ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে ১০ দিনে ২৬৮ গোখরা নিধন

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১৬ জুলাই ২০১৭

রাজশাহীতে ১০ দিনে ২৬৮ গোখরা নিধন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ সাপ আতঙ্ক কাটছে না। প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় মিলছে বিষধর গোখরার বাচ্চা। ৪ জুলাই থেকে ১০ দিনে রাজশাহী নগরী, পবা, তানোর, দুর্গাপুর, মোহনপুর এবং বাগমারায় আড়াইশর বেশি বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে ১৮৮টি ডিম। সর্বশেষ শনিবার চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের গ্রামশিবপুর এলাকার মেহেদি হাসানের বাড়ির শোবার ঘর থেকে উদ্ধারের পর মেরে ফেলা হয় ১২টি গোখরার বাচ্চা। এ পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলায় ২৬৮ গোখরা নিধন করা হয়েছে।বাড়ির শোবার ঘর, গোয়ালঘর, রান্নাঘর এমনকি বারান্দায় মিলেছে এসব সাপ। অধিকাংশই বাচ্চা। ইঁদুরের গর্তে বাসা বেঁধে বাচ্চা ফুটিয়েছিল গোখরা। আতঙ্কিত গৃহকর্তারা গর্ত খুঁড়ে বের করে মেরে ফেলেছে সাপ। তখনই নষ্ট করে পুঁতে ফেলা হয়েছে উদ্ধারকৃত ডিম। সর্বশেষ শনিবার চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের গ্রামশিবপুর এলাকার মেহেদি হাসানের বাড়ির শোবার ঘর থেকে দুই দফায় ১২টি গোখরা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ সময় মা গোখরাটি পালিয়ে গেছে। উদ্ধারের পর সবগুলো সাপই পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন আতঙ্কিত লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মেহেদি হাসান জানান, তার শোবার ঘরের দরজার কাছে একটি গোখরা সাপের বাচ্চা দেখতে পান। পরিবারের লোকজন মিলে সেটি মেরে ফেলে। এর কিছুক্ষণ পর ঘরের শোবার ঘরের খাটের নিচে আরেকটি বাচ্চা গোখরা পাওয়া যায়। সেটিও মেরে ফেলা হয়। খোঁজাখুঁজির পর ঘরের কোণে ইঁদুরের গর্ত পাওয়া যায়। সেখান থেকে বের হয় আরও চারটি বাচ্চা গোখরা। মেহেদি হাসান জানান, শনিবার সকালে একই গর্তে একটি মা গোখরা দেখে বাড়ির লোকজন। পরে ওঝা ডেকে খোঁড়াখুঁড়ির পরও তার সন্ধান মেলেনি। তবে ওই গর্তে আরও ৬টি বাচ্চা গোখরা পাওয়া গেছে। ফরিদপুরে ৩৫ গোখরা নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানের পর এবার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় শোবার ঘরে পাওয়া গেছে ৩৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা। আলফাডাঙ্গা উপজেলা সদরের নীল রতন বিশ্বাসের শোবার ঘর থেকে শুক্রবার রাতে একে একে মারা হয় ৩৫টি গোখরার বাচ্চাকে। নীল রতন বিশ্বাস জানান, শুক্রবার শোবার ঘরে পাশে পরিবারের লোকেরা একটি গোখরা সাপের বাচ্চা দেখতে পায়। পরে সাপের বাচ্চাটি ঘরে গর্তের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এ সময় নীল রতন ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। রাতে ঘরের মধ্যে আরও তিনটি গোখরার বাচ্চা দেখতে পেয়ে তারা সকলেই ঘর থেকে বের হয়ে আসে। পরে সকালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গর্ত খুঁড়ে একে একে মারা হয় ৩৫টি গোখরার বাচ্চাকে। সাপের ৩৫টি বাচ্চা মারা গেলেও সাপটিকে মারা যায়নি। এ নিয়ে নীল রতন ও তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, চারদিকে পানি ওঠার কারণে এবং কয়েকদিন ধরে অব্যাহত বৃষ্টির জন্য গোখরা বসতবাড়ির গর্তের মধ্যে ডিম ছাড়ে।
×