টি করবে। এর মাধ্যমে মশার সংখ্যা ও এগুলোর মাধ্যমে রোগের সংক্রমণও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, বলা হয়েছে ব্লুমবার্গ-এর ওই প্রতিবেদনে। এক্ষেত্রে লক্ষ্য হিসেবে নেয়া হয়েছে এডিস ইজেপ্টাই মশাকে। এ মশা জিকা, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস বহন করে। ধানম-ির গৃহিণী সালমা লুনার ফেসবুক পোস্টটি পড়ে বেশ মজা পেলাম। মিছরির ছুরি চালিয়েছেন ভদ্রমহিলা। উঠে এসেছে নাগরিক বিড়ম্বনা ও ভোগান্তির অপ্রিয় কিছু কথা। পাঠকদের সঙ্গে শেয়ার না করে পারছি না। সালমা লিখেছেন, ‘বোবার শত্রু নাই- নতুন করে বোঝা গেলো! এক ব্যক্তি জনগণের জন্য কিছুমিছু কাজ করে, এলাকার রাস্তাঘাট পয়পরিষ্কার করে, লেকের পাড় রাস্তার ধার চলাচলের যোগ্য করে ফুল ফুটিয়ে ফেললো তবুও এক মশার জন্য মুখ খুলে কামানের তোপের মুখে পড়েছে। বেচারা! আরও একজন যে আছে ! কী সুন্দর, টেরই পাওয়া যায় না। রাস্তাঘাটে খেয়া চলে, ময়লার ডিপো তো জনগণের নাকে ডগায় ডগায়, দিনের পর দিন রাস্তা খুঁড়ে উদোম হয়ে পড়েই আছে, মশা ভনভন- চিকুনগুনিয়া শনশন! ইনি স্পিকটি নট! আরামে আছেন। একে নিয়ে কেউ কিচ্ছু বলছে না। উল্টা দক্ষিণ এলাকার অধিকর্তা না হলেও উত্তরের উনি মুখ খুলে দুটো কথা কইলেন বলে দক্ষিণের জনগণও তাকেই ধুয়ে দিচ্ছে সার্ফ এক্সেলে। কী এমন বলেছেন বেচারা! আপনি শৌখিন মানুষ, বারান্দা ছাদ ঘরের আনাচে কানাচে কোথাও বাদ দেননি গাছ লাগাতে। একটা আইসক্রিমের ফেলে দেয়া কাপেও পানি দিয়ে একটা গাছ বুনে আপনি আপনার কারিশমা দেখান। কিন্তু হলপ করে বলুন তো, আপনি এই চিকুনগুনিয়ার মহামারীর কালে আপনার এইসব ক্যারিশমাতে একটু খোঁজখবর করেছেন! চিকুনগুনিয়ার মশা কোথায় কিভাবে ছড়ায় তা আপনি আদৌ জানেন কি?! জানলে তার জন্য কী করেছেন? নিয়মিত মশারি টানান তো? আপনার মশারিখানা টানাতে কারও আশায়ই থাকবেন না যেন! আহা! বেচারা এই কথাগুলোই গুছিয়ে বলতে পারেননি। কী বলতে কী বলে ফেলেছেন! কিন্তু এরপর দুঃখিতও হয়েছেন। আবার সেটি প্রকাশেও পিছপা হননি। আর আরেকজন যে কাজও নেই কম্মোও নেই। একেবারে কানে তুলো পিঠে কুলো দশা! একরাতের বৃষ্টিতে রাস্তায় নৌকা চলল। উনি চুপ। চিকুনগুনিয়ার এটমবোম ফুটলো। উনি চুপ। অন্য এলাকার কথা জানি না, ধানম-ির রাস্তাঘাটে ময়লার মচ্ছব। বত্রিশের নাকের ডগায় এতদিন ধরে যে পার্ক তৈরি হলো তার ঢোকার গেট ভেঙে সেখানে ময়লার ভাগাড় যে ফিরে এলো, ধানম-ির রাস্তাগুলো যে বাতিবিহীন- তা নিয়ে তো কেউ কিচ্ছুটি