স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ফকিরহাটে পরিত্রান ক্লিনিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় এক নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের মীর জুলফিকার আলী লুলু অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই শিশুর পিতা বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের শাহজাহান হাওলাদার। এ সময় ওই নবজাতকের মা লাকি বেগমসহ তাদের পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, স্ত্রী লাকী বেগম ওরফে ময়নার সন্তান প্রসবের সময় ২৭ জুন ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাভাবিক ডেলিভারিতে জটিলতা দেখা দিলে তাদের পরামর্শে তাকে ফকিরহাট সদরের পরিত্রান ক্লিনিকে নেয়া হয়। এ সময় ক্লিনিক মালিক ডাঃ মোস্তফা হাসান ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম স্বাভাবিক ডেলিভারির আশ্বাস দেন এবং নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করতে থাকেন। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে পার্শ্ববর্তী খুলনার রূপসা এলাকার একজন ডাক্তারকে দিয়ে সিজার করালে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন এ বিষয়ে ডাঃ মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি অশোভন আচরণ করে বলেন, ‘শুধু সিজার করার কন্ট্রাক (চুক্তি) নিয়েছি বাচ্চার নয়। এরপর ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়। নিরুপায় হয়ে খুলনা শিশু হাসপাতালে বাচ্চাটিকে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায় বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শাহজাহান হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবানে শাহজাহান হাওলাদার বলেন, খুলনা শিশু হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসকরা আমাকে জানায় নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য আমার শিশুটির মাথা ধরে টানা হেঁচড়া করা হয়েছে। যার ফলে তার মস্তিষ্কের অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে প্রদাহ ও মস্তিষ্কে রক্তপাত হয়ে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিত্রান ক্লিনিকের মালিক ডাঃ মোস্তফা হাসান বলেন, আমার ক্লিনিকে শাহজাহান হাওলাদারের স্ত্রীকে যখন ভর্তি করা হয়, তখন তার অবস্থা সংকটপন্ন ছিল। আমি তাকে নরমাল ডেলিভারির কোন প্রতিশ্রুতি দেয়নি। যে কোনভাবেই তাদের বাচ্চার মাথায় আঘাত লেগেছিল। যার ফলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। আমরা শুধু অপারেশন করে ডেলিভারি করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে আমি বা আমার স্ত্রীর কোন সম্পর্ক নেই। আমাকে হয়রানি করার জন্য শাহজাহার আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: