ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কিশোরগঞ্জে দুই গৃহবধূ যৌতুকের বলি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৫ জুলাই ২০১৭

কিশোরগঞ্জে দুই গৃহবধূ যৌতুকের বলি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৪ জুলাই ॥ কিশোরগঞ্জে পৃথক দুটি ঘটনায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে মর্জিনা আক্তার (৩৫) ও রওশন আরা (২২) নামের দুই গৃহবধূ খুন হয়েছেন। শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ সদরের যশোদল ব্রাহ্মণকান্দি ও জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌরসভাধীন সৈয়দগাঁওয়ে এ ঘটনা ঘটে। পৃথক এসব ঘটনায় পুলিশ নিহত দুই গৃহবধূর স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, পাকুন্দিয়া পৌর সদরের সৈয়দগাঁও এলাকার নূরুল ইসলামের মেয়ে লেবানন ফেরত গৃহবধূ মর্জিনাকে (৩৫) যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করত পার্শ্ববর্তী দেয়াপাড়া গ্রামের মৃত ইসমাঈল হোসেনের ছেলে স্বামী ছমির উদ্দিন (৪২)। তিন সন্তানের জননী মর্জিনা গত ১১ জুলাই দেশে ফিরে সৈয়দগাঁওয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। শুক্রবার সকালে ছমির উদ্দিন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রী মর্জিনাকে একা পেয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার তলপেটে ছুরিকাঘাত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাকুন্দিয়া উপজেলা হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক স্বামীকে পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী দাউরাইদ এলাকার একটি পাটক্ষেত থেকে আটক করে। এ সময় হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছোরাটি উদ্ধার করে পুলিশ। অপরদিকে জেলা সদরের যশোদলের ব্রাহ্মণকান্দি গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে রওশন আরাকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তার স্বামী হযরত আলী (২৮)। এর জেরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হযরত আলী তার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী ও তার ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পৃথক দুটি ঘটনায় নিহত দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাদারীপুরে স্পিনিং মিল বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৪ জুলাই ॥ হঠাৎ করে প্রশাসন থেকে জেলার একমাত্র স্পিনিং মিল বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আকস্মিক মিল বন্ধ হওয়ায় মিলের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা মিলের বাইরে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। পরে স্থানীয় প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে মিলের ভেতরে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর স্পিনিং মিলে তিন শিফটে প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক কাজ করে। তারা প্রায় আড়াই মাস ধরে বেতনভাতা পাচ্ছে না। এ অবস্থায় হঠাৎ করে শুক্রবার মিল বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকরা অসহায় হয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা মিল চালু রাখার দাবিতে কাজ রেখে সকাল থেকে মাদারীপুর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মস্তাফাপুরের বড়ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় দুই পাশে কয়েকশ’ যানবাহন আটকা পড়ে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে মিলের ভেতরে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট করতে থাকে। এ সময় পুলিশ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়।
×