ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাহজালালে প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৮ জুলাই ২০১৭

শাহজালালে প্রতারক গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চেহারা সুরত দেখে সন্দেহ করার সুযোগ নেই- তিনি একজন দুর্ধর্ষ প্রতারক। ঠিক বলিউডের অমিতাভ বচ্চনের মতো চুল, সুদর্শন চেহারা। কথা বার্তায়ও ওভার স্মার্ট। পরিচয়ও দেন একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসেবে। ঘুরে বেড়ান শাহজালাল বিমানবন্দরের আনাচে কানাচে। টার্গেট- বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিশেষ করে নারীদের সঙ্গে বিশ্বস্ততার ভান করে দেশী-বিদেশী মুদ্রা হাতিয়ে নেয়া। সোমবার সকালে এমন প্রতারণার অভিযোগে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) হাতে ধরা পড়েন প্রতারক মফিজ। থাকেন টঙ্গীর আরিচপুরে। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচরে। আর্মড পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর নিজেই স্বীকার করেন তার অপরাধ। এখন থানায় বসে বিলাপ করছেন, একি হলো। পুলিশ জানায়, গত ২৮ জুন দাম্মাম থেকে জিজি ০৫০ ফ্লাইটে শাহজালালে অবতরণ করেন চম্পা আক্তার (পাসপোর্ট নং- বিএ ০৯৩৫৮৬৩) নামে এক যাত্রী। বিমানবন্দরে অবতরণের পরপরই তিনি মফিজের প্রতারণার ফাঁদে পড়েন। আর্মড পুলিশের কাছে দেয়া অভিযোগে চম্পা আক্তার উল্লেখ করেন, বিমানবন্দরের ক্যানাপি-১ হয়ে বের হওয়া মাত্র এক প্রতারক (মফিজ) তাকে টার্গেট করে পিছু নেন। ভদ্র ভাষায় বোন সম্বোধন করে সাহায্যের কথা বলেন এবং সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা নিরাপদে রাখতে বলেন। বিশ্বস্ততার খাতিরে চম্পা তার কাছে থাকা এক লাখ ২০ হাজার টাকা ওই প্রতারকের কাছে দেন। প্রতারক (মফিজ) টাকাগুলো নিয়ে কাগজে পেঁচিয়ে পুনরায় তা চম্পার হাতে ফেরত দেন। এতে চম্পা তাকে ভাল মানুষ মনে করে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নেন। কিছুক্ষণ পর গাড়িতে বসে কাগজের প্যাকেট খুলে চম্পা দেখেন ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে সব কাগজ। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফিরে এসে এপিবিএনে লিখিত অভিযোগ করেন। চম্পা আক্তারের ওই অভিযোগের সূত্র ধরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা বিভাগ দীর্ঘদিন তদন্ত চালিয়ে প্রতারক মফিজকে বিমানবন্দর থেকে সোমবার সকালে আটক করে। এপিবিএন’র গোয়েন্দা শাখার প্রধান এডিশনাল এসপি আব্দুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, প্রতারক মফিজের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে। অভিযোগের সূত্র ধরে দীর্ঘদিন তদন্ত চালিয়ে সোমবার সকালে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সব অভিযোগ স্বীকার করেছেন। সোমবার তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারক মফিজের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযোগ দায়ের করেন মনসুর আলী নামে মালয়েশিয়া ফেরত এক যাত্রী। তার অভিযোগ, গত ১৪ জুলাই শাহজালালে অবতরণের পর মফিজ তার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে এক হাজার ২৫০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ছিনিয়ে নেন।
×