ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভেঙ্গে পড়েছে দক্ষিণ মেরুর বিশাল হিমশৈল

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১৪ জুলাই ২০১৭

ভেঙ্গে পড়েছে দক্ষিণ মেরুর বিশাল হিমশৈল

বিজ্ঞানীরা আগে থেকেই বিষয়টি অনুমান করেছিলেন। এক দশকেরও বেশি সময় আগে দক্ষিণ মেরুর লারসনের বরফে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছিল। তখন থেকেই বিজ্ঞানীদের দৃষ্টি অঞ্চলটির ওপর ছিল। শেষ পর্যন্ত মেরুর পশ্চিম অংশের বরফ সোপান (আইস শেলফ) থেকে বিরাট হিমশৈলটি খসে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। এএফপি ও বিবিসি। এ যাবতকালে সবচেয়ে বড় ১০টি হিমশৈলের একটি এই বরফখ-ের আয়তন প্রায় ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার। যা যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের আয়তনের এক-চতুর্থাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের সমান। যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্যাটেলাইটে বুধবার লারসেন সি আইস সেল্ফ থেকে ওই হিমশৈলটি ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতে বরফ সোপানের প্রান্ত এবং হিমশৈলের মাঝখানে পরিষ্কার পানি দেখতে পাওয়া যায়। ২০১৪ সাল থেকে ফাটলটি বড় হতে শুরু করে এবং দ্রুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে ২শ’ মিটারের বেশি পুরু হিমশৈলটি বরফস্তর থেকে ছিটকে পড়লেও অদূর ভবিষ্যতে সেটি খুব দ্রুত বা খুব বেশিদূর ভেসে যাবে না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সেটির ওপর নজর রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। স্রোত এবং বাতাস হিমশৈলটিকে দক্ষিণ মেরুর উত্তরদিকে ঠেলে নিয়ে যেতে পারে। এটি জাহাজ চলাচলে বিঘœ ঘটাতে পারে। দিনের কোন্ সময় কফি পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন কফি খাওয়ারও নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কোন্ সময় কফি খেলে সত্যিই চাঙ্গা লাগবে, আর কোন্ সময় কফি খেলেও বিশেষ লাভ হয় না তার বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। কারণ শরীর নিজস্ব ঘড়ির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে। দেহঘটিত রাসায়নিক হরমোনের ক্ষরণ কোন্ সময় বেশি হবে কোন্ সময় কম হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে। এই রাসায়নিকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্টিসল। এটি মানব দেহের ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে। দিনের কোন কোন সময় শরীরে কর্টিসলের মাত্রা খুব বেশি থাকে, আবার কোন কোন সময় কমে যায়। যখন কর্টিসেলের মাত্রা খুব বেশি থাকে তখন কফি খাওয়া উচিত নয়। এ সময় কর্টিসেল ক্যাফেইনের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। মানুষ সাধারণত দিনে সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠে। সেই অনুযায়ী সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে কর্টিসলের মাত্রা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই সময়কে বলা হয় কর্টিসল এ্যাওকেনিং রেসপন্স। আবার দুপুর ১২টা নাগাদ কর্টিসলের মাত্রা বাড়ে ও দুপুর ১টার মধ্যে তা পড়ে যায়। একে বলা হয় ডায়ারনাল রিদম। একইভাবে সন্ধে ৬টায় কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে সন্ধে ৭টার মধ্যে পড়ে যায়। তাই ডায়েটিশিয়ানদের মতে, কফি খাওয়ার আদর্শ সময় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা, দুপুর দেড়টা থেকে সাড়ে ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টার পর। -ইয়াহু নিউজ
×