ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলো

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৪ জুলাই ২০১৭

রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলো

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ১৩ জুলাই ॥ রাঙ্গামাটিতে প্রাকৃতিক মহাবির্পযয়ের এক মাস পর রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক মিনিবাস চলাচলের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে খুলে দেয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি এলাকায় ধসে পড়া ১৬০ ফুট সড়ক মিনিবাস চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে বলে সড়ক বিভাগ জানায়। বৃষ্টির কারণে সড়কের ভাঙ্গা অংশে মাটি ভরাট করে ধরে রাখতে না পারায় সড়ক বিভাগ সেখানে একটি বেইলি ব্রিজ করা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সেখানে বেইলি ব্রিজের কাজ অনেকটা এগিয়েছে বলে সড়ক বিভাগ জানায়। একই সঙ্গে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের ৮ কি.মি. এলাকায় ধসে পড়া ৭০ ফুট সড়কের মাটি বৃষ্টিতে ধসে পড়ার পর সেখানেও বৃহস্পতিবার সড়কে ৪৪ ফুট দীর্ঘ ও ২৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপ বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। কালভার্টের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই সড়কটি চালু হবে বলে সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এমদাদ হোসেন জানান। একেবারে ধসে পড়া এই সড়ক দুটি চলাচলের জন্য কিছুটা উপযোগী করা হয়েছে। বার বার ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কের ভাঙ্গা অংশে মাটি ভরাট করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল। গত কয়েক দিনে বৃষ্টিপাত পরিমাণ কমে আসায় সড়কে মাটি ভরাটের কাজে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি সড়কের ৮ কি.মি. এলাকায় যে ৭০ ফুট সড়ক একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে সেখানে একটি পাইপ কালভার্ট বসানোর কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখন সেখানে মাটি ভরাট করে ইট বিছানোর পর সড়কটি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। সড়কের কাজে দায়িত্বরত উপ সহকারী প্রকৌশলী আবু মুছা জানান, এই অংশটি ছাড়া সড়কের অন্য অংশ চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। রাজস্থলী বাঙ্গাল হালিয়া ও বান্দরবান সড়কে এখনও পাহাড় ধসের মাটি পুরোপুরি সরানো হয়নি বিধায় সেখানে এখনও ভারি যান চলাচল করছে না। একইভাবে বাঙ্গাল হালিয়া বান্দরবান সড়কে ধসে পড়া মাটি সরানো না হওয়ায় ওই সড়কও ভারি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়নি। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে অত্যন্ত ভারি বর্ষণের কারণে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় স্মরণকালের বৃহত্তম পাহাড় ধস হয়। এই পাহাড় ধসের কারণে জেলায় ১২১ জন লোক মাটিচাপা পড়ে প্রাণ হারায়। এ ছাড়া পাহাড় ধসের ফলে রাঙ্গামাটির সঙ্গে দেশের সকল সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাড়ে ১৮ হাজার পরিবারের একলাখ ২৩ হাজার লোক। সমগ্র রাঙ্গামাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। দীর্ঘ এক মাস পর রাঙ্গামাটির সার্বিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়ে উঠেছে।
×