ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এমএস ক্যালিব্রি ফন্ট নিয়ে বিপাকে নওয়াজ!

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১৪ জুলাই ২০১৭

এমএস ক্যালিব্রি ফন্ট নিয়ে বিপাকে নওয়াজ!

আপনি হয়ত ভুল করে একটি আউটলুক ই-মেইল পাঠিয়েছেন কোন ব্যক্তিকে অথবা বৈঠক চলাকালে দুর্ঘটনাবশত বিব্রতকারী একটি পাওয়ারপয়েন্ট খুলে ফেলেছেন। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জন্য মাইক্রোসফটের পণ্যগুলোর মধ্যে একটি সত্যিকার সমস্যা হয়ে উঠেছে। খবর সিএনবিসি অনলাইনের। মাইক্রোসফটের ক্যালিব্রি ফন্টের জন্য একটি আইনী লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। ২০১৬ সালে পানামা পেপার্সের লাখ লাখ নথি ফাঁস হওয়ার পর থেকেই নওয়াজ শরীফের সমস্যা শুরু হয়। ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে-মেয়েরা বেশ কয়েকটি শেল কোম্পানির আবাসন ব্যবসা ক্রয় করেছে। যদিও প্রকাশিত তথ্যের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীও সরাসরি বিষয়টির উল্লেখ করেননি। তারপরও তার পরিবারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় তাদের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পাকিস্তানের সুপ্রীমকোর্ট নথি ফাঁসের বিষয়ে পর্যাপ্ত দুর্নীতি প্রমাণের অভাবে নওয়াজ শরীফের প্রধানমন্ত্রী থাকার ওপর রুল দিয়ে দেয়। ক্যালিব্রি ক্লু খুঁজে পাওয়ায় দ্রুতই তাতে পরিবর্তন ঘটে। নতুন উদ্বেগ দেখা দেয় নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম শরীফের ভুল তথ্য ও মাইক্রোসফটের ভ্রান্তিমূলক ফন্ট ব্যবহার করায়। বিবিসি ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি আলোচিত ২০০৬ সালের এক দলিলে দেখা যায় সেটি মাইক্রোসফটের ক্যালিব্রি ফন্টে টাইপ করা। যদিও ফন্টটি ২০০৭ সালের আগে বাজারে ছাড়া হয়নি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, উইন্ডোজের বিটা সংস্করণ ক্যালিব্রি ফন্ট, লুকাস ডি গ্রোট ২০০৪ সালে পাওয়া গেলেও ২০০৭ সালের আগে তা সবার জন্য উন্মুক্ত। যে বিটা সংস্করণ সাধারণভাবে শুধু টেক গীকের মাধ্যমে বরং কোম্পানি অথবা সরকারী কর্মকর্তারা ব্যবহার করত। পুরো বিষয়টি হ্যাশট্যাগ ফন্টগেটের আওতায় টুইটার ঝড়ে উপনীত হয়। মাইক্রোসফটের মুখপাত্র ফন্টটির ইতিহাস নিয়ে কোন মন্ত্রব্য করেননি।
×