ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১৮ জুলাই ২০১৭

নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বেসরকারী খাতের বিভিন্ন কোম্পানির দেয়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিদ্যুত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি টিম ইতোমধ্যে ডজন খানেক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছে। চলতি সপ্তাহে আরও কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক হতে পারে। বিদ্যুত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বিদ্যুতের ক্রয়-মূল্যসহ বেশকিছু ইস্যুতে দরকষাকষি করছে ওই টিম। আলোচনা শেষে তারা বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট জমা দেবে। তার আলোকে মন্ত্রণালয় সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাব পাঠাবে। কমিটির অনুমোদন পেলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির নামে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতিপত্র ইস্যু করবে বিদ্যুত মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক লোডশেডিংয়ের প্রেক্ষিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্বাভাবিক বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে সরকারী-বেসরকারী খাতে নতুন কয়েকটি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যুত মন্ত্রণালয়। বেসরকারী খাতে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (২৬ জুন) ২১টি প্রস্তাব জমা পড়ে। পরে আরও ১৪ প্রস্তাব জমা দিয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে যেসব প্রস্তাব জমা পড়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে বিদ্যুত মন্ত্রণালয়। রবিবার তারা সামিট গ্রুপ, ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ, কনফিডেন্স পাওয়ার, ওরিয়ন গ্রুপ ও মিডল্যান্ড পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এসব প্রস্তাবে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। শনিবার দিন কমিটি ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করে। এদিন দেশ এনার্জি, এ্যাক্রন পাওয়ার ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এপিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। চলতি সপ্তাহে নেগোসিয়েশন কমিটি আরও কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করতে পারে। যাচাই-বাছাই শেষে কমিটি সর্বাধিক যোগ্য প্রস্তাবগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়কে দেবে। বিদ্যুত কেন্দ্রের আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেÑ সামিট গ্রুপ, ইউনাইটেড গ্রুপ, ওরিয়ন গ্রুপ, শাহজিবাজার, বারাকা পাওয়ার, ডরিন গ্রুপ, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি, মিডল্যান্ড পাওয়ার, বারাকা পতেঙ্গা, এ্যাক্রন, এপিআর, দেশ এনার্জি, সামুদা পাওয়ার, প্রিসিসন্স পাওয়ার, এনার্জিপ্যাক, পাওয়ার সোর্স, এগ্রিকো পাওয়ার প্রমুখ। ঈদের ছুটি শেষে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রস্তাব জমা দিয়েছে, সেগুলোর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বরাদ্দপত্র পাওয়ার পর ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো বিদ্যুত উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করার জন্য ৬ মাস সময় পাবে। আর ফার্নেস তেলভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য সময় পাওয়া যাবে ৯ মাস। এমন স্বল্প সময়ের মধ্যে উৎপাদনে আসা বেশ কঠিন কাজ। কেবল দক্ষ ও অভিজ্ঞ কোম্পানির পক্ষেই হয়তো এটি সম্ভব হতে পারে। অনুমতিপ্রাপ্ত বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর উৎপাদিত বিদ্যুত বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড কিনে নিয়ে গ্রাহকদের কাছে বিতরণ করবে।
×