ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচনা সভায় বক্তারা

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা চালায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৭ জুলাই ২০১৭

শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে গণতন্ত্র হত্যার চেষ্টা চালায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বৈরতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। তিনি কারান্তরীণ থেকেও দেশকে বাঁচানোর জন্য নির্বাচন চেয়েছিলেন। কারামুক্ত হয়ে তিনি বেগম খালেদা জিয়ারও মুক্তির দাবি জানান। গণতন্ত্রের এমন উদাহরণ বিরল। এ কারণেই তিনি গণতন্ত্রের মানসকন্যা। এখনও তার বিরুদ্ধে নানান ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেনÑ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ, ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা এবং বর্তমান সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ১৬ জুলাই এ দেশের জন্য একটি কালো অধ্যায়। সেদিন মিথ্যা মামলা দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে গ্রেফতার করে এ দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বৈরতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ গর্জে ওঠে। তারা কঠিন আন্দোলনে নামে। তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রায় ১১ মাস পর তারা শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, এখনও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তার হাতকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন গমন নিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন গমন আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। জানি না তিনি ওখানে দেশকে নিয়ে কী ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। যতই ষড়যন্ত্র করা হোক না কেন, এ দেশে তিনি তা কায়েম করতে পারবেন না। এ দেশের জনগণ তাকে সফল হতে দেবে না। অধ্যাপক আখতারুজ্জামান শুরুতেই ১৬ জুলাইয়ের কর্মকা-ের তীব্র নিন্দা জানান এবং দুঃসময়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাইয়ের আগেও জননেত্রী ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাকে বহুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১/১১ সরকার আসার পর এ ষড়যন্ত্র আরও গভীরে গিয়ে পৌঁছায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্রকারীদের আক্রোশে পরিণত হন। ১৬ জুলাই কারান্তরীণ হয়ে তিনি একটি মেসেজ দিলেন। সেটি হলো মার্চ-এপ্রিলে নির্বাচন হতে হবে। কারান্তরীণ হয়েও তিনি রাজনৈতিক মতাদর্শ ধরে রেখেছেন। সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গণতন্ত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের নেত্রীকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করে। প্রতিবাদে সেদিন ছাত্রলীগ আন্দোলন করেছিল। যে কোন কঠিন মহূর্তে ছাত্রলীগ নেত্রীর পাশে ছিল এবং সব সময় পাশে থাকবে। সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
×