ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তারকা ফ্যাশন ॥ ‘আরামদায়ক-মানানসই পোশাকই ফ্যাশন’

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৪ জুলাই ২০১৭

তারকা ফ্যাশন ॥ ‘আরামদায়ক-মানানসই পোশাকই ফ্যাশন’

তাসনোভা তামান্না। সিংগাপুর চলচিত্র উৎসবে সিলভার স্ক্রিন এ্যাওয়ার্ড বিজয়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বাংলা চলচ্চিত্র ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’র নায়িকা। উচ্চবিত্ত পরিম-লে বেড়ে ওঠা তামান্না অসাধারণ অভিনয় গুণে ছুঁয়ে গেছেন এক সাধারণ মেয়ের চরিত্র। দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন তবে আলোচনায় এলেন ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’ দিয়ে। কাজ করেন বেছে, চিন্তাভাবনায় ব্যতিক্রম। আর তার ফ্যাশন ভাবনাও একান্ত নিজস্ব। এ সংখ্যায় কথা হলো তার ফ্যাশন ভাবনা নিয়ে। লিখেছেন- মিহির দীপন আপনার কাছে ফ্যাশনের অর্থ কী? আমার কাছে ফ্যাশনের প্রথম শর্ত হচ্ছে আরামদায়ক পোশাক পরা। সেটা যেকোন পোশাকই হতে পারে। কেউ হয়তো একই ধরনের কাপড় বার বার পরেন আবার কেউ বিভিন্ন রকমের কাপড় বা সাজ নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করেন। আমি এক্সপেরিমেন্টে বিশ্বাসী। আবার কখনও দেখা যায় একই ধরনের কাপড় পরছি একনাগারে। তবে সাজগোজ নিয়ে আমার মাথাব্যথা একটু কম। এটা আসলে ডিপেন্ড করে আমার মুডের ওপর। আর আমার মনে হয় আমি যে ধরনের ড্রেস পরব বা যে ধরনের স্টাইল আপ করব সেটা আমার পার্সোনালিটিকে এক্সপ্রেস করবে। আজ আমার কাছে ফ্যাশন মানে আমার কম্ফোর্টেবল স্পেস। আমি ক্যাজুয়ালি জিন্স, শার্ট অথবা লুজ টি-শার্ট পরতে পছন্দ করি। আর সামারে বিশেষ করে ফ্রক বা স্কার্ট প্রেফার করি। একজন কর্মজীবী নারী হিসেবে ফ্যাশনকে গুরুত্ব দেয়ার সুযোগটা কতটুকু? বিশেষ করে আমাদের দেশে? আমাদের দেশে কর্মজীবী নারীদের জন্য তো আসলে ফ্যাশন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ কম। গার্মেন্টস, ব্যাংক বা যে কোন সোশ্যাল জবে আছেন যে নারী, তাদের মাত্র দুটা অপশন- হয় সেলোয়ার কামিজ নয়তো শাড়ি। তো তাদের জন্য ফ্যাশন তো দূরের কথা কম্ফোর্টেবল কোন ড্রেসই তারা নিজেদের পছন্দ মতো পরতে পারেন না। ইদানীং অনেক শপিং মল বা হাসপাতালগুলোতে দেখা যায় সিকিউরিটি হিসেবে যেসব নারীরা আছেন তাদের শার্টের ওপর একটা ক্রস ওড়না পরতে হয় যেটা একটু বেমানান লাগে। কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় পর্দা করতে চান তাহলে সেটা আরও সুন্দরভাবে করা যায়। আমাদের সোশ্যাল স্ট্রাকচারের এই অবস্থায় আমার মনে হয় না যে আমাদের দেশে কর্মজীবী নারীদের ফ্যাশনকে গুরুত্ব দেওয়ার খুব একটা সুযোগ আছে। তবে আমার প্রফেশন যেহেতু মিডিয়া রিলেটেড সেহেতু আমি তুলনামূলক কিছুটা ফ্রিডম পাই আর মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট জব করছেন যেসব নারী তারাও অনেক ফ্রিডম পাচ্ছেন এখন। তাই আমরা যারা মিডিয়া বা কর্পোরেট রিলেটেড জবে আছি তারা এক্সপ্লোর করার কিছুটা সুযোগ পাচ্ছি। পছন্দের রঙ? আমার ফেবারিট হচ্ছে রেড, হোয়াইট, এশ, গ্রে, গোল্ডেন ব্রাউন, ভায়োলেট। ডিপেন্ডস অন মাই মুড। প্রিয় ফ্যাশন অনুষঙ্গ? রিস্ট ওয়াচ, সানগ্লাস, হেয়ার ব্যান্ড। পছন্দের ব্র্যান্ড? স্পার্ক গিয়ার, বিগ বস, আর্টিসান, ইয়েলো, আড়ং, যাত্রা, সপুরা সিল্ক, টাইঙ্গাইল সিল্ক। পছন্দের রং অথবা ডিজাইন কোনটাকে প্রাধান্য দেবেন? এক্ষেত্রে আমি রংকে প্রাধান্য দেব। আপনি একজন অভিনেত্রী। নিজের পেশার জন্য বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। যদি বলা হয় ‘ব্যক্তি’ তামান্না অথবা ‘অভিনেত্রী’ তামান্না- ফ্যাশনের জন্য কোন মানুষটা আপনার বেশি পছন্দের? ফ্যাশনের জন্য ব্যক্তি হিসেবে অবশ্যই আমার প্রাধান্য বেশি, তবে আমার কাজের যে কোন পোশাকেই আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি এবং বিষয়টা উপভোগও করি।
×