ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ১৩ জুলাই ২০১৭

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭ পাস হয়েছে। এই আইনের আলোকে প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি, উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বুধবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া সংসদ অধিবেশনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। তবে সংসদে দিনের কার্যসূচীতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প বিল, ২০১৭ পাস হওয়ার কথা থাকলেও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর অনুরোধে বিল পাস প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি গবেষণার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আনীত ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা। কিন্তু সেই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে বিলটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়। এর আগে ৩০ জানুয়ারি সংসদে বিলটি উত্থাপন করা হয়। বিলে বিদ্যমান বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ রহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া নলকূপ স্থাপনে শাস্তি বৃদ্ধি লাইসেন্স ছাড়া নলকূপ স্থাপনে শাস্তি বৃদ্ধি করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ‘কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন- ২০১৭’ নামে আরও একটি নতুন বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন। বিলটি উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। বিলে লাইসেন্স ছাড়া কৃষি কাজের জন্য নলকূপ স্থাপনে শাস্তি বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যমান আইনে জরিমানা সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা ছিল। নতুন আইনে তা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা বা অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদ-ের প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনটি পাসের পর বিদ্যমান নলকূপগুলোকে সময় দিয়ে লাইসেন্স নেয়ার সুযোগ দেয়া হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিলের বিধান অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নলকূপের লাইসেন্স স্থগিত ও বাতিল করতে পারবে।
×