স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস এ দেশের জনগণ। বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে বর্তমান সরকারকে হটানোর চেষ্টা সফল হবে না। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে আবারও ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ঘটবে। আবারও নজিরবিহীন খুন ও লুণ্ঠনের নারকীয় নৈরাজ্য ফিরে আসবে।
রবিবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বিরোধ ভুলে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি এখনই করে ফেলতে হবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতাসীন হওয়ার দেশব্যাপী তা-বের প্রসঙ্গ এনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওরা ক্ষমতায় এলে আবারও ২১ আগস্ট হবে। আবারও ১১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর রক্ত ঝরবে, দেশজুড়ে খুন ও লুণ্ঠন হবে, দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। সে দুঃসহ পরিস্থিতিতে দেশ যাতে ফিরে না যায় সেজন্য দলের মধ্যে কোন বিভক্তি রাখা যাবে না। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলকে বিভক্ত করবেন না। অনৈক্য কিংবা কলহ করবেন না। ঘরের ভেতরে ঘর বানাবেন না। মশারির ভেতরে মশারি খাটাবেন না। এটা করলে ক্ষতিটা আমাদেরই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে সফল হওয়া যাবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট শেখ হাসিনা। তাকে বারবার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে এখনও হচ্ছে। কিন্তু জনগণ এ ধরনের চক্রান্ত সফল হতে দেবে না।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑ দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান এবং ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। সভায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের আটটি উপজেলা এবং পাঁচটি পৌরসভার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ প্রায় দুই হাজার ২শ’ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এ সভায় সকল বিভেদ ভুলে ঐক্য স্থাপনের বিষয়টিই সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। কেন্দ্রীয় নেতারাও সেদিকে বিশেষভাবে জোর দেন।