ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রেক্সিট নিয়ে সমালোচনার মুখে অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ১৮ জুলাই ২০১৭

ব্রেক্সিট নিয়ে সমালোচনার মুখে অর্থমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড

ব্রেক্সিট সমর্থক মন্ত্রীদের ভয় দেখাচ্ছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে তিনি ক্রমাগত হতাশ হয়ে উঠছেন বলে একজন কেবিনেট মন্ত্রী তার সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। দ্য সান। ব্রিটিশ সরকারের ভেতর এক রকম যুদ্ধাবস্থা চলছে বলে দেশটির টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে। একজন সিনিয়র মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, ব্রেক্সিটবিরোধী অবস্থান নিয়েছে ট্রেজারি বিভাগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী বলেছেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত টেরেসা মের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা প্রয়োজন। তারা বলছেন, ‘এখন এক সঙ্কটপূর্ণ অবস্থায় আমরা আছি। মের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা প্রয়োজন। অন্যথায় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটেনের মন্ত্রিসভা যে এখন তীব্রভাবে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে হয়ে আছে সেটি হ্যামন্ডও স্বীকার করেন। শনিবার বিবিসির এ্যান্ড্রু মার শো’তে তিনি বলেন, যে ব্রেক্সিট থেকে আমরা যা অর্জন করতে চাই তাহলো আমাদের অর্থনীতি সুরক্ষিত করা। সেই উদ্দেশ্য পূরণের জন্য আমি যে কর্মপন্থা অবলম্বন করতে চাই তার সঙ্গে অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেন।’ সরকারী খাতে শ্রমিকরা বেশি মজুরি পায়, এই মন্তব্য করার পর থেকে মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন হ্যামন্ড। তিনি মজুরি এক শতাংশ বাড়াতে অস্বীকার করে বলেছেন, শ্রমিকরা স্বাভাবিকভাবে অনেকের চেয়ে বেশি অর্থ পাচ্ছে। পেনশনসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধাও তারা ঠিকমতো পাচ্ছে। তাদের পেনশনের অর্থ বিবেচনায় নিলে দেখা যাবে তারা অন্য অনেকের চেয়ে বেশি অর্থ পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারী গাড়িচালকরাও প্রচুর বেতন পাচ্ছে। তার এ কথা মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যদের ক্ষুব্ধ করেছে। তার এ বক্তব্য ব্রিটেনের বৃহত্তর ট্রেড ইউনিয়ন ইউনিসনের এ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি ক্রিস্টিনা ম্যাকআনিয়া বলেছেন, ‘হ্যামন্ডের কথায় মনে হয়েছে তিনি সম্পূর্ণ ধরাছোঁয়ার বাইরের একজন মানুষ। সাত বছর ধরে একই হারে মজুরি পাওয়ার পর শ্রমিকরা এবার মজুরি বৃদ্ধি আশা করেছিল। পরিচ্ছন্নতা কর্মী থেকে শুরু করে কারখানার শ্রমিক সবাই এবার বেতন বৃদ্ধি আশা করেছিল। তারা অনেকদিন ধরে একই হারে বেতন পাচ্ছিল। তাদের বেশি বেতন দেয়া হচ্ছে, এরকম ধারণা তার কেউই পোষণ করে না।’ রয়েল কলেজ অব নার্সিং জানিয়েছে, সংসারের খরচ মেটাতে দেশের প্রায় নার্সকে এখন মূল কাজের পাশাপাশি আরেকটি কাজ করতে হচ্ছে।
×