ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়র আনিসুলের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ১৬ জুলাই ২০১৭

মেয়র আনিসুলের দুঃখ প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চিকুনগুনিয়া রোগ বহনকারী এডিস মশা বাসাবাড়ির ভেতরে প্রজনন করে, যা নিধন করা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়, ঘরে ঘরে গিয়ে আমাদের মশা মারা সম্ভব নয়। তাছাড়া চিকুনগুনিয়ার বিস্তারে সিটি কর্পোরেশনের কোন দায় নেই। গত শুক্রবার ডিএনসিসি নগর ভবনে সংস্থাটির পক্ষ থেকে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব এবং ডিএনসিসি কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেয়া এমন বক্তব্যের জন্য সামাজিক গণমাধ্যমসহ সকল মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে থাকায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক নাগরিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশা মারতে যা যা করার আমরা করছি ও ভবিষ্যতেও করা হবে বলেন জানান তিনি। শনিবার সকালে সংস্থাটির নগর ভবনের সামনে থেকে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত এক র‌্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, আমার বক্তব্য যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, সেটি আমার বোধগম্য নয়। আমরা বলতে চেয়েছি যে বাড়ির ভেতরে ঢোকার অধিকার আমাদের সেভাবে নেই। তারপরও আমার বক্তব্য যদি কারও খারাপ লেগে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। মেয়র বলেন, আমাদের সব শক্তি দিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা দিনে এরকম বৃহৎ পরিসরে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলবে। মশক নিধন কার্যক্রমে কেউ অবহেলা করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেখানে পাঁচদিন পর পর মশা নিধনের ওষুধ প্রয়োগের কথা, সেখানে আমরা তিনদিন পর পর প্রয়োগ করছি। মেয়র বলেন, আমাদের এলাকার সব রাস্তার তালিকা করেছি। মশক নিধন কর্মীরা সে অনুযায়ী কাজ করবেন। আর এলাকার মানুষ যদি মশক নিধন কর্মীদের দিয়ে আশানুরূপ ফল না পান, তাহলে সেসব মশক নিধন কর্মীদের বেতন দেয়া হবে না। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে এই চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সার্বিক কার্যক্রম চালাব। এ জন্য জনগণকে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। র‌্যালিতে ডিএনসিসির কর্মকতা-কর্মচারী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
×