ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

আমরা ধনী-গরিব বৈষম্য হ্রাস করতে পেরেছি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৪ জুলাই ২০১৭

আমরা ধনী-গরিব বৈষম্য হ্রাস করতে পেরেছি

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দৃঢ়কণ্ঠে বলেছেন, বর্তমান সরকার কখনও তেলে মাথায় তেল দেয় না, ধনীকে আরও ধনী করে না। দেশের সকল অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশের প্রান্তিক অর্থাৎ মাঠ পর্যায়ে হতদরিদ্র্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি বলেই সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ বিস্ময়, উন্নয়নের রোল মডেল। বর্তমান সরকারের অন্যতম সাফল্যই হচ্ছে আমরা দেশে বৈষম্য হ্রাস করতে পেরেছি, ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবই। জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে কোন জঙ্গী-সন্ত্রাসীর স্থান হবে না। জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন করে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ ও শান্তিময় দেশ হিসেবে গড়ে তুলবই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। বাজেট থেকে ভ্যাট আইন প্রত্যাহার করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দল ও সরকারী দলেরও অনেক সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে ভ্যাট আইন প্রত্যাহারের ফলে ২০ হাজার টাকা কম রাজস্ব আদায় হবে। এই ঘাটতি পূরণে হয় আমাদের ব্যাংক থেকে লোন নিতে হবে, নতুবা উন্নয়ন কর্মসূচীতে কিছুটা কাটছাঁট করতে হবে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাজেটটি বাস্তবায়িত হলে সবদিক থেকে দেশ এগিয়ে যাবে, উন্নতি হবে এবং স্বাবলম্বী বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চলতি জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়ন-সফলতা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি চলমান বন্যা মোকাবেলায় তার বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে স্পীকার রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠের মাধ্যমে রাত ৮টা ৫২ মিনিটে অধিবেশন সমাপ্ত ঘোষণা করেন। উন্নয়ন বাজেট ৯০ ভাগেরও ওপরে বাস্তবায়ন করে বর্তমান সরকার দেশ সত্যিই একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত বড় বাজেট বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কেউ দিতে পারেনি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমাদের উন্নয়ন বাজেট ছিল ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করে উন্নয়নের ওই পরিমাণ বাজেটের মধ্যে ১ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। বাংলাদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই প্রমাণ করেছে, তারা বিশাল বাজেট দিতে পারে এবং তা বাস্তবায়নও করতে পারে। এবারের বাজেটও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব- এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সত্যিকার উন্নয়নের ছোঁয়া প্রথম ১৯৯৬ সাল থেকে পায় এদেশের মানুষ। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন, ভুল ব্যাখ্যাও দেন। কিন্তু তারা যদি এবারের বাজেট অধিবেশনের আলোচনা শুনতেন তবে বুঝতে পারতেন মত প্রকাশের স্বাধীনতা যে সবারই রয়েছে তা প্রমাণিত। তিনি বলেন, বাজেট সম্পর্কে শুধু বিরোধী দল নয়, আমাদের সরকারী দলের মন্ত্রী-এমপিরাও অর্থমন্ত্রীকে সমালোচনা করে বক্তব্য রেখেছেন। সরকার ও বিরোধী দলের সবাই স্বাধীনভাবে বক্তব্য রেখেছেন, কাউকেই হুইপিং করে বন্ধ করা হয়নি। সংসদে যে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে, এটা প্রমাণিত সত্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট নিয়ে অনেক পত্রিকা বড় বড় হেডিং করেন। এক লাখ কোটি টাকার উপরে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন অতীতে কোন সরকার করতে পারেনি। একমাত্র আওয়ামী লীগ করেছে। একটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। এবারও ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা; এটাও পূরণ করতে পারব। সেই বিশ্বাস আমাদের আছে। তবে সকল মন্ত্রী-এমপির প্রতি আমার অনুরোধ- নিজ নিজ এলাকায় যেসব প্রকল্প আছে, তাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়। যথেচ্ছভাবে যেন খরচ না হয়। উন্নয়নের সবচেয়ে বড় দিক হচ্ছে আমরা আয় বৈষম্য হ্রাস করতে পেরেছি। মাঠ পর্যায়ে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। দেশবাসীকে ট্যাক্স দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সামান্য একটু ট্যাক্স দিলেই বাজেট ঘাটতিও পূরণ হবে, দেশটারও উন্নতি হবে। আমরা শুধু মুখের উন্নয়ন নয়, সারাদেশেই প্রকৃত উন্নয়ন করেছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। খাদ্য মজুদ থাকলেও অকালবন্যায় হলে বিপদ এড়াতে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করে আমরা মজুদ করে রেখেছি যেন মানুষ কষ্ট না পায়। যেখানে যেখানে বন্যা হয়েছে আওয়ামী লীগের টিম প্রত্যেক এলাকায় দিচ্ছি। পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও আছে। দুর্যোগ এলে কার কি করণীয়, কি করতে হবে। কোথাও কোন সমস্যা নেই। প্রধানমন্ত্রী অতি বৃষ্টির কারণে রাজধানীর অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় যত খাল-বিল, পুকুর ছিল তার একটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার ভরাট করেনি। রাজধানীর জলাশয়গুলো ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বৃষ্টির পানি সরানোর পথগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিগত সরকারগুলো এসব করেছে। পান্থপথের খালটি এখন রাস্তা। খাল-জলাশয় ভরাট করার কারণেই ধানম-ি বৃষ্টির পানিতে নদীর মতো হয়ে যায়। সরকার এ পরিস্থিতি উত্তরণে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া সরকারের সমালোচনা করার পাশাপাশি ভূমিখেকোদেরও কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ধানম-ি আগে ধানক্ষেত ছিল। অনেক বিল ও লেক ছিল। বিরাট বিল ভরাট করেই আজ বসুন্ধরা করা হয়েছে। রাজধানীর পান্থপথটি আগে খাল ছিল। দুর্ভাগ্য ওই খাল বন্ধ করে বক্সকালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুনবাগিচাসহ অনেক জায়গাই খাল বন্ধ করে বক্সকালভার্ট নির্মাণ করে পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে বক্সকালভার্ট কখনই কার্যকর নয়। মতিঝিল এক সময় বিরাট ঝিল ছিল। এই ঝিল বন্ধ করল কে? আওয়ামী লীগ তো বন্ধ করেনি। তিনি বলেন, প্রথম আইয়ুব খান মতিঝিলের ঝিল বন্ধ করে দেয়। জিয়াউর রহমান গাছকাটা-খাল ভরাট শুরু করে। আর জেনারেল এরশাদ রাজধানীর পান্থপথ, সেগুনবাগিচাসহ অনেক খাল বন্ধ করে দেন। এসব খাল-বিল ও পুকুর ভরাট করা না হলে তো ঢাকার এ অবস্থা সৃষ্টি হতো না। তিনি বলেন, আমাদের সরকারই প্রথম নির্দেশনা জারি করে, কল-কারখানা বা সুউচ্চ বিল্ডিং করলে সেখানে অবশ্যই জলাধার থাকতে হবে। আজ অনেক ভূমিখেকো পত্রিকা-টিভির মালিক হয়েছেন। ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান নিয়ে তারা কত কী বলেছে? এমনকি নিজেরা চোর হয়েও সাবেক গৃহায়ণমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খানকে চোর বানাতে কত কিছুই না করেছে। ভেজাল খাদ্য নিয়ে বিরোধী দলের নেতার বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য বিষয় বা ভেজাল নিয়ে বিরোধী দলের নেতা অনেক চিন্তিত। কিন্তু আমরা সারাদেশেই ভেজাল খাদ্য মোকাবেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা মোবাইল কোর্টকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। ভেজাল খাদ্যের কারণে সাপ মানুষকে কাটলে ওই সাপই নাকি মরে যাচ্ছে- একজন ব্যক্তির বক্তব্য নিয়ে রওশন এরশাদের এমন বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী যাতনা বিষে... কবিতার পঙক্তি উচ্চারণ করে বলেন, ওই মানুষকে সাপে কাটলে যদি তিনি বেঁচে যেতেন, আর সাপটি মরে যেত; তখনই একথা বলতে পারতেন। ওই ব্যক্তি কিভাবে একথা বললেন, যাকে সাপই কামড়াইনি। তিনি বলেন, ভেজাল খাদ্য খাই বা যাই খাই আমাদের আয়ুষ্কাল কিন্তু বেড়েছে। