ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে স্পেনের বিনিয়োগ চাই ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৩ জুলাই ২০১৭

বাংলাদেশে স্পেনের বিনিয়োগ চাই ॥  প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রিদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্পেনের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামী দিনে দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। স্পেনের নতুন রাষ্ট্রদূত আলভারো ডি সালাস জিমেনেজ ডি আজকারাতে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার তেজগাঁও কার্যালয়ে সাক্ষাত করতে গেলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। খবর বাসসের। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢাকা ও মাদ্রিদের মধ্যকার সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্বাধীনতার পর স্পেন সব সময় বাংলাদেশকে সমর্থন যুগিয়েছে এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি স্পেনের সমর্থন ও সহায়তার কথা জানেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ স্প্যানিশ ভাষায় অনুবাদের জন্য স্পেন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কাছে স্প্যানিশ ছিল একটি মিষ্টি ভাষা। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম সম্পর্কে জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি তার কার্যালয়ে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের সম্পর্ক সম্প্রসারণের চেষ্টা করবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘আপনি হলেন বিশ্বের এক উদাহরণ’। তিনি বলেন, স্পেন চট্টগ্রামে একটি কনস্যুলেট খুলতে চায়। অসমাপ্ত আত্মজীবনীর স্প্যানিশ সংস্করণ শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। রাষ্ট্রদূত তার বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আলোকচিত্র ও তার অন্যান্য কর্মকা-ের লক্ষ্যবস্তু তাকে (রাষ্ট্রদূত) নাড়া দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তথ্য কমিশনের রিপোর্ট পেশ প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাত করে তথ্য কমিশনের ২০১৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছেন। বুধবার সকালে প্রধান তথ্য কমিশনারের নেতৃত্বে তথ্য কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। খবর বাসসের। প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী ‘অবাধ তথ্য প্রবাহ আইন-২০০৯’ বাস্তবায়নে কমিশনের কাজের প্রশংসা করে তথ্য কমিশনকে আরও গতিশীল করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাস করে।’ ড. গোলাম রহমান বলেন, কমিশন এ বছর ১ হাজার ৮১৭টি অভিযোগের মধ্যে ১ হাজার ৭৮৬টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে। একইসঙ্গে এ সময়ে কমিশনের জন্য নতুন ভবন নির্মাণের নক্সাও অনুমোদিত হয়েছে বলেও তিনি জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×