ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণাঞ্চলে কারিগরি শিক্ষার নতুন মাইলফলক

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৫ জুলাই ২০১৭

দক্ষিণাঞ্চলে কারিগরি শিক্ষার নতুন মাইলফলক

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ আগামী শিক্ষাবর্ষেই বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের প্রথম এবং একমাত্র প্রকৌশল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। এজন্য বর্ধিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ। ইতোমধ্যে প্রায় ৮২ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ের বরিশাল জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামরুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সম্পূর্ণ বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি নির্মাণ হচ্ছে বরিশাল-ভোলা সড়কের পার্শ্ববর্তী বরিশাল মহানগরীর অদূরে সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকায়। আগামী বছরের জুনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হবে। বরিশালের শিক্ষাবিদরা জানিয়েছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের অগ্রবর্তী দক্ষিণাঞ্চলে কারিগরি শিক্ষার আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোপূর্বে ছিল না। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের বরিশাল জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালের ৬ মার্চ তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠক বরিশাল সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বরিশালে একটি প্রকৗশল মহাবিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে উপদেষ্টা পরিষদ। তবে সে সময় ‘উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়পত্র-ডিপিপি’ প্রস্তুত ছাড়া প্রকল্পটির তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম মেয়াদে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পার্শ¦বর্তী সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার প্রায় ছয় একর জমির ওপর ‘বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ নামক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৮৮ কোটি ১১ লাখ টাকার ডিপিপি অনুমোদন লাভ করে। জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী আরও জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম পাঁচ বছর মেয়াদের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সে অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। বরং প্রকল্প ব্যয় এবং সময় বর্ধিত করা হয়েছে। সংশোধিত ডিপিপি একনেকের অনুমোদনও লাভ করেছে। সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্প ব্যয় ৯১ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। তাছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন করার দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের বরিশাল জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইতোমধ্যে প্রকল্প এলাকার অবকাঠামো নির্মাণকাজ প্রায় ৮২ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনিক ভবন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন, কম্পিউটার ভবন, নেভাল আর্কিটেক্ট ভবন, লাইব্রেরি, কাফেটারিয়াসহ দুটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীনিবাসের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষের পথে। তিনি আরও জানান, সবকিছু ঠিক থাকলে সীমানা প্রাচীর ও অধ্যক্ষের বাসভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ শেষে আগামী অর্থবছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
×