ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খেলোয়াড় সংগঠন খুবই আক্রমণাত্মক!

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১৪ জুলাই ২০১৭

খেলোয়াড় সংগঠন খুবই আক্রমণাত্মক!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখন পর্যন্ত অচলাবস্থার নিরসন ঘটেনি। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) বেতনভাতার বিষয়ে নতুন চুক্তির কোন সমাধানের দিকে এগোয়নি। বরং যতই দিন গড়াচ্ছে পরস্পরের প্রতি কাঁদা ছোড়াছুড়ির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ছে সিএ ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। এবার সিএ চেয়ারম্যান ডেভিড পিভার আক্রমণাত্মক ভাষায় তার রোষ প্রকাশ করেছেন খেলোয়াড়দের ইউনিয়নের প্রতি। তিনি দাবি করেছেন সিএ ক্রিকেটের জন্য একটি ধ্বংসাত্মক প্রতিষ্ঠান। এ দাবির কারণ ক্রিকেটাররা বাণিজ্যিক পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানকে বিমুখ করা, সম্প্রচার স্বত্বের অংশীদারদের সঙ্গ সম্পর্ক ছিন্ন এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রিকেটে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়ার হুমকি প্রদান করেছে। পিভারের অভিযোগ এসিএ এমন হুমকিই দিয়েছে। ইতোমধ্যেই ক্রিকেটাররা একটি সফর বয়কট করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের। কিন্তু তারা যায়নি। গত ৩০ জুনের পর থেকেই ঘোষণা অনুসারে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। কোন ধরনের চুক্তিতে আর কোন ক্রিকেটার নেই সিএ’র অধীনে। আগামী মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের। কিন্তু বর্তমান ক্রিকেটারদের আন্দোলনের নেতৃত্বেই আছেন জাতীয় দলের সহঅধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ এক্ষেত্রে তার অন্যতম সহযোগী হিসেবে পাশাপাশিই আছেন সর্বদা। এ কারণে বাংলাদেশ সফরতো বটেই, তারপর ভারত সফর এবং পরবর্তীতে দেশের মাটিতে মর্যাদার এ্যাশেজও ভ-ুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এতকিছুর পরেও বরফ গলছে না। সাবেক অধিনায়ক, সিএ কর্মকর্তা মার্ক টেইলর অবশ্য আশাবাদ জানিয়েছিলেন অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সিএ চেয়ারম্যান পিভার যেভাবে আক্রমণাত্মক বাক্যবাণ ছুড়েছেন ক্রিকেটারদের দিকে তাতে করে আবারও বিষয়টি ঘোর অমানিশায় পতিত হয়েছে। পিভারের অভিযোগের আঙ্গুল অবশ্য এসিএ’র দিকেই। তারা স্পন্সরশিপ, সম্প্রচার স্বত্ব নিয়েও ঝামেলা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছে বলেই দাবি করেছেন তিনি। এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক কর্মপ্রক্রিয়া অনুসারে সিএ খুবই সম্মানজনক ও ভদ্রোচিত প্রস্তাবই করেছে। কিন্তু এসিএ সেটা প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমেই প্রতিক্রিয়া জানায়নি, পাশাপাশি তারা প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছে হিংস্রতা দেখিয়ে। এর মাধ্যমে যে কেউ ধারণা করতে পারে সিএ হয়তো বেশ ভালমানের বেতনভাতার পরিবর্তে দাসপ্রথার প্রস্তাব করেছে। তাদের এই মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়ার এখন কোন পর্যায় নেই। এসিএ অন্য এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তারা এমনকি নিজস্ব ক্রিকেট অবকাঠামোগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসা কিংবা ব্যক্তিগতভাবে ক্রিকেট আয়োজনের হুমকিও দিয়েছে। এটা খুবই ধ্বংসাত্মক কৌশল। এটা শুধু খেলাটাকে বিপর্যস্তই করতে পারবে এবং এসিএ সদস্যদেরও ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ করবে।’ অবশ্য পিভারের বক্তব্যের দিনেই আরেকটি ইতিবাচক খবরও আছে। সিএ প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড এবং এসিএ প্রধান নির্বাহী এ্যালিস্টার নিকোলসন বেশ কয়েক ঘণ্টা আলোচনা করে কাটিয়েছেন। কিন্তু অচলাবস্থা কাটাতে কার্যকর কোন ইতিবাচক ব্যাপার সেভাবে সামনে আসেনি।
×