ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে সহপাঠীর হাতে ইউএসটিসির ভারতীয় শিক্ষার্থী খুন

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৬ জুলাই ২০১৭

চট্টগ্রামে সহপাঠীর হাতে ইউএসটিসির ভারতীয় শিক্ষার্থী খুন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ের (ইউএসটিসি) এমবিবিএস চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্র সহপাঠীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয়েছে। তার নাম আসিফ শেঠ (২৪)। অপরদিকে সন্দ্বীপে বাকিতে মোবাইলে টাকা রিচার্জ না করার জের ধরে এক দোকানিকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আবু যায়িদ (২০)। শুক্রবার গভীর রাতে রুমমেটের সঙ্গে মনোমালিন্যের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পার্শ্ববর্তী কক্ষের আরেক শিক্ষার্থী দম্পতি সাংবাদিকদের জানিয়েছে। মূলত এরা সবাই ভারতের মণিপুর এলাকার বাসিন্দা। উল্লেখ্য, এমবিবিএস পড়তেই তারা বাংলাদেশে আসে আরও ৫ বছর আগে। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে থাকা রুমমেট উইলসন নিজেই রসিতে ঝুলে আত্মহননের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে নিহতের বাবা ও মা শনিবার দুপুরের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি (তদন্ত)। আকবর শাহ থানা-পুলিশ ও পার্শ্ববর্তী কক্ষের দম্পতিদের সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ফয়স’ লেক এলাকার আব্দুল হামিদ সড়কে এক ভারতীয় শিক্ষার্থীকে ধারালো অস্ত্রে জখমের পর চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যাকা-ের দায় থেকে নিজেকে বাঁচাতে উইলসন নামের শিক্ষার্থী আত্মহননের চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী কক্ষের শিক্ষার্থী দম্পতি তাকে ঝুলানো অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুক্রবার গভীর রাতে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চমেকের পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ কেইস হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কনস্টেবল মোহাম্মদ হামিদ। তবে আসিফের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে আকবর শাহ থানা-পুলিশও জানিয়েছে। পুলিশী নজরদারিতে তাকে চমেক হাসপাতালের আ্ইআইইউসেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এদিকে আসিফের ফ্লাটের পার্শ্বের কক্ষের ইউএসটিসির ভারতীয় ছাত্র নিরাজ গুরু জানিয়েছেন, তারা সবাই ভারতের মণিপুরের বাসিন্দা। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আসিফ ও উইলসন মদ পান করেছে। ঘটনার সময় চিৎকার শুনেই কক্ষের দরজা খুলে দেখেন উইলসন রসিতে ঝুলছে। আর মেঝেতে পড়ে রয়েছে আসিফের রক্তমাখা শরীর। পরে রাত সোয়া ১টার দিকে ওই দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। তিনি আরও জানান স্ত্রীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে আসিফ ও উইলসনের পাশের কক্ষে থাকেন তিনি। অপরদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নীড় বাংলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বস্থ নিজাম সওদাগরের দোকানে মোবাইল ফোনে ফ্ল্যক্সিলোডকে কেন্দ্র করে সায়েদ ও সোহেলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় সোহেল ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে সায়েদকে গুরুতর যখম করে। পার্শ্ববর্তী দোকানদার শামীম, ফয়সলসহ আরও কয়েকজন এ ঘটনায় অংশ নেয়। শনিবার সকালে চমেক হাসপাতালে সায়েদের মৃত্যু হয়েছে। সন্দ্বীপ থানার ওসি সামসুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, সায়েদের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত সোহল, শামীম ও ফয়সলকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। মামলার পর বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
×