ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এলএনজি আমদানিতে কাতারের সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৬ জুলাই ২০১৭

এলএনজি আমদানিতে কাতারের সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে কাতারের সঙ্গে ১৫ বছরের চূড়ান্ত চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্লোবাল প্ল্যাটস জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় এ চুক্তি হয়েছে। এ সময় পেট্রোবাংলা ও কাতারের র‌্যাশগ্যাস কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পেট্রোবাংলার এক উর্ধতন কর্মকর্তার বরাতে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী কাতারের রাষ্ট্রীয় এই কোম্পানি থেকে বছরে ২.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন গ্যাস আমদানি করবে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক সময়ে কাতারকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট যখন তীব্র হচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তি হলো। সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, গ্যাসের দরদাম নিয়ে গত সপ্তাহে কয়েকবার বৈঠকে বসার চেষ্টা করে কাতারের প্রতিনিধিরা। কিন্তু দুই পক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। অবশেষে গত বুধবার ঢাকায় আসে কাতারের প্রতিনিধিরা। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষ চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছে। পেট্রোবাংলার ওই কর্মকর্তা জানান, চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দাম কত হবে; কতটুকু নেয়া হবে, মেয়াদ সবই নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে গত জুনে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোঃ ফাইজুল্লাহ গ্লোবাল প্ল্যাটসকে বলেছিলেন, কাতার সফরকালে কাতারের র‌্যাশগ্যাসের সঙ্গে সরকারী পর্যায়ে প্রাথমিক আলোচনা চূড়ান্ত করেছেন। তারা মূল্য ছাড়া সব ইস্যুর সমাধান করেছেন। সরকার মূলত ২০১০ সাল থেকে এলএনজি আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করে। তখন থেকে এলএনজি আমদানির জন্য কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ নিয়ে এর আগে কাতারের সঙ্গে একটি এমওইউ সই করে বাংলাদেশ। টার্মিনাল নির্মাণে সময়ক্ষেপণের কারণে এতদিন প্রক্রিয়াটি ঝুলে ছিল। ভিন্ন নামে আমদানি হচ্ছে সোডিয়াম ক্লোরাইড অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ লবণ তৈরির উপকরণ হিসেবে সোডিয়াম ক্লোরাইডের ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই এখন অন্য নামে দেশে আমদানি হচ্ছে এই রাসায়নিক। কেবল তাই নয়, মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সোডিয়াম সালফেটের সঙ্গে মিশিয়েই আনা হচ্ছে উপকরণটি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে আনা দুটি চালান পরীক্ষা করে এমন প্রমাণ পায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। কর্মকর্তারা বলছেন, এতে করে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য, পাশাপাশি ফাঁকি দেয়া হচ্ছে বিপুল রাজস্ব। চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে রাখা এসব বস্তায় সাধারণ কোন পণ্য নয়, আছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ভেজাল লবণ। তাতে একসাথে মেশানো আছে সোডিয়াম ক্লোরাইড আর সোডিয়াম সালফেট। সম্প্রতি এমন ২০০০ টন লবণ জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা দফতর। যা আনা হয় চীন থেকে। অথচ ২০১৫ সাল থেকে দেশে আমদানি নিষিদ্ধ সোডিয়াম ক্লোরাইড। যদিও বাধা নেই সালফেট আমদানিতে। কিন্তু বিস্ময়কর হচ্ছে এখন এই দুটি পণ্য একসঙ্গে মিশিয়ে আনা হচ্ছে দেশে। শুল্ক কর্মকর্তারা বলছেন, ক্লোরাইডের আমদানি শুল্ক ৯০ আর সালফেটের শুল্ক ৩১ শতাংশ। তাতে বিপুল রাজস্ব ফাঁকি, মুদ্রা পাচার আর লবণের উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে বাড়তি মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে এসব রাসায়নিক আনছে একটি চক্র।
×