ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রিপোর্ট

সীতাকুণ্ডে ত্রিপুরাপাড়ায় শিশুদের মৃত্যুর কারণ ‘হাম’

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৮ জুলাই ২০১৭

সীতাকুণ্ডে ত্রিপুরাপাড়ায় শিশুদের মৃত্যুর কারণ ‘হাম’

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের সীতাকু-ের পাহাড়ে ত্রিপুরাপাড়ার মৃত্যুবরণকারী শিশুদের মৃত্যুর কারণ ছিল ‘হাম’। আক্রান্ত শিশুদের লালা, রক্ত ও নাকের পানি পরীক্ষা করে এ জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ সোমবার পরীক্ষার রিপোর্টের আলোকে এ তথ্য জানান। এদিকে, হামকে ‘অজ্ঞাত রোগ’ হিসেবে প্রচার করায় চট্টগ্রামের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের চার দিন পর হামের জীবাণু শনাক্ত হওয়ায় উঠেছে নানা প্রশ্ন। কারণ এ রোগটি অপরিচিত কোন রোগ নয়। এ রোগ পরীক্ষায় তেমন জটিলতাও থাকার কথা নয়। তাহলে প্রথমে কেন রোগটিকে ‘অজ্ঞাত’ হিসেবে প্রচার করা হলো? এ রোগের জীবাণু শনাক্তে ঢাকায় নমুনা পাঠাবার প্রয়োজন ছিল কি-না? প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের পাহাড়ে অবস্থিত ত্রিপুরাপাড়ায় চার দিনে ৯ শিশুর মৃত্যুর খবর প্রকাশ পায় গত ১২ জুলাই। এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের টনক নড়ে। ছুটে যান সিভিল সার্জন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কিন্তু রোগটি সম্পর্কে পরিষ্কার কোন ধারণা প্রদান করতে পারছিলেন না চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ। ঢাকা থেকে ছুটে আসে বিশেষজ্ঞ দল। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন এবং ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞগণ জানান, ত্রিপুরাপাড়ার শিশুরা অপুষ্টির শিকার। পুষ্টির অভাবে তারা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়েছে। তাদের অভিভাবকরাও অসচেতন। জন্মের পর শিশুদের যে টিকাগুলো দেয়া হয় এ শিশুরা তা পায়নি। এমনকি টিকার বিষয়ে তাদের কোন ধারণাই নেই বলে অভিভাবকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে প্রতীয়মান। অবশেষে নমুনা সংগ্রহের চার দিন পর পাওয়া গেছে রিপোর্ট। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, তাদের দেহে হামের জীবাণু পাওয়া গেছে। তবে অপুষ্টির বিষয়টিও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণিত। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮৬ শিশুর সবাই এখন আশঙ্কামুক্ত। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে শিশুরা।
×