ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যবসায়ীদের ভিসামুক্ত সুবিধা দিতে শ্রীলঙ্কার আগ্রহ

প্রকাশিত: ০৭:৫৪, ১৬ জুলাই ২০১৭

ব্যবসায়ীদের ভিসামুক্ত সুবিধা দিতে শ্রীলঙ্কার আগ্রহ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর এবার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে শ্রীলঙ্কা ব্যবসায়ীদের ভিসামুক্ত সুবিধা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে দু’দেশ নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্য বাড়াতে পারবে বলে মনে করেন শ্রীলঙ্কান পররাষ্ট্রমন্ত্রী রভি কার নায়েকে। শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক এ সংলাপে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। বৈঠকে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে এ কথা জানান শ্রীলঙ্কান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অর কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করে। সংলাপের পরই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ঢাকা ত্যাগ করেন। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা সময় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি অন্তর্মুখী ছিল। ২০১৫ সালের পর তা পাল্টেছে। এখন আমরা এটাকে প্রসারিত করতে চাই। কূটনীতিক ও অফিসিয়াল ভিসা ফ্রি সুবিধা পান। ব্যবসায়ী এবং পর্যটকদের জন্যও এ সুযোগ থাকা উচিত। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়া হবে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে উভয় দেশ ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি লাভ করবে। তিনি আরও বলেন, দুইদেশের জন্যই ব্যবসা-বাণিজ্যের সমান সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা শ্রীলঙ্কা যাবেন এবং একইভাবে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগকারীরাও এদেশে আসবেন। কারণ ২০১৭ সালের মধ্যে দু’দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা দরকার। শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাভি কার নায়েকে এফটিএকে দুইদেশের ‘উইন-উইন সিচ্যুয়েশন’ নিশ্চিতের একটি যন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, এই চুক্তি দুইদেশ একে অপরকে বিনিয়োগে সহায়তা করবে এবং দুইদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের এই সফরে বেশকটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এতে দুইদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও এগিয়ে নিতে একটা শক্ত ভিত তৈরি হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মধ্যে অনেক সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও বলেন, সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার। দুইদেশের চেষ্টা এবং আন্তরিকতা থাকলে পারস্পরিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে শ্রীলঙ্কার আগ্রহ প্রশংসনীয়।
×