ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৪ জুলাই ২০১৭

উবাচ

কান্নাকাটি আর ব্রিফিং স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব অতি আবেগাক্রান্ত হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় মনটা পোড়ায়। মাঝে মাঝে বক্তৃতা দিতে উঠে তাই হুহু করে ইচ্ছা করে কেঁদে ফেলতে হয়। এর আগেও তিনি এমন আচরণ করেছেন। আহারে! বেচারা এমন আবেগঘন অশ্রু বিসর্জনে সহানুভূতি জোটাতো দূরের কথা উল্টো তাকে উল্টোপাল্টা কথা শুনতে হাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কান্নাকাটি প্রসঙ্গে বলেছেন বিএনপির কাজ ঘরে বসে ব্রিফিং আর কান্নাকাটি। তিনি বলেন, আমাদের তো হাজার হাজার কর্মীকে তারা হত্যা করে রক্তস্রোত বইয়ে দিয়েছিল। আমাদের কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র একেবারেই নির্মাণ করা যাবে না বলে ইউনেস্কোর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা আমরা অতিক্রম করেছি। এখন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু এখনও বিএনপি এসব নিয়ে মিথ্যাচার করছে। মিথ্যা কথা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ পোল্যান্ডে বসেছিল ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ৪১তম বৈঠক। এই বৈঠকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল রামপাল ইস্যু নিয়ে হেরিটেজ কমিটিকে বোঝাতে গিয়েছিল। যদিও বাংলাদেশের পক্ষে তুরস্ক প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করে। রামপাল ইস্যুতে সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপে হেরিটেজ কমিটি ইউনেস্কোর আগের অবস্থান পরিবর্তন করে। রামপালকে ছাড় দিলেও কৌশলগত পরিবেশ জরিপ করার আগে সুন্দরবন এলাকাতে অন্য বড় স্থাপনা করতে নিষেধাজ্ঞা বজায় রেখেছে। সরকারও ইউনেস্কোর এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে বিরোধী আন্দোলনকারীরা। বিশেষ করে শেষ বেলায় অন্যদের আন্দোলনে ভাগ বসানো বিএনপির তো মাথায় হাত। দলটির নেতাকর্মীরা ভাবছেন এ কি হলো। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেনই ইউনেস্কো আপত্তি তুলে নিয়েছে, এটা মিথ্যা কথা। কেন মিথ্যা কথা কিভাবে মিথ্যা কথা। হেরিটেজ কমিটি কী বিএনপিকে আলাদা করে এসব বিষয় জানিয়েছে? সেসব প্রশ্ন তাকে করারও সুযোগ নেই। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন এটা হতেই পারে না। পোলান্ডে বৈঠক শেষে ইউনেস্কো তাদের ওয়েবপেজে যেসব খবর দিয়েছে তার কোথাও এখনও পর্যন্ত সুন্দরবন বা রামপালের নাম নেই। আগের অবস্থানেই যদি থাকবে সেক্ষেত্রে এতদিন এত সোচ্চার ইউনেস্কো কি কিছুই বলতো না রামপাল বা উদ্বিগ্ন সুন্দরবন নিয়ে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বিশ্বাস থেকেই বলছেন সুন্দরবনে আমরা কয়লা ভিত্তিক কোন বিদ্যুত প্রকল্প চাই না। পরিষ্কারভাবে আমরা বলে দিয়েছি সেখান থেকে তা সরিয়ে নিতে হবে। নিজেকে বাঁচিয়ে চলুন স্টাফ রিপোর্টার ॥ মশা নিয়ে বিরাট আতঙ্কে আছে ঢাকার মানুষ। এই আতঙ্ক এখন ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সবখানে। আতঙ্কের নাম চিকুনগুনিয়া। মশা কামড়ালেই মনে হচ্ছে চিকুনগুনিয়া হবে নাতো আবার। ঢাকার এমন কোন বাসা পাওয়া যাবে না যেখানে চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত রোগী নেই অথবা জ্বর হয়েছে এমন কেউ নেই। সিটি কর্পোরেশনের ওপর দোষ চাপিয়ে পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ। সিটি কর্পোরেশন অবশ্য চুপ, তারা বলছে বাজেট কই মশা মারার। ফগার মেশিনের বাহকরাও নাকি বুড়ো হয়ে গেছে। কিন্তু নির্বাচনের ঠিক পরপর দুই মেয়রের এক মেয়রকে দেখা যেত নিজেই ফগার মেশিন নিয়ে মাঠে নেমে পড়তেন। এখন আর তাকে দেখা যয় না। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু করার নেই। তাদের কথা সিটি কর্পোরেশন শুনবেই বা কেন? সেজন্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক চিকুনগুনিয়া থেকে রক্ষা পেতে মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, মশা নিধন করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোন ব্যবস্থা নাই, কোন দায়িত্ব নাই। এটা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন করবে এবং তারা এ বছর সেভাবে সময়মতো করতে পারেনি। বর্ষা চলে আসছে। যার ফলে এই মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং চিকুনগুনিয়া রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
×