ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৬ জুলাই ২০১৭

মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ১৫ জুলাই ॥ লোহাগড়া উপজেলার মহিষাপাড়ার মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে। গ্রাম্য কোন্দলের কারণে প্রতিপক্ষ তাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, গ্রাম্য কোন্দলের কারণে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে প্রতিপক্ষের এ কেমন শত্রুতা! এতে এলাকাবাসীর মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি লোহাগড়া উপজেলার পাঁচ মুক্তিযোদ্ধার স্বাক্ষর জাল করে আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাবরে অভিযোগ করে প্রতিপক্ষ। পরে যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আতিয়ার রহমান জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে চাকরি ফেলে এলাকায় চলে আসেন। ২৫ মার্চ থেকেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। লোহাগড়া থানা এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পাকবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেন। স্বাধীনতার পর কর্মস্থলে ফিরে যান। পরবর্তীতে আতিয়ার রহমান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পান। অথচ সম্প্রতি লোহাগড়ার মহিষাপাড়ার মোশারেফ হোসেন মন্টু ও মনিরুল ইসলামসহ প্রতিপক্ষ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ করেছে। ঈশ্বরদীতে ২৫ ভাগ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ চলতি বর্ষা মৌসুমে ঈশ্বরদীতে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলজিইডির প্রায় চার শ’ কিলোমিটার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১শ’ কিলোমিটার এবং পৌরসভার এক শ’ কিলোমিটার মিলে প্রায় ৬শ’ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর মধ্যে অবিরাম বৃষ্টি ও বৃষ্টির পানি জমে শতকরা ২৫ ভাগ রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচলও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সড়কপথে মালামাল পরিবহন এবং মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে জরুরীভাবে এসব রাস্তার মেরামত প্রয়োজন। ঈশ্বরদীর জিরোপয়েন্ট ও প্রাণকেন্দ্র রেলগেট। রেলগেট হলোÑ সাত রাস্তার মিলনকেন্দ্র। দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় হলো, ঈশ্বরদী, পাবনাসহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। রেলগেট থেকে বিমানবন্দর মোড় হয়ে বাঘা মিনি বিশ্ব রোডের আড়মবাড়িয়া বাজার, গার্লস স্কুল মোড় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রেলগেট, দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড়, বিমানবন্দর মোড়, আড়মবাড়িয়া বাজার ও গার্লস স্কুল মোড় দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। মুমূর্ষু ও ডেলিভারি রোগী বহন করতে হয় এসব মোড় দিয়ে।
×