ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনার ৪ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলের আদেশ ১৭ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৩ জুলাই ২০১৭

নেত্রকোনার ৪ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলের আদেশ ১৭ সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেত্রকোনার খলিলুর রহমানসহ চার রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়া হবে কিনা, এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার পলাতক চারজনসহ আট রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানির জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নওগাঁ ও জয়পুর হাটের চার আসামির বিরুদ্ধে ১৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। এ সময় প্রসিকিউশনে ছিলেনÑ প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, আবুল কালাম, রিজিয়া সুলতানা বেগম চমন। নেত্রকোনার খলিলুর রহমানসহ চার রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়া হবে কিনা, সে বিষয় জানা যাবে ১৭ সেপ্টেম্বর। প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা চমন জনকণ্ঠকে বলেন, বুধবার অভিযোগ আমলে নেয়ার দিন থাকলেও চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকার কারণে দিন পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। ৩ মে নেত্রকোনার চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক (ফরমাল চার্জ) অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলার আসামিরা হলেনÑ নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের দুই সহোদর ভাই, মোঃ খলিলুর রহমান (৭২) ও আজিজুর রহমান এবং (৬৫), আশোক আলী (৮২) এবং মোঃ শাহনেওয়াজ (৮৮)। আসামি খলিলুর রহমান ছাড়া বাকিরা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। এই চারজন আসামির বিরদ্ধে ৫টি অভিযোগ দাখিল করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধভাবে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুইজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগে অভিযোগ রয়েছে। মুক্তাগাছার ৮ রাজাকার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার পলাতক চারজনসহ আটজনেরে বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানির জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে। এই ৮ আসামির মধ্যেÑ রেজাউল করিম ওরফে আক্কাস মৌলভি, এবিএম ইউনুস আলী মৌলভি, মোঃ ইউনুস আলী, মোঃ ওমর ফারুক কারাগারে রয়েছেন। পালাতক আসামিরা হলেনÑ মোঃ বেলায়েত হোসেন, মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ ইসমাইল ও কাজী বদরুজ্জামান। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর রেজাউল করিমসহ ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসি্িকউশন পক্ষ। এই মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, লুটপাট ও অপহরণসহ ৮টি অভিযোগ আনা হয়েছে। নওগাঁর ৪ রাজাকার মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নওগাঁ ও জয়পুর হাটের চার আসামির বিরুদ্ধে ১৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার নওগাঁর জামায়াত নেতা রেজাউল করিম মন্টু, ইসহাক আলী ও শহীদ ম-লকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে নজরুল ইসলাম নামে এক আসামি পলাতক রয়েছেন। রেজাউল করিম মন্টুসহ গ্রেফতার তিন আসামিই নওগাঁ জেলার তালিকাভুক্ত যুদ্ধাপরাধী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মন্টুকে গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিনই ইসহাক আলী ও শহীদ ম-লকেও নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
×