ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৩ জুলাই ২০১৭

বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে মশাল বঙ্গবন্ধু জ্বালিয়ে রেখে গিয়েছিলেন ৪২ বছর আগে, তার সুযোগ্য উত্তরসূরিরা আজও নিষ্ঠার সঙ্গে তা বহন করে চলেছেন। উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় লাল সবুজের নিশানা নিয়ে, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজকের ১৬ কোটি জনগণের আস্থা ও সমর্থনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হবে। আর দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে আমি প্রস্তুত। দেশের মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে দেশের মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। চীন থেকে দুটি সাবমেরিন ক্রয় সম্পর্কে সংসদ নেতা বলেন, সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ায় আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হয়েছে, যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থানকে উন্নত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, চীন হতে সাবমেরিন ক্রয় বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক একটি সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বে কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে না। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক সংসদ সদস্য’র প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চলার পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, কণ্টকাকীর্ণ ছিল সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ’৮১ সালে দেশের ফেরার পর থেকে আমার চলার পথ কখনও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না, বরং কণ্টকাকীর্ণই ছিল। অনেক চড়াই-উৎরাই, ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা অতিক্রম করেই আমাকে চলতে হয়েছে এবং হচ্ছে। অসংখ্যবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি, কিন্তু কখনও ভয় পাইনি। কারণ সত্য ও সততার পথে থাকলে যে কোন বাধা অতিক্রম করা যায়। কারণ সব সময় আমার আত্মবিশ্বাস আছে যে আমি কোন অন্যায় করিনি। জনগণ নিশ্চয় তা একদিন বুঝতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে আমি প্রস্তুত। ক্ষমতাকে কখনই আমার কাছে নিজের ব্যক্তিগত আকাক্সক্ষা পূরণের জন্য নয়। আমি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ছিলাম, নিজেও তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু কখনই নিজের জন্য কী করব কখনও তা চিন্তা করিনি। ছেলে-মেয়েদের উপযুক্ত শিক্ষা দিয়েছে, সেটাই তাদের বড় সম্পদ। কিছু দিতে হবে এমন কোন বিরক্ত আমার ছেলে-মেয়েরা করে না। বরং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, অসহায় অটিজম শিশুদের জন্য সারাবিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণে ছেলে-মেয়েরা কাজ করে যাচ্ছেন। বোনের মেয়ে টিউলিপ বৃটিশ পার্লামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছে। এটাই আমাদের কাছে বড় পাওয়া। তিনি বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পেরেছি এটাই আমার স্বস্তি। দেশের জনগণ আমাকে বার বার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশসেবার সুযোগ দিয়েছে, দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছে- এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্য পূরণের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের আয় বেড়েছে, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো দীর্ঘতম সেতু নির্মাণ করার সাহস নিতে পেরেছে। একটি মানুষও গৃহহীন না থাকার প্রত্যয়ে আশ্রায়ণ প্রকল্প ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে আমাদের সরকার প্রতিটি নাগরিকের মনে আকাক্সক্ষার প্রদীপ জ্বালিয়ে তুলছে। নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে প্রশংসিত বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ সরকার ঘোষণা করে রূপকল্প-২০২১, যার মূল উপজীব্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা আন্তর্জাতিক মহলে সমাদৃত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সজীব ওয়াজেদ জয়। তারুণ্যের মেধা ও শক্তিকে ইতিবাচক কাজে লাগানোর এক অনবদ্য ও বাস্তবায়ন শুরু হয়। ঘোষিত সময়ের আগেই বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে এসেছে। বিশ্বব্যাংকের মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় স্থান পায় বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদগণ একে দেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাফল্যের অনন্য স্বীকৃতি হিসেবে অভিহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে বিবেচনা করা হতো উন্নয়নের টেস্ট কেস হিসেবে, আর আজ বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপই হচ্ছে আজকের ডিজিটাল বাংলদেশ। রূপকল্প ২০২১-এর অধীনে ঘোষিত সময়ের আগেই একটি সুখী, সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য আওয়ামী লীগ আজও নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যে মশাল বঙ্গবন্ধু জ্বালিয়ে রেখে গিয়েছিলেন ৪২ বছর আগে, তার সুযোগ্য উত্তরসূরিরা আজও নিষ্ঠার সঙ্গে তা বহন করে চলেছেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ। বাংলার কৃষ্টি, বাংলার ঐতিহ্য, বাংলার রক্ত দিয়ে লেখা আমাদের বাংলা জাতীয়তাবাদ। আর সেই কারণে আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের