ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইনমন্ত্রীর আশ্বাস ॥ চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মৃত্যুতে শূন্যতা

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যেই পুনর্গঠন

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৬ জুলাই ২০১৭

আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল এক সপ্তাহের মধ্যেই পুনর্গঠন

বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক মারা যাওয়ার কারণে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তাতে জরুরী ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে ৩৩টি মামলায় ১৪১ জনের বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন। ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এ পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২৮টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গাইবান্ধার সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া (৬৫) ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলা যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার জন্য সিএভি রাখা হয়েছিল। অর্থাৎ যে কোন দিন রায় ঘোষণা করা হবে। ৫টি মামলায় সাক্ষ্য চলছে। পাশাপাশি কয়েকটি মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার জন্য দিন ধার্য করা আছে। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের কারণে ‘সিএভি’কৃত মামলাটির পুনরায় যুক্তিতর্ক শুনতে হবে। এ ছাড়া নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ না দেয়া পর্যন্ত যে সমস্ত মামলার অভিযোগ আমলে নেয়ার দিন রয়েছে তার আদেশ দেয়া যাবে না। এসব দিক বিবেচনা করেই তদন্ত সংস্থা ও প্রসি্িকউশন জরুরী ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে। আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক আশ্বস্ত করে বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে। ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধানে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল গঠন হবে তিন সদস্য নিয়ে। এর মধ্যে একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। আর দুজন সদস্য থাকবেন। চেয়ারম্যান যদি সাময়িক অনুপস্থিত থাকেন তা হলে দুজন সদস্য ট্রাইব্যুনালের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে তিনি কোন মামলার রায় দিতে বা কোন মামলার অভিযোগ আমলে নিতে পারবেন না। বতর্মান ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মারা যাবার কারণে শূন্যতা দেখা দিয়েছে। বিচারপ্রার্থীদেরও দাবি এই শূন্যতা দূর করতে দ্রুত ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের। আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেছেন, নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে আমি চিন্তা শুরু করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হবে। নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হবে। তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক সানাউল হক বলেছেন, যেহেতু ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মারা গেছেন, সে কারণেই নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া দরকার। বিচারপতি আনোয়ারুল হক ভাল লোক ছিলেন। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করবে সরকার। যত তাড়াতাড়ি করবেন ততই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। ট্রাইব্যুনাল থেকেও চেয়ারম্যান করা যেতে পারে আবার হাইকোর্ট থেকেও নেয়া যেতে পারে। মামলার সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু নিষ্পত্তির হার কমে গেছে। প্রসিকিউশনে অনেক মামলা আছে। আমার মতে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়ার পাশাপাশি দুটি ট্রাইব্যুনাল করা যেতে পারে। এতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি হবে। এদিকে আসামি ও সাক্ষীদের বয়স হয়ে গেছে। তারা মারা যাচ্ছে এ বিষয়টিও মাথায় রেখে মামলা দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেয়া প্রয়োজন। প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম জনকণ্ঠকে বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের আইনে আছে তিন জন সদস্য নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হবে। এর মধ্যে একজন থাকবেন চেয়ারম্যান আর দুজন হবেন সদস্য। চেয়ারম্যান যদি সাময়িক অনুপস্থিত থাকেন তা হলে দুই সদস্য ট্রাইব্যুনালের কাজ চালিয়ে যাবেন। যেহেতু চেয়ারম্যান মারা গেছেন। তাই বর্তমানে ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এই স্থবিরতা কাটাতে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ৪/৫টি মামলার ২৫ সাক্ষী এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাদের বেশিদিন ঢাকায় রাখা যাবে না। সে বিষয়টিও মাথায় রাখেতে হবে। প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা বলেছেন, চেয়ারম্যান মারা যাবার কারণে ট্রাইব্যুনালের কাঠামোতে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন জরুরী। তিনি আরও বলেন, মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য সিএভি রাখা হয়েছে, নতুন চেয়ারম্যান যে মামলার পুনরায় যুক্তিতর্ক শুনবেন সে মামলাটির রায় ঘোষণাও পিছিয়ে গেল। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে মারা যান চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হক। তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। গত ৫ জুলাই সিঙ্গাপুর ক্যান্সার হাসপাতাল থেকে বিচারপতি আনোয়ারুল হককে ঢাকায় আনা হয়। এরপর তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাবেক এই আইন সচিব দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। ২১ দিন পর কেমোথেরাপি দেয়ার জন্য তার আবারও সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল। বিচারপতি আনোয়ারুল হককে সিঙ্গাপুর থেকে আনার পর ওইদিনই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ পুরাতন হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল গঠনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ ও আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। যার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমকে। সদস্য পদে নিয়োগ পান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জজ জহির আহমেদ। মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরকে। সদস্য করা হয় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন ও জজ মোঃ শাহিনুর ইসলামকে। ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর দুটি ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর; দু’সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন; দু’সদস্য-বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও জেলা জজ মোঃ শাহীনুর ইসলাম। সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম তার আগের কর্মস্থল হাইকোর্টে ফিরে যান। তিনি পরবর্তীতে আপীল বিভাগে নিয়োগ পান। বর্তমানে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম অবসরে। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১ এর সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি আইন কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। ঐ সময় ৫৪ দিন ধরে চেয়ারম্যান না থাকায় এসব মামলার কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হয়নি। দীর্ঘদিন পর ২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। আর সদস্য করা হয় বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হককে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ চেয়ারম্যান করা হয় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনকে। দু’জন সদস্য করা হয়। তারা হলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ নামে একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয় বিচারপতি আনোয়ারুল হককে। দুই জন্য সদস্য হলেন বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দী। আর দুই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি ওবায়দুর হাসান শাহীন, দুই সদস্য বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম হাইকোর্টে ফিরে যান। যাদের মামলা চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ৩৩টি মামলায় ১৪১ জনের বিচার চলছে। আরও নতুন নতুন মামলা আসছে বলে জানা গেছে। প্রসিকিউশন কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ রানা জনকণ্ঠকে বলেছেন, এ সমস্ত মামলা বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সাক্ষ্য গ্রহণ, চার্জ গঠনসহ বিভিন্ন অর্ডারের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে, নেত্রকোনার ১৬ রাজাকার, তারা হলেন মোঃ আব্দুর রহমান, মোঃ আব্দুল খালেক তালুকদার, মোঃ কবির খান, আব্দুস সালাম বেগ, মোঃ নুরুদ্দিন ওরফে রাদিন, মোঃ খলিলুর রহমান, আবুল কালাম ওরফে মোঃ সামসুজ্জামান কালাম, মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ আব্দুল মালেক আকন্দ, আক্কেল আলী ইলিয়াস, মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ খলিলুর রহমান, রমজান আলী, আশেক আলী, শাহনেওয়াজ । কক্সবাজারের ১৯ রাজাকারের মধ্যে রয়েছেন সালামত উল্লা খান, মৌলবী মোহাম্মদ জাকারিয়া সিকদার, মোহাম্মদ রাশিদ মিয়া, ওলি আহম্মেদ, মোহাম্মদ জামালউদ্দিন, মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মমতাজ আহম্মেদ ওরফে মনতাজ, হাবিবুর রহমান, মৌলবী আমজাদ আলী, মৌলবী আব্দুল মাজিদ মাস্টার, বাদশা মিয়া, ওসমান গনি, আব্দুস শুকুর, মোহাম্মদ জাকারিয়া, মৌলবী জলিল, মৌলবী রামিজ হাসান, এসআই সামসুল হক, কিশোরগঞ্জের দুই রাজাকারের মধ্যে সৈয়দ মোঃ হাসান ওরফে হোসেন, মোসলেম প্রধান। সাতক্ষীরার আব্দুল খালেক ম-ল; পটুয়াখালীর দুই রাজাকার মোঃ ইসহাক সিকদার, এ গনি ওরফে এ গনি হাওলাদার। ময়মনসিংহের ২৪ রাজাকারের মধ্যে, এম এ হান্নান, মোঃ রফিক আজাদ, ডাঃ খন্দাকার গোলাম সাব্বির আহম্মেদ, মিজানুর রহমান, মোঃ হরমুজ আলী, মোঃ ফারুকুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সাত্তার, খোন্দকার গোলাম রাব্বানী, রেজাউল করিম ওরফে এএসএম রেজাউল হক ওরফে আক্কাস মৌলবী, এবিএম ইউনুস আলী, মোঃ ইউসুফ আলী, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ নাসির উ্দ্দিন, মোঃ ইসমাইল, একেএম বেলায়েত হোসেন, কাজী বদরুজ্জামান, মোঃ আব্দুস সালাম, সামসুর ফারুক, সুরুজ আলী ফকির, মোঃ জয়নুদ্দিন ফারুক, মোঃ আব্দুর রহমান মাস্টার, মোঃ জালাল উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন ফকির, ওয়াজ উদ্দিন। নোয়াখালীর ৪ রাজাকারের মধ্যে মোঃআমির আহম্মেদ, আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর, জয়নুল আবেদীন, আব্দুল কুদ্দুস। মৌলবীবাজারের ১২ রাজাকারের মধ্যে সামসুল হোসেন তরফদার, মোঃ নাসির আলী, ইউনুস আহম্মেদ, মোঃ আজাদ আহম্মেদ চৌধুরী, মোবারক মিয়া, রাজ্জাক মোঃ আকমল আলী, তালুকদার, আব্দুর নুর তালুকদার, মোঃ আনিস মিয়া, মোঃ আবদুল মোসাব্বির মিয়া, মোঃ¦ আব্দুল আজিজ ওরফে হাবলু, আব্দুল মিলন, আব্দুল মান্নান,আব্দুল মান্নান ওরফে মনাই মিয়া। হবিগঞ্জের দুই রাজাকার মোঃ লিয়াকত আলী, আমিনুল ইসলাম। গাইবান্ধার ৫ রাজাকারের মধ্যে আবু সালেহ মোঃ আব্দুল আজিজ ওরেফ ঘোড়ামারা আজিজ, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ আব্দুল লতিফ, আবু মসলেম হুদা, মোঃ আবদুর রহমান মিয়া (বর্তমানে এটি সিএভি রয়েছে)। এ ছাড়া মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল, মোঃ জাগিজার রহমান, মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ ম-ল, মোঃ মমতাজ আলী ব্যাপারি, মোঃ আজগর হোসেন খান, মোঃ রনজু মিয়া, নড়াইলের দুই রাজাকার আব্দুল ওয়াহাব, মোঃ ওমর আলী শেখ। বাগেরহাটের ১৩ রাজাকারের মধ্যে রয়েছে খান আশরাফ আলী, খান আকরাম হোসেন, সুলতান আলী খান, রুস্তম আলী মোল্লা, মোকসেদ আলী দিদার, ইদ্রিস আলী মোল্লা, শেখ মোঃ উকিল উদ্দিন, শেখ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মুনিরুজ্জামান হাওলাদার, মোঃ আজাহার আলী সিকদার, মোঃ মোকবুল মোল্লা, শেরপুরের এসএম আমিনুজ্জামান ফারুক, কুমিল্লার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, নেত্রকোনার ৫ রাজাকার মোঃ আজিজুর রহমান, মোঃ খলিলুর রহমান, রমজান আলী, আশেক আলী, শাহনেওয়াজ। টাঙ্গাইলের মোঃ মহিবুর রহমান, যশোরের মোঃ সিদ্দিকুর রহমান গাজী। রাজশাহীর মোঃ আব্দুস সামাদ মুসা ওরফে ফিরোজ খান। ময়মনসিংহের মোঃ সামসুল হক বাচ্চু। নওগাঁওয়ের তিন রাজকার। এরা হলেন মোঃ রেজাউল করিম মান্টু, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ ইসহাক আলী, মোঃ শহীদ ম-ল। খুলনার ৮ রাজাকারের মধ্যে রয়েছে, মোঃ আশরাফ শেখ, আমজাদ হোসেন হাওলাদার, মোঃ মোজাহের আলী শেখ, মোঃ শেখর আলী সরদার, মোঃ আতিয়ার শেখ, মোঃ মোস্তাসিন বিল্লাহ, মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ কামাল উদ্দিন।
×