ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শতভাগ ফিট থাকার চেষ্টায় ক্রিকেটাররা

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৩ জুলাই ২০১৭

শতভাগ ফিট থাকার চেষ্টায় ক্রিকেটাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যখন আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া সূচীতে দীর্ঘ বিরতি থাকে, তখনই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য কন্ডিশনিং ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। যে ক্যাম্পে ৩০ জনের মতো ক্রিকেটার থাকেন। নিজেদের ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন। ট্রেইনাররা তাদের ফিটনেস লেভেলটাকে বাড়িয়ে দেন। যা সামনের মৌসুমে কাজে লাগে। এবারও তাই হচ্ছে। কন্ডিশনিং ক্যাম্প হচ্ছে। ফিটনেস ট্রেইনার মারিও ভিল্লাভারায়েনের তত্ত্বাবধানে চলছে সেই ক্যাম্প। তাতে ক্রিকেটাররা শতভাগ ফিট থাকার চেষ্টাও করছেন। ব্যাটসম্যান ও উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানই যেমন বলেছেন, ‘৩ দিন হলো। ভাল চলছে। আরও ২-৩ সপ্তাহ আমরা সময় পাব। চেষ্টা থাকবে সবাই যাতে রিকভারি করে শতভাগ ফিট থাকতে পারি।’ প্রতিবারই এ ক্যাম্প ক্রিকেটারদের অনেক কাজে দেয়। মেহেদী হাসান মিরাজ যেমন মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করার জন্য যথেষ্ট সময় পাই না। বছরে যদি ফিটনেসের জন্য ২০ বা ২৫ দিন সময় পাই তাহলে ওটা ফিটনেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আসলে শেষবার হয়েছে। তখন আমি জাতীয় দলে ঢুকিনি। আমরা ওই ফিটনেস ক্যাম্প দিয়ে এক বছর ক্রিকেট খেলেছি। ওইটা খুব ভাল একটা কন্ডিশনিং ক্যাম্প ছিল। আমি দেখেছি, এইচপি ক্যাম্পে ছিলাম। ওই ফিটনেস নিয়ে সবাই স্টিল খেলছে। এখন আবার নতুন করে শুরু হয়েছে ফিটনেস ক্যাম্প। আশাকরি সামনে আমাদের অনেক খেলা আছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজ, পরে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা যাব। তারপর আরও খেলা। সামনে এক বছর অনেক ব্যস্ত সূচী থাকবে আমাদের। আমাদের কাছে মনে হয় এই ফিটনেস ক্যাম্প আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামনের এক বছরের জন্য। আমাদের যে সামনে খেলা আছে সেটার জন্য এটা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।’ এরআগে গত বছর জুলাইয়ে ফিটনেস ক্যাম্প হয়েছে। যা অনেক কাজে দিয়েছে। তারও আগে ২০১৫ সালের আগস্টে একমাসের কন্ডিশনিং ক্যাম্প হয়েছে। সেবারও অস্ট্রেলিয়া আসার কথা ছিল। অসিদের বিপক্ষে খেলার জন্য প্রস্তুত হতেই কন্ডিশনিং ক্যাম্প করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া না আসলেও ক্যাম্পটি কাজে লেগেছে। এবারও সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এ সিরিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু হয়েছে। শুরুটা কন্ডিশনিং ক্যাম্প দিয়েই হয়েছে। যে ক্যাম্পে আছেন সোহানও। আয়ারল্যান্ডে তিনজাতি সিরিজ ও ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও ছিলেন সোহান। কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগই পাননি। ইংল্যান্ড সফরটা তাই ভাল না যাওয়ারই কথা সোহানের। কিন্তু তিনি বলছেন, ‘আসলে জাতীয় দলের সঙ্গে থাকাটাই সবসময় অনেক কিছু শিখতে থাকি। ড্রেসিংরুম থেকে বলেন বা টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে বা প্র্যাকটিসে বলেন। প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমার যে ঘাটতিগুলো রয়েছে, এগুলো রিকভার করার জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। সবকিছুই ওখান থেকে শিখতে চাই।’ ম্যাচ না খেলার আক্ষেপ নেই সোহানের, ‘এখানে সবচেয়ে বড় জিনিসটা হচ্ছে সুযোগ কোন সময় আসে কেউ জানে না। আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার যে ঘাটতি আছে সেগুলো রিকভার করে যাতে ১০০ ভাগ ফিট থাকি। সুযোগ আসলে যাতে ভাল করতে পারি।’ ফিটনেস ক্যাম্প চললেও সুযোগে ব্যাটিং নিয়েও কাজ করতে চান সোহান, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। এখন যেহেতু ফিটনেস ক্যাম্প চলছে। তার ফাঁকে ফাঁকে ব্যাটিং নিয়ে একটু কাজ করব। যে ঘাটতি আছে সেগুলো রিকভার করার চেষ্টা করব। কিপিংয়ে কিছু ঘাটতি আছে। সেগুলো নিয়েও চেষ্টা করব যাতে ভবিষ্যতে আরও ভাল করতে পারি।’ ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ম্যাচের পার্থক্য করতে গিয়ে সোহান বলেন, ‘আসলে জিনিসটা হচ্ছে মানসিকভাবে চিন্তা করাটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক আপনি যদি খেলাটা ধরতে পারেন, আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাটা অনেক সহজ হয়। মানসিকভাবে যদি শক্ত থাকেন, মানসিকভাবে আপনার যদি ভাল কিছু করার চিন্তা-ভাবনা থাকে, তখন কঠিন যে সময়গুলো আছে এগুলো রিকভার করা যায়।’
×