ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফু-ওয়াং ফুডের মালিকানা হস্তান্তর হচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ১৮ জুলাই ২০১৭

ফু-ওয়াং ফুডের মালিকানা হস্তান্তর হচ্ছে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিজ প্রতিষ্ঠানের কোন উদ্যোক্তা বা পরিচালক অন্য কোন শিল্প পরিবারের কাছে নিজের শেয়ার বিক্রি বা হস্তান্তর করছে না বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভ্ক্তু খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাঠানো এক নোটিসের জবাবে ফু-ওয়াং ফুড জানান, পরিচালনা পর্ষদে কখনই এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বর্তমানে মালিকানা ছেড়ে দেয়ার বিষয়েও কোন পরিকল্পনা বা কার্যক্রম তাদের নেই। রবিবার ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। তবে ডিএসইর বিরুদ্ধে এই তথ্য বিলম্বে প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে। ফলে শেয়ারটি নতুন করে যারা কিনেছেন তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। প্রাপ্ত তথ্য মতে, সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টাল ফু-ওয়াং ফুডের উদ্যোক্তা পরিচালকেরা তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে মালিকানা পরিবর্তন করছেন বলে খবর প্রকাশ করে। এরপর নিয়ন্ত্রকদের পক্ষ থেকে ফু-ওয়াং ফুডের কাছে এ বিষয়ে জানাতে নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসের জবাবে ফু-ওয়াং ফুড কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে লিখিতভাবে জানায় এ সংবাদ ঠিক নয়। এদিকে, মালিকানা পরিবর্তনজনিত নোটিসের জবাব কোম্পানিটি কয়েকদিন আগে দিলেও ডিএসইর ওয়েবসাইটে প্রথমে পুরো ব্যাখ্যাটি প্রকাশ করা হয়নি। ডিএসই গতানুগতিক ধারায় গত ৬ জুলাই জানিয়েছিল, ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ার দর বৃদ্ধির পেছনে কোন ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। যা সচরাচর প্রতিটি কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ডিএসই এমন তথ্যই প্রধান করে থাকে। তাই বিনিয়োগকারীরা ডিএসইর গতানুগতিক নোটিসে আস্থা না রেখে মালিকানা পরিবর্তনের আশ্বাসে শেয়ার ধরে রেখেছিলেন অনেক বিনিয়োগকারী। উল্টো শেয়ার কিনেছেন বেশি করে। ফলে এ সময়ে হু হু করে বাড়ে ফু-ওয়াং ফুডের দর। পরবর্তীতে আবার সেই একই নোটিস ৯ জুলাই পুনরায় প্রকাশ করে ডিএসই। সেখানেও মালিকানা পরিবর্তনের কোন গুজবের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। অথচ মালিকানা পরিবর্তনের খবরে গত তিন সপ্তাহে শেয়ারটির দর ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। লেনদেন বেড়েছে ৩৫ গুণ। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার কেনাবেচা হয়েছে ওই দিনের সার্কিট ব্রেকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ দর ২৪ টাকা ৮০ পয়সায়। ডিএসইতে দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল প্রথম স্থানে। পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ২৪ কোটি ১৬ লাখ ২১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং সপ্তাহ শেষে সর্বমোট ১২০ কোটি ৮১ লাখ পাঁচ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, শেয়ারটির দর আরও বাড়বে এমন গুজবে বিদ্যমান বিনিয়োগকারী শেয়ার ধরে রাখছেন। এ কারণে লেনদেন কমলেও সর্বশেষ পাঁচ দিনে শেয়ারটির দর ২১ টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ২৫ টাকা হয়েছে। আর সর্বশেষ তিন সপ্তাহে দর বেড়েছে প্রায় ১০ টাকা। তাদের অভিযোগ, পুরো ব্যাখ্যাটি আগে প্রচার হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সতর্ক হওয়ার সুযোগ পেতেন। অথচ রবিবার যখন পুরো বিষয়টি প্রকাশ করল তখন থেকেই টানা দর পতন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ দরে যারা শেয়ারটি কিনেছেন তারা লোকসানে পড়েছেন।
×