ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে পদ্ম পুকুরের সৌন্দর্য ঢেকে গেছে অবৈধ বিলবোর্ডে

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১৪ জুলাই ২০১৭

বরিশালে পদ্ম পুকুরের সৌন্দর্য ঢেকে গেছে অবৈধ বিলবোর্ডে

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরীর ঐতিহ্যবাহী পদ্ম পুকুরের সৌন্দর্য ঢেকে গেছে বিজ্ঞাপনী সংস্থার বিশালাকার এক বিলবোর্ডে। ফলে পুকুরটির সৌন্দর্য এখন বিলীনের পথে। জরুরীভিত্তিতে বিলবোর্ডটি অপসারণের জন্য সচেতন নগরবাসী সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্ক সংলগ্ন রাজা বাহাদুর সড়কের পার্শ্ববর্তী পদ্মপুকুরের গেট লাগোয়া বিশাল একটি বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা। ওই বিলবোর্ডটি ভাড়া নেয়ার জন্য একটি মোবাইল নম্বর দেয়া হলেও সেই নাম্বারে ফোন দেয়া হলে জানানো হয় সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য। সিটি কর্পোরেশন থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন বলে জানালেও বিজ্ঞাপনী সংস্থার নাম না বলেই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব সম্পত্তির পদ্মপুকুরটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্যম-িত স্থান। প্রতিদিন এখানে পদ্মপুকুরের সৌন্দর্য অবলোকন করতে আসেন বিনোদন প্রেমীরা। এ পুকুরের সৌন্দর্য যাতে বাইরে থেকেও অবলোকন করা যায় এজন্য সাবেক মেয়র (প্রয়াত) শওকত হোসেন হিরন পদ্মপুকুরের দেয়াল ভেঙ্গে গ্রিল দ্বারা বাউন্ডারি করে দিয়েছিলেন। বর্তমানে সৌন্দর্যের কথা চিন্তা না করেই সিটি কর্পোরেশনের এক শ্রেণীর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে ভাড়া দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বিলবোর্ডের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করে বলেন, পদ্মপুকুর বরিশালের একটি ঐতিহ্য। এখানে বিলবোর্ডের প্রশ্নই উঠে না। এ বিলবোর্ড অবৈধ। এটা উচ্ছেদ কিংবা অপসারণের দায়িত্ব বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ কবির বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জেনেছি সিটি কর্পোরেশন নির্ধারিত ফি নিয়ে বিলবোর্ড ভাড়া দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা চিঠি দিয়েও কোন সদুত্তর পাইনি। নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, আমাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার না থাকায় বিলবোর্ডটি অপসারণ করতে পারছি না। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান বলেন, বিল বোর্ড স্থাপনের স্থানটি বিআইডব্লিউটিএ’র রেকর্ডিও সম্পত্তি। তাদের স্থানের বিলবোর্ড অপসারণ তাদেরই করতে হবে। বিলবোর্ড অপসারণের জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা চাওয়া হলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
×