মহাসড়কে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য জনগণকে এগিয়ে চলার শক্তি যোগাচ্ছে। উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় লাল সবুজের নিশানা নিয়ে, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আজকের ১৬ কোটি জনগণের আস্থা ও সমর্থনের প্রতীকে পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আত্ম-সম্মানবোধ নিয়ে আমাদের বায়ান্নো ও একাত্তরে অর্জিত গৌরবের পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এটি সম্ভব হতে পারছে, আওয়ামী লীগের দূরদর্শী রাষ্ট্র পরিচালনায়। জনগণকে সরকারের কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিত ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতায় আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। আর এই এগিয়ে যাওয়া হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কাক্সিক্ষত উন্নত সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। রাষ্ট্রীয় যে কোন কাজ বঙ্গবন্ধুই প্রথম শুরু করেছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন সেনা বাপ্পির মূল প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র ১১ মাসের মাথায় জাতিকে একটি শাসনতন্ত্র উপহার দেয়াসহ সকল ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর স্বল্পকালীন শাসনামলে উদ্যোগ গ্রহণ করে গেছেন। আজও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কোন কাজ করতে গেলে দেখা যায় সে বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই প্রথম কাজ শুরু করে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে সর্বমোট ১৩১টি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দেশ গঠন ও পরিচালনার পথ সুযোগ করে গেছেন। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে সংগঠিত করা, নেতৃত্ব দেয়া এবং একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটানোর মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান সীমাবদ্ধ ছিল না। একজন পিতা যেমন তাঁর সন্তানের হাত ধরে তাকে চলতে শেখান, নিজের মনের সবটুকু ভালবাসা ঢেলে দিয়ে যান তাঁর সন্তানের ভবিষ্যত গড়তে, ঠিক তেমনিভাবে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা দেশে ফিরে এসেই ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন থেকে দিল্লী হয়ে দেশে ফেরার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে অনুরোধ করেন। এর ফলে বাহাত্তরের ১২ মার্চের মধ্যে ভারতীয় সৈন্য বাংলাদেশ ভূখ- ত্যাগ করে। এ ধরনের ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল, যা বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় ও স্বাধীনচেতা নেতৃত্বের জন্যই সম্ভব হয়েছে। মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সরকারদলীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে দেশের মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিসহ পুনর্গঠন করে। তিনি জানান, ২০১০ সালের জুন মাসে জাতিসংঘের প্যারিস প্রিন্সিপ্যালের আলোকে সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একজন চেয়ারম্যান ও ৬ জন সদস্য নিয়ে কমিশন গঠনপূর্বক নতুন উদ্যোমে কার্যক্রম শুরু করা হয়। কমিশন স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে তাদের কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। সরকার ইতোমধ্যে কমিশনকে ৪৮ জন জনবল প্রদান করা হয়েছে। কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে বাজেট ও যানবাহনসহ বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। সাবমেরিন ক্রয়ে বহির্বিশ্বে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে না স্বতন্ত্র দলীয় সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চীন থেকে সাবমেরিন ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল, যার আওতায় সাবমেরিন দুটি গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আগমন করে এবং এ বছরের ২৫ মার্চ আমি সাবমেরিন দুটি বানৌজা নবযাত্রা ও বানৌজা অগ্রযাত্রা নামে কমিশনিং করি, যা বর্তমানে আমাদের নৌবহরে যুক্ত আছে। তিনি বলেন, সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হওয়ায় আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পূর্বের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হয়েছে, যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থানকে উন্নত করেছে। সাবমেরিন দুটি যে কোন বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ, গভীর সমুদ্রে বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের নিরাপত্তা প্রদান করা, গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনাল তথ্য সংগ্রহসহ দেশে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, চীন হতে সাবমেরিন ক্রয় বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক একটি সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বে কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া হবে না। যে কোন সময়ের তুলনায় সফল রাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ একটি সম্মানজনক ও উচ্চ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্যে এখন সর্বজনবিদিত। বিগত আট বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের দুরদর্শী, দায়িত্বশীল পররাষ্ট্রনীতি এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব কূটনীতিতে বিগত যে কোন সময়ের থেকে একটি সফল রাষ্ট্র হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেছে।
×