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করেছি বলেই আয়ুষ্কাল ৬৮ থেকে বেড়ে এখন ৭২তে উন্নীত হয়েছে। বিদেশ থেকে লবণ আমদানি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে দেশে লবণ উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে। আর সামনে কোরবানির ঈদের কারণে লবণের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটা মাথায় নিয়েই লবণ আমদানি করা হচ্ছে; আগামী কোরবানি ঈদে চামড়া সংরক্ষণে যেন কষ্ট না হয়। তবে আমদানিকৃত লবণে সত্যিকার অর্থে বিষ জাতীয় কিছু আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে আমরা যথাযথভাবে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছি। চলমান বন্যা মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। এরপরও চলমান বন্যায় কোন মানুষ যাতে অসুবিধা বা দুর্ভোগে না পড়েন সেজন্য বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করে আমরা মজুদ করে রেখেছি। যেখানেই বন্যা হচ্ছে সেখানেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ মন্ত্রী ছুটে যাচ্ছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্গম এলাকায় যাতে ত্রাণ পৌঁঁছানো যায় সেজন্য হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সর্বক্ষণিক সবকিছু মনিটরিং করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই এমন দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে। একদম মাঠ পর্যায় পর্যন্ত দেশের সাধারণ মানুষ সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন। ২০২১ সালের আগেই দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে আমরা বাংলাদেশকে গড়ে তুলবই ইনশাল্লাহ। সরকার ছাগল ভেড়া ও মহিষে ঋণ সুবিধা দেবে বাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার এখন থেকে ছাগল, ভেড়া এবং মহিষ পালনকারীদেরকেও গবাদিপশু পালনকারীদের ন্যায় ৫ শতাংশ হারে ব্যাংক ঋণ সুবিধা প্রদানের চিন্তা-ভাবনা করছে। তিনি বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘গাভী পালনে আমরা যদি ৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে পারি তাহলে ভেড়া, ছাগল এবং মহিষ এগুলোতে দিতে পারব না কেন? দিলে মানুষ আরও উৎসাহিত হবে।’ সকালে কটন ও জুট সিস্টেমে ভেড়ার পশম মিশিয়ে সুতা এবং সেই মিশ্রণে প্রস্তুতকৃত বস্ত্র সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা একথা বলেন। খবর বাসসর। সরকার প্রধান বলেন, ‘তবে শুধু উৎপাদন করলেই তো হবে না। সেগুলো যদি সঙ্গে সঙ্গে বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা না করে দেই তাহলে কোনটাই টিকবে না,স্থায়ী হবে না।’ তিনি বলেন, আমাদের গরু ও ছাগল কোরবানি দেয়ারই রেওয়াজটা আছে। এখনও ভেড়া কোরবানির ব্যাপারে কোন আগ্রহ কারও নেই, দেয়ও না। তিনি বলেন,‘এগুলো আস্তে আস্তে উৎসাহিত করা যায়’। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। ভেড়ার পশম, পাট ও সুতার মিশ্রণে কম্বল,শাল,পাপোষ ও জায়নামাজসহ অন্যান্য গৃহস্থালি সামগ্রী তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংক এবং এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে ছাগল, ভেড়া এবং মহিষ লালন পালনকারীদেরকে নিম্ন সুদে এই ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য তিনি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন। কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রতিপালিত ভেড়ার সংখ্যা প্রায় ৩৪ লাখ এবং যা থেকে প্রতিবছর ৩৪০০ মে.টন উল উৎপাদন হয়। কিন্তু কারিগরি জ্ঞানের অভাবে এগুলোর যথাযথ অর্থনৈতিক ব্যবহার হচ্ছে না। পণ্য তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে এগুলো বাজারজাতকরণের নির্দেশ দেন। দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ভেড়ার মতো অন্যান্য গৃহপালিত পশুর মাংস ছাড়াও হাড় ও চামড়া থেকে বিভিন্ন পণ্য রফতানিরও আহ্বান জানান তিনি।
×