ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তিন শিল্পীর গানের মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৪ জুলাই ২০১৭

স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তিন শিল্পীর গানের মোড়ক উন্মোচন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুরের আশ্রয়ে স্বাস্থ্যসেবার প্রচারে অংশ নিলেন তিন কণ্ঠশিল্পী। গানে গানে শিল্পীরা সর্বসাধারণকে বলে গেলেন স্বাস্থ্য সুরক্ষার কৌশল।‘স্বাস্থ্যসেবায় আলোর মিছিল, আলোর মিছিল, বাংলাদেশের সফলতায় বিস্মিত বিশ্ব নিখিল’ শিরোনামের গানটি গেয়েছেন সুবীর নন্দী, কোনাল ও সাব্বির। ২০০৯ সাল থেকে স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের অবদান নিয়ে লেখা হয়েছে গানটি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় গানটির সঙ্গীতায়োজনের তত্ত্বাবধান করেছে চ্যানেল আই। বৃহস্পতিবার দুপুরে চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় গানটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোয়ার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এসএম হারুন-অর-রশিদ, গীতিকার ডাঃ বায়েজীদ খুরশীদ রিয়াজ ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। মোহাম্মদ নাসিম গানটির প্রশংসা করে বলেন, আমরা অর্জন ভুলে যাই। এই গানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন তুলে ধরা হয়েছে। ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, গান দিয়ে অনেক কিছু করা যায়। সেজন্যই বাঙালী গানকে এত ভালবাসে। যে গানকে ভালবাসে না, সে খুন করতে পারে। কে খুনী হতে চায় বলুন? অনুভূতি প্রকাশ করে সুবীর নন্দী বলেন, ৫০ বছর ধরে আমি গান করছি। আর আমার পুরো সঙ্গীত জীবনে এটি একটি উল্লেখযোগ্য গান। দেশের চাহিদা অনুযায়ী যেমন গান প্রয়োজন, এটি তেমনি একটি গান। সব শিল্পীদের পক্ষ থেকে আমরা তিনজন গানটি গেয়েছি। এ ছাড়াও গানটি সম্পর্কে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ওই গানটির অপর দুই কণ্ঠশিল্পী সাব্বির ও কোনাল। স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ইমেজ ভিশন গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছে। গানের কথা লিখেছেন বায়েজীদ খুরশীদ রিয়াজ। সুর করেছেন মকসুদ জামিল মিন্টু। নির্দেশনা দিয়েছেন মেহেদী হাসান বাবু। ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে শিশুদের নাচ-গানে মুগ্ধতা ঈদ পুনর্মিলনী ও ২৯তম এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় শিশু সমাবেশ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হলো আয়োজনটি। জাপানে অনুষ্ঠিতব্য শিশু সমাবেশের নির্বাচিত পরিবেশনা উপস্থাপন করল শিশু শিল্পীরা। এ ওরিয়েনটেশন অনুষ্ঠানে নাচ ও গানে মুগ্ধতা ছড়ালো খুদে শিল্পীরা। এভাবেই সংস্কৃতির নানা আয়োজনে রঙে-বর্ণে ও উৎসবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুখরিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। একাডেমি মিলনায়তনে এশিয়ান প্যাসিফিক চিলড্রেন কনভেনশনে সাংস্কৃতিক কর্মসূচী বিনিময়ে অংশগ্রহণকারী শিশুদের সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। ঈদ পুনর্মিলনী ও ওরিয়েনটেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন। সভাপতিত্ব করেন একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। চারুশিল্পী হাসান আহমেদ স্মরণ গত ৯ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি দেন প্রবীণ চারুশিল্পী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সাবেক হাসান আহমেদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিবেদিত স্মরণসভার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেমিনার হলে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় হাসান আহমেদকে নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন চিত্রশিল্পী আবদুল এবং হাসান আহমেদের পরিবারের সদস্যরা। শোক সভায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের পক্ষে হাসান আহমেদকে নিয়ে কথা বলেন জাদুঘরের দুই ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলী ও ডাঃ সারওয়ার আলী ।
×