ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বব্যাংকের তহবিল থেকে ঋণ নিতে ৭৫ আবেদন

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৭ জুলাই ২০১৭

বিশ্বব্যাংকের তহবিল থেকে ঋণ নিতে ৭৫ আবেদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বব্যাংকের ‘ফিন্যান্সিয়াল সেক্টর সাপোর্ট প্রজেক্ট (এফএসএসপি)’ থেকে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির লক্ষ্যে রফতানিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর করা প্রায় ৩৫ দশমিক ২৯ কোটি মার্কিন ডলারের ৭৫টি প্রকল্প প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বাসসকে বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৪৩টি প্রস্তাবের ১৯ দশমিক ২৮ কোটি মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছি। এর মধ্যে ৩১টি প্রস্তাবের বিপরীতে ১০ দশমিক ০১ মার্কিন ডলার বিতরণ করা হয়েছে। অনুমোদিত অবশিষ্ট অর্থ বিতরণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।’ তিনি বলেন, অনুমোদিত মোট ফান্ড থেকে কিছু আংশিক বিতরণ করা হয়েছে এবং আরও কিছু মেশিনারি আমদানির জন্য বিতরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে, যা এলসি খোলার পর বিতরণ করা হবে। বিবি সূত্র জানায়, আবেদনপত্রগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পাঠানো হয়, যার মধ্যে তিনটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রক্রিয়ায় রয়েছে এবং ১৬টি বিশ্বব্যাংক বাতিল করেছে। সাউথইস্ট ব্যাংকের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চারটি কোম্পানির ৩ দশমিক ৪৬ কোটি মার্কিন ডলারের প্রস্তুাব জমা দিয়েছি। এতে ইতোমধ্যে দুটি কোম্পানির ২ কোটি ১ লাখ মার্কিন ডলার ফান্ড অনুমোদন হয়েছে।’ দেশের উৎপাদন খাতে এফএসএসপির দীর্ঘমেয়াদী এ ফান্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ব্যাংক অংশগ্রহণকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে চুক্তি করেছে, যা দেশের রফতানিমুখী শিল্পে ৩১টি ব্যাংকের মাধ্যমে ফান্ড বিতরণ করবে। মোট টাকার মধ্যে বিশ্বব্যাংক ৩০ কোটি ও বাকি অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব তহবিল থেকে প্রদান করবে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ১ জুলাই ২০১৫ থেকে ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত। ঋণ পুনঃতফসিলের সুফল ভোগ করছে না ব্যাংকিং খাত অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঋণ পুনঃতফসিলের সুফল ভোগ করছে না ব্যাংকিং খাত। আইনের সুযোগ নিয়ে নতুন করে বাড়তি ঋণ গ্রহণ করছেন অনেকেই, পরিশোধ করছেন না নতুন-পুরাতন কোন ঋণই। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর শেষ প্রান্তিকে পুনঃতফসিলের পরিমাণ বেড়েছে ২০৭ শতাংশ, যা ব্যাংকিং খাতের জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা। খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হচ্ছেÑ ব্যাংকগুলোর নানা কৌশল। তাই ঋণ পুনঃতফসিলে ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে দিতে হচ্ছে বিশাল ছাড়। কাগজে-কলমে হিসাব থেকে খেলাপির নাম বাইরে রাখতে, আবার কখনও বা ব্যাংকের মুনাফা বাড়াতে পুনঃতফসিলের নামে গুজামিলের আশ্রয় নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গেল বছরের শেষ প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে ৮ হাজার ৪৩ কোটি টাকায়; যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ২০৭.৬৯ শতাংশ বেশি। এ দৌড়ে এগিয়ে বেসরকারী খাতের ব্যাংকগুলোই। এ ক্ষেত্রে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে ব্যাংকিং খাতের সুশাসনে বড় হুমকি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাস্তবতা বলছে, পুনঃতফসিলের সুযোগ নিয়ে যেসব ঋণ নিয়মিত হয়েছে, তা থেকে আদায়ের অঙ্কটা খুবই সামান্য। বরং সুযোগ গ্রহণকারীর অর্ধেকই ফের নাম লেখায় খেলাপির তালিকায়। হিসাব বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসেই খেলাপি হয়েছে ১১ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা, সব মিলেয়ে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে পৌনে এক লাখ কোটি টাকায়।
×