ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে চীনের সহায়তায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৩ জুলাই ২০১৭

চট্টগ্রামে চীনের সহায়তায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম নগরীতে বিদ্যমান ৩৬ খালের মাটি উত্তোলন ও অপসারণ কাজের জন্য ১৮ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এছাড়া জাইকার অর্থায়নে ১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশ খাল, সুরভি খাল ও ডাইভারশন খালসংলগ্ন রাস্তা, প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। নগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে চীনের সরকারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার চায়নার সঙ্গে ২৭টি সø্যুইচ গেট, বড় খালসমূহের দু’পাশে প্রতিরোধ দেয়াল, রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ এবং রাস্তা ও খালসমূহের ড্রেজিংয়ের জন্য ৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রকল্পটি জিটুজি এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। জাইকার সাহায্যপুষ্ট সিটি গর্বনেস প্রকল্পের অধীনে গঠিত সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির সভায় এ তথ্যগুলো অবহিত করেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। বুধবার চসিক সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সোসাইটি, বিশেষজ্ঞ এবং প্রিন্ট এবং গণমাধ্যমসহ সর্বস্তরের প্রতিনিধিরা। এ সময় মেয়র একটি পরিচ্ছন্ন, সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। চসিক মেয়র বলেন, কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বিধিবদ্ধ আইন ও সরকারের গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পৌরকর নির্ধারণ হয়ে থাকে। কর বৃদ্ধি করা বা নতুন কর আরোপ করার কোন এখতিয়ার চসিকের নেই। তা সত্ত্বেও এক শ্রেণীর মানুষ উন্নয়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে নানামুখী অপতৎপরতায় লিপ্ত। তারা নানাভাবে চক্রান্ত করে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ও অপপ্রচারে লিপ্ত। তিনি জানান, সরকার আইনী কাঠামো ও বিধি বিধান অনুযায়ী কর্পোরেশনকে কর পুনঃমূল্যায়নের ক্ষমতা দিয়েছে। সে ক্ষমতাবলে চসিক প্রতি ৫ বছর অন্তর কর পুনঃমূল্যায়ন করে থাকে। এক্ষেত্রেও বিভ্রান্তি ও অপরাজনীতি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত মেয়রের আমলে কর পুনঃমূল্যায়নের বিষয়ে ১৩ হাজার আপত্তি উত্থাপিত হয়েছিল। অজ্ঞাত কারণে সে সকল আপত্তির নিষ্পত্তি করা হয়নি। আমি দায়িত্ব নিয়ে আপীল বোর্ডে রিভিও শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সভায় সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও সিভিল সোসাইটির সদস্যবৃন্দ ছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দোহা, সচিব মোঃ আবুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
×