ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াং স্কলার সামিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্ন

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ১৬ জুলাই ২০১৭

ইয়াং স্কলার সামিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্ন

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারী মিলিয়ে দেড়শ’র মতো বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ২০১৬ সালে সারা বিশ্বে ২০ লাখের মতো গবেষণা সম্পন্ন হলেও বাংলাদেশে এর সংখ্যা মাত্র সাড়ে তিন হাজার। এতে কি প্রমাণিত হয় যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ? শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘ইয়াং স্কলার সামিট-২০১৭’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরে এই প্রশ্ন উত্থাপন করেন। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট (সুহৃদ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বুদ্ধিগত সংলাপের ৪টি পর্যায় আলোচনা হয়। বুদ্ধিগত সংলাপের প্রথমটির বিষয় ছিল ‘গবেষণার সমালোচক’। এ পর্যায়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম খান, দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক আবু সাইদ খান, বেগম রোকেয়া সহকারী অধ্যাপক সজল রায় ও সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাহবুব অর রহমান ভূঁইয়া। আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন সুহৃদের নির্বাহী পরিচালক জুয়েল রানা। আলোচনার শুরুতেই গবেষণার সংজ্ঞা ও ইতিহাস তুলে ধরেন মাহবুব অর রহমান ভূঁইয়া। মনিরুল ইসলাম খান বলেন, যে তথ্য কোন সমসাময়িক বিষয়কে সব চেয়ে সুশৃঙ্খলভাবে প্রকাশ করে তাই কার্যকর গবেষণা। আমাদের দেশের গবেষকরা কৃষি গবেষণায় এগিয়ে থাকলেও সামাজিক বিজ্ঞানে তেমন কোন উন্নতি করতে পারছেন না। আর বলতে গেলে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের সংখ্যা কম নয়, বরং তারা গুণগত দিক দিয়েই পিছিয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, এখন তরুণদের মধ্যে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের দিকে বেশি ঝোঁক দেখা যায়। কিন্তু ৬০-৭০-এর দশকে তরুণরা দলবদ্ধভাবে সফল হওয়ার কথা আগে ভাবত। গবেষণায় সত্য অনুসন্ধানের তাগিদ থাকতে হবে উল্লেখ করে আবু সাইদ খান বলেন, গবেষণায় পেশাগত তাগিদ থাকলেই হবে না, সত্য অনুসন্ধানের তাগিদ থাকতে হবে। অনেক গবেষণা সামাজিক উন্নয়নে ব্যবহৃত হয় না। দাতাদের স্বার্থ আছে এমন ক্ষেত্রে তারা ফান্ড দেয়। আর সেই কথা মাথায় রেখেই গবেষকরা কিছু ম্যানিপুলেশন করেন। সজল রায় বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্ঞান উৎপাদনের ক্ষেত্রে মারাত্মক বাধা আছে। এখানে অনেক কিছুই রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট। এ সময় তিনি গবেষণায় ব্যক্তিগত ও পেশাগত উভয় তাগিদের প্রতি গুরুত্ব দেন।
×