ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নলছিটিতে বৃক্ষমেলা উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৬ জুলাই ২০১৭

নলছিটিতে বৃক্ষমেলা উদ্বোধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি, ১৫ জুলাই ॥ স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই দেশী ফলের গাছ লাগাই, এ প্রতিপাদ্য নিয়ে নলছিটিতে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ফলদ বৃক্ষমেলা। উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলা ১২টায় ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। এ সময় তিনি মেলার বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। মেলায় স্থান পাওয়া ১৫টি স্টলে ফলদ, বনজ ও ঔষুধি গাছ এবং নানা প্রজাতির ফলের পসরা সাজানো হয়েছে। একটি বাড়ি একটি খামারেরও প্রদর্শন করা হয় মেলায়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। মন্ত্রী বলেন, গাছ যেমন একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, তেমনি মানুষকে বিনামূল্যে অক্সিজেন দেয়। অনেকেই হাসপাতালে অক্সিজেন কিনে লাগান অথচ সরকার অসংখ্যবার বলার পরও বাড়ির পাশে একটি গাছ লাগান না। সবাইকে কমপক্ষে একটি করে গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন শিল্পমন্ত্রী। নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র তছলিম উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউনুসলস্কর। ত্রাণ বিতরণে কেউ অনিয়ম করলে ছাড় দেয়া হবে না ॥ মায়া স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দুর্যোগে মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, খাদ্যের কোন অভাব নেই। বন্যাকবলিত এলাকার একজন মানুষও যেন না খেয়ে কিংবা বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে। মানুষ ঘরে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে। তবে ত্রাণ বিতরণে জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতাকর্মী কিংবা প্রশাসনের কর্মকর্তা যে কেউ অনিয়ম করলে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরও বলেন, বন্যার পানি পুরোপুরি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত এ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। পরবর্তীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসিত করা হবে। মানুষের ক্ষতি হোক এটা সরকার চায় না। একজন মানুষের কষ্টের কথা শুনলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও কষ্ট পান বলে মন্তব্য করেছেন। মন্ত্রী বলেন, মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে চারটি দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে সরকার। সিলেটের হাওড় অঞ্চলের বন্যা, ঘূর্ণিঝড় মোরা ও পাহাড় ধসের মতো বড় বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করা হয়েছে। এরপর দেশের ১৩টি জেলায় একযোগে শুরু হয়েছে বন্যা। অন্যান্য দুর্যোগের মতো এ দুর্যোগও সুষ্ঠুভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে। জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি, গাজী মম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ আলম, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মনজুর রহমান প্রমুখ।
×