ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফিনল্যান্ডে চালকবিহীন বাস

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৫ জুলাই ২০১৭

ফিনল্যান্ডে চালকবিহীন বাস

বাসে উঠে বসে আছেন কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রীর লোভে হেলপার ও চালক কারোরই বাস ছাড়ার নাম নেই। ঢাকা শহরে বাসে চড়েছেন কিন্তু এই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হননি এমন মানুষ পাওয়া আসলেই মুশকিল। এ রকম অবস্থায় চালককে অনেক কথা বলতে চাইলেও ঝামেলা এড়াতে নীরব থাকেন অনেকেই। কিন্তু কেমন হয় যদি বাসে চালকই না থাকে? চালক ছাড়াই বাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনাকে পৌঁছে দিল গন্তব্যে, এমনটা হলে কোন ঝামেলাই থাকে না আসলে। ম্যাশেবলে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, প্রোটেররা নামে একটি বাস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এ রকম একটি বাস তৈরির দাবি করেছে। এরই মধ্যে ফিনল্যান্ডের সমুদ্রপাড়ের রাস্তায় তা পরীক্ষামূলকভাবে চালানোও হয়েছে। তারা এই বাসটির মাধ্যমে তিনটি ধাপের একটি পরিকল্পনার কথা বলেছে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে চালকবিহীন গাড়ি সবার জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠবে। এই ধাপগুলো অনুসরণের ফলে জনগণের বাস চলাচল আরও নিরাপদ এবং কার্যকরী হয়ে উঠবে। তাদের এই তিনটি ধাপের প্রতিটি ধাপ যে কার্যকরী তা আলাদাভাবে গবেষণা এবং উন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা প্রদেশের রেনো শহরের একটি নির্দিষ্ট রাস্তায় নামানো হবে প্রোটেররার তৈরির বাসটিকে। প্রথম ধাপে সেন্সরের মাধ্যমে যাত্রীদের বাসে ওঠানো হবে এবং যাত্রাপথ নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। যদিও যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য একজন চালককেও সঙ্গে রাখা হবে। দ্বিতীয় ধাপে সেন্সর থেকে স্ব-চালনার বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বাসটি তার কাজ শুরু করবে। তৃতীয় ধাপে তারা চায় শুধু রেনো শহরের নির্দিষ্ট রাস্তায় নয়, গোটা নেভাদা শহরের রাস্তাগুলোতেই যেন তাদের বাস চলাচল করে সেই ব্যবস্থা করা। প্রোটেররা তাদের এই প্রকল্পকে আখ্যা দিয়েছে ‘আমেরিকার প্রথম স্বয়ংক্রিয় বাস প্রকল্প।’ শুধু বাসই নয় স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, ট্রাক নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে স্ব-চালিত বাস প্রকল্পে বড় বাধা হয়ে আসতে পারে ট্রাফিক সিস্টেম। তারা এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তারা আশা করছে, ২০১৯ সাল নাগাদ স্ব-চালিত বাস রাস্তায় নামাতে পারবে। সূত্র ॥ ম্যাশেবল
×