ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে তথ্যমন্ত্রী

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৬ ও ৫৭ ধারা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৩ জুলাই ২০১৭

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৬ ও ৫৭ ধারা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি

সংসদ রিপোর্টার ॥ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৬ ও ৫৭ ধারা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি। এটা সাধারণ দ-বিধি। এটা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য, নারীর নিরাপত্তা, শিশুর নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে। এটা জামিন অযোগ্য অপরাধ, তবে উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পাওয়া যায়। এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক; এটা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। এটা মানবাধিকার বিরোধী বলেও আমি মনে করি না। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ওই দুই ধারা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে খড়গ আরোপের জন্য করা হয়নি। ডিজিটাইজেশনের ফলে গণমাধ্যমের বিশাল প্রসার ঘটেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ডিজিটাল স্পেস তৈরি হয়েছে। এর ফলে অনেকে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, চরিত্র হনন, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকা-, ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির মতো অপরাধ করে। তখনই কেবল এই আইনের প্রয়োগ হয়। এটা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়েছে, একথাটি ঠিক নয়। তিনি বলেন, কেউ অন লাইনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক, টুইটারে চরিত্র হনন করে পোস্ট দিলে এই আইনের আওতায় আসবে। এই আইন নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই আইনে একটা পর্যায়ে জামিনযোগ্য। নিম্ন আদালতে জামিন পায় না, উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পাওয়া যায়। এরকম ৩০ এর অধিকে আইন আছে জামিন অযোগ্য। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ১৮শ’র অধিক অনলাইন পত্রিকা আছে। পত্রিকা, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিকসহ দেশে কত গণমাধ্যম রয়েছে, আর কত হাজার সাংবাদিক কাজ করছে তারমধ্যে খুবই নগণ্য দুই-একজন ৫৭ ধারায় গ্রেফতার হয়েছে। আদালতে যাওয়ার পর নিম্ন আদালতে জামিন না দিলেও উচ্চ আদালত জামিন দেয়। তাছাড়া প্রতিটি বিষয় আমরা দেখছি। তথ্য মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করে। আমাদের আইনজীবীরা দেখেন কোন মিথ্যা অভিযোগে কেউ গ্রেফতার হলে তাকে জামিন দেয়া হয়। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ৫৭ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, কেউ তা প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরেও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক নতুন একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে। আমাদের আইনমন্ত্রী দেখবেন ৫৭ ধারা বহাল রাখার দরকার আছে কিনা।
×