ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পপুত্রের প্রতিনিধিত্বকারী আইনী প্রতিষ্ঠান পেল ৫০ হাজার ডলার

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১৭ জুলাই ২০১৭

ট্রাম্পপুত্রের প্রতিনিধিত্বকারী আইনী প্রতিষ্ঠান পেল ৫০ হাজার ডলার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনী শিবির ট্রাম্পের বড় ছেলের প্রতিনিধিত্বকারী আইনী প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজারেরও বেশি ডলার দিয়েছে। শনিবার প্রকাশিত মার্কিন ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে নথি থেকে এ কথা জানা গেছে। খবর পলিটিকো অনলাইনের। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযান চলার সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও রাশিয়ার আইনজীবীর বৈঠক নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে ঝড় ওঠার মাত্র কয়েক দিন আগে প্রতিষ্ঠানটিকে এ অর্থ দেয়া হয়। ২৭ জুন প্রতিষ্ঠানটিকে ওই অর্থ দেয়া হয়। এর কয়েক দিনের মধ্যে গণমাধ্যমে ট্রাম্পপুত্রের সঙ্গে রুশ আইনজীবীর বৈঠকের তথ্য ফাঁস হয়। ওই আইনী প্রতিষ্ঠানটি ট্রাম্প জুনিয়রের আইনজীবী এ্যালান এস ফুতারফাসের। ‘আইনী পরামর্শ’ ফিসের নাম করে প্রতিষ্ঠানটিকে ওই অর্থ দেয়া হয়। কিসের জন্য বা কাকে পরামর্শ দিতে এ অর্থ দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কোন তথ্য নথিটিতে উল্লেখ নেই। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসে ট্রাম্প জুনিয়র ও রুশ আইনজীবী নাতালিয়া ভেসেলিনতস্কায়ার বৈঠক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফিউতেরফাস ট্রাম্প জুনিয়রের আইনজীবী হিসেবে গণমাধ্যমে কথা বলেন। ট্রাম্প জুনিয়রের আইনজীবী হিসেবে কবে থেকে নিয়োগ পেয়েছেন সে বিষয়ে মুখ খোলেননি ফিউতেরফাস। কেন তারা ফিউতেরফাসকে অর্থ দিয়েছেন, এমন প্রশ্নে ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনী শিবিরের মুখপাত্রও কোন মন্ত্রব্য করেননি। নাতালিয়ার সঙ্গে ওই বৈঠককে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের যোগাযোগের অংশ বলে দাবি করছে বিরোধীরা। হিলারির ‘ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে’ এমন তথ্য পাওয়ার আশায় ট্রাম্পপুত্র আগ্রহ নিয়ে বৈঠকটিতে অংশ নিয়েছিলেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমের খবর। যদিও সেই বৈঠকে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প জুনিয়র। রাশিয়ান আইনজীবী নাতালিয়াও ক্রেমলিনের সঙ্গে তার যোগসাজশের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, হিলারিকে নিয়ে তথ্য দেয়ার মতো অবস্থায় তিনি কখনোই ছিলেন না। গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং রিপাবলিকান শিবিরের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ও বিচার বিভাগের তদন্তের মধ্যেই ট্রাম্পপুত্রের এ বৈঠকের খবর নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বৈঠকে সোভিয়েত আমলের এক সাবেক গোয়েন্দাও উপস্থিত ছিলেন বলে এনবিসির এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ট্রাম্প অবশ্য শুরু থেকেই রাশিয়ার সহায়তায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। অন্যদিকে মস্কোও যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি বলে দাবি করে আসছে। নির্বাচনে জয়ের পরপরই ট্রাম্প শিবির ২০২০ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জমা দেয়। এর মাধ্যমে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে থাকা অবস্থায়ও তার ‘পুনঃনির্বাচনী প্রচার শিবির’ সমর্থকদের কাছ থেকে অর্থ তোলা ও খরচ করার অনুমোদন পায়। ২০১৭ সালের দ্বিতীয় ভাগে ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনী শিবির ৮০ লাখ ডলার উত্তোলন করেছে বলে ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে দেয়া তথ্যে জানা যায়। এ অর্থের বেশিরভাগই এসেছে সমর্থকদের দেয়া ছোট ছোট অনুদানের মাধ্যমে।
×