ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৪ জুলাই ২০১৭

ঝলক

হরিহর আত্মা বাঘে-মানুষে বন্ধুত্ব হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর আসবে এ তো অসম্ভব! এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন এক ইন্দোনেশীয় নারী। আব্দুল্লাহ সোলেহ নামের এই নারীর এখন নিত্য সঙ্গী একটি পরিণত রয়েল বেঙ্গল টাইগার। উভয়ে যেন হরিহর আত্মা। ৪শ’ পাউন্ড ওজনের বাঘটির নাম দেয়া হয়েছে মুলান জামিলাহ। এটিকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় হাঁটেন ২৫ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ সোলেহ। এটি তার সঙ্গে খুনসুঁটি করে। কখনও আলতো করে মেয়েটির হাত কামড়ে ধরে। কখনও বড় জিহ্বা বের করে তার মুখ চাটতে থাকে। তবে ভুল করেও শক্ত করে কামড় বসায় না। কেমন করে গড়ে উঠল এই বিরল বন্ধুত্ব? সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাতকারে আব্দুল্লাহ সোলেহ বলেন, আমি ইন্দোনেশিয়ার মালাং ইসলামিক স্কুলে পড়তাম। তখন স্কুল কর্তৃপক্ষকে ৩ মাস বয়সী একটি বাঘ শাবক উপহার দেন এক ব্যক্তি। বাঘটি দেখাশোনার দায়িত্ব আমার ওপর বর্তায়। আমি এটিকে দুধ খাওয়াতাম। এটির যতœ নিতাম। বাঘটি আমাকে একটু সময় না দেখলে ডাকাডাকি করত। পরে দিনের ২৪ ঘণ্টাই আমি এর লালন-পালনের দায়িত্ব পাই। আব্দুল্লাহ সোলেহ আরও বলেন, এ সময় বাঘটির সঙ্গে আমি ঘুমাতাম। একসঙ্গে খেলতাম। এভাবে বাঘটি আস্তে আস্তে পরিণত হতে থাকে। আর আমাদের বন্ধুত্বও বাড়তে থাকে। তিনি বলেন, এই বাঘ লালন-পালনের জন্য স্থানীয়রা আমাকে ‘দি ন্যানি’ বলে ডাকে। এক কথায় বাঘটি এখন আব্দুল্লাহ সোলেহর প্রিয় বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, তবে, আমার মধ্যে একটা ভয়ও কাজ করে। কারণ, এটি তো বন্য পশু। এটি বহুবার আমার শরীরে আঁচর কেটেছে। তবে এসব মারাত্মক নয়। ছোটবেলায় দুধ খেলেও বাঘটির প্রিয় খাদ্য এখন মুরগি আর ছাগলের মাংস। আবার কখনও কখনও নুডুলসও খায়। এসব খাবার বাঘটির মুখে নিজ হাতে তুলে দেয় আব্দুল্লাহ সোলেহ। তিনি বলেন, এর সঙ্গে আমার দীর্ঘ ১০ বছরের বন্ধুত্ব। আমি এই এর আবেগ বুঝতে পারি। এদিকে বাঘ পালন করে এখন ইন্দোনেশিয়ায় রীতিমতো তারকা বনে গেছেন আব্দুল্লাহ সোলেহ। প্রায়ই অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এই গল্প প্রকাশে তার দারস্থ হচ্ছে। বিষয়টি উপভোগ করছেন এই নারী।Ñঅডিটি সেন্ট্রাল অবলম্বনে। রোবট মিস্ত্রি! বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির জয়জয়কার। প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন সব জিনিসপত্র। এসব মানবজীবনকে করে তুলছে আরও সহজ ও গতিময়। এরই ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলীয় প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান ক্যাটারপিলার ইনকর্পোরেশন একটি বিশাল রোবটের নক্সা প্রকাশ করেছে। এটিকে বলা হচ্ছে মিস্ত্রি রোবট। রোবটটি মাত্র দুদিনেই একটি প্রকা- বাড়ি নির্মাণ করতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে এক মুহূর্তের জন্যও রোবটটির দম নেয়ার প্রয়োজন হবে না। হাড্রিয়ান এক্স নামে বিশাল এই রোবটকে একটি ট্রাকের ওপর বসিয়ে ভবন নির্মাণের স্থানে নিয়ে যেতে হবে। এর পর রোবটটি তার ৩০ মিটার লম্বা দণ্ড দিয়ে পটাপট ইট গেঁথে ফেলবে। যন্ত্রটি ঘণ্টায় এক হাজার ইট গাঁথতে সক্ষম। ড্রাইভারের নির্দেশনা অনুযায়ী আউটপুট দেবে এই রোবট। কাজও একেবারে নিখুঁত। ফাস্টব্রিক রোবোটিক্স নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে রোবটটির নির্মাণ, বিপণন ও মানোন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ক্যাটারপিলার। মানুষ দিয়ে ইমারত তৈরির বদলে সারাবিশ্বে রোবোটিক্স প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন প্রতিষ্ঠান দুটির কর্মকর্তারা। রোবটের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক পিভাক বলেন, মানুষ প্রায় ছয় হাজার বছর আগে থেকে ইট দিয়ে ভবন নির্মাণ করছে। শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই তারা ইটের গাঁথুনি দেয়ার কাজটি সহজ ও স্বয়ংক্রিয় করার চেষ্টা করছে। এখন প্রযুক্তি এমন একটা স্থানে পৌঁছে গেছে যে কাজটা করে দেখানো সম্ভব হয়েছে।-ডিজিটাল ট্রেন্ডস অবলম্বনে।
×