বলছে না। অল কোয়ায়েট অন দ্য নর্দান ফ্রন্ট! কবে থেকে শুনছি সকল বাণিজ্যিক ভবন অপসারিত হবে, আবাসিক এলাকা বাসযোগ্য হবে। উনার মেয়াদকাল তো বার্ধক্যে চলে যায় তবুও কিছুই নাহি দেখা যায়! আসলে ওই একটাই কথা। বোবার শত্রু নাই। উনি বোবা সেজে আছেন তাই। কথা কইলেই লোকে ক্যাঁক করে ধরবে যে! আর বলিহারি নর্দান ফ্রন্টেরও! জনগণ একজনকেই দেখে। নায়কের মতো দেখতে বলেই কি বাপু সারাক্ষণ ওইদিকেই চেয়ে থাকতে হবে?! বলি, উনি তো আমাদের লোক নন! আমাদের লোকটিও তো নধরকান্তি নাদুসনুদুস। তার দিকেও একটু কৃপাদৃষ্টি পড়ুক! শালা এক মচ্ছর আদমিকো নায়ক বনা দেতা হ্যায় ঔর এক কো ভিলেইন !’ টিভি ব্যক্তিত্ব আবদুন নূর তুষারের পোস্ট থেকে খানিকটা তুলে দিচ্ছি। এটি ফেসবুকে বহুল পঠিত ও তুমুল আলোচিত তিনি লিখেছেন, ‘ঢাকার মেয়র মশা ও মশারী নিয়ে একটি মন্তব্য করেছেন যা অনভিপ্রেত। মানুষ তার কাছে প্রত্যাশা করে তিনি তার অপারগতার কথা বলবেন তাদের পরিচিত আনিসুল হকের মতো করে। যে আনিসুল হককে তারা ভালবাসে তার স্পষ্টবাদিতা ও সাহসের জন্য। যারা তাকে ভোট দিয়েছে টেলিভিশনের প্রিয় মানুষ কিংবা ব্যবসা সফল নেতৃত্বের কথা মনে রেখে, তারা তার কাছ থেকে কঠিন সত্যটিকেও আপনজনের মতো শুনতে চায়। এডিস মশার মশারী টাঙ্গানোর কাজটি শুধু নয়, তিনি বাড়ির ভেতরে ঢুকে ওষুধ ছিটানোর এক্তিয়ার রাখেন না। ৫ দিনের জায়গায় ৩ দিন পর পর ফগিং করলে কেবল উড়ন্ত মশা নয়, সব কীটপতঙ্গই মারা যায়। এজন্যই ঢাকায় প্রজাপতি নেই, ফড়িং নেই, বোলতা নেই, ভোমরা নেই, মৌমাছি নেই। তাছাড়া ঘন ঘন স্প্রে মানুষের জন্যও ভাল নয়। তারপরেও তিনি জনদাবিতে স্প্রে করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। সব কথার পরেও মানুষ তার কাছে আশ্বাস চায়, অপারগতার কথা শুনতে চায় না। তারা চায় তিনি সমব্যথীর মতো কথা বলবেন। মাননীয় মেয়র, আপনাকে ধৈর্য হারালে চলবে না। বরং সর্বংসহা হতে হবে। দীর্ঘদিনের একটা অপরিকল্পিত নগর রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যার কথা আমরা জানি। আপনার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতাও আমরা জানি। এটা যেহেতু সারাদেশের সমস্যা, এটা সারাতে যার যার অবস্থান থেকে অংশগ্রহণ জরুরী। এখানে আপনার যেমন দায় আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের, জনস্বাস্থ্য বিভাগের, এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েরও দায় আছে।’ ১৬ জুলাই ২০১৭ [email protected